cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
শরীফুল আলম সুমন ::
উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পরই শিক্ষার্থীদের অন্যতম চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। কিন্তু সেই ভর্তি পরীক্ষায় এখনো বিশৃঙ্খলা রয়ে গেছে। দেশে গুচ্ছ ভর্তি চালু হলেও তা এখনো পুরোপুরিভাবে সফলতা পায়নি। গুচ্ছ ভর্তিতে কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা দেওয়ার পরও ভর্তির জন্য দৌড়াতে হয় এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ে। বড় পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয় এখনো আলাদা ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। এ ছাড়া মেডিকেল, ডেন্টালসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের পৃথক পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে। ফলে ভোগান্তি কমছে না।
সাধারণ ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছের নাম দেওয়া হয়েছে জিএসটি (জেনারেল, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি)। প্রকৌশল গুচ্ছে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কৃষি গুচ্ছের আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ও আলাদা ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে থাকে। ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশে পরিচালিত চার বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও জাহাঙ্গীরনগর) গুচ্ছ ভর্তিতে আসেনি। এ তালিকায় আছে বিশেষায়িত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।
এ ছাড়া বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স), বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটিও আলাদা পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করে থাকে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘শৃঙ্খলা রাতারাতি আসে না। কৃষি গুচ্ছটা ভালো করছে। অন্যান্য গুচ্ছ শুরু হয়েছে, তাদের হয়তো আরও সময় লাগবে। আমাদের বুঝতে হবে, আমরা তো এতে অভ্যস্ত ছিলাম না। মেডিকেল ভর্তিতে তো লাখ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে, তাদের তো কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আসলে যারা পরিচালনা করছেন, তাদের এ ব্যাপারে আরও স্টাডি করতে হবে। ভারতে একইভাবে ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে, প্রয়োজনে আমরা সেখান থেকেও শিখতে পারি।’
অধ্যাপক আবদুল মান্নান আরও বলেন, ‘এই গুচ্ছ ভর্তিতে বড় বা সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আসতে হবে। তাদের অভিজ্ঞতা বেশি, জনবল বেশি। এ ভর্তিতে তারা নেতৃত্ব দিলে সহজেই সফলতা আসবে।’
গত বছর সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে একই গুচ্ছে আনার চেষ্টা করলেও তাতেও সফলতা আসেনি। রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) একই গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। কিন্তু বুয়েট, বুটেক্স রয়েছে গুচ্ছের বাইরে।
এ ছাড়া অ্যাফিলাইটিং বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় আলাদাভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করে থাকে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে সাধারণত ভর্তি পরীক্ষা ছাড়া জিপিএর ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হলেও পরে আলাদা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তাদের নিজেদের মতো শিক্ষার্থী ভর্তি করছে। এতে একই শিক্ষার্থীর নাম একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধা তালিকায় আসছে। কিন্তু ওই শিক্ষার্থী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ায় অন্যদের ফের মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হচ্ছে। এভাবে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই পাঁচ-সাতবার মেধা তালিকা প্রকাশের পরও তাদের আসন শূন্য থাকছে। অন্যদিকে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারছে না। এ গ্যাঁড়াকলে পড়ে এখনো গত বছরের শিক্ষার্থী ভর্তি শেষ করতে পারেনি গুচ্ছভুক্ত কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়।
আগে প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি শুরু হতো। এতে যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেত না, তারা সহজেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজে ভর্তি হতে পারত। কিন্তু কভিডের কারণে প্রায় দুই বছর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পিছিয়ে গেছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু জিপিএর ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করে, তাই তারা গত বছর থেকে সবার আগে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করছে। এতে দেখা যাচ্ছে, অনেক শিক্ষার্থী প্রথমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে ভর্তি হয়ে থাকছে, পরে আবার কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেলে চলে যাচ্ছে। ফলে আর্থিক ভোগান্তিতে পড়ছেন অভিভাবকরা।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে এতদিন সাধারণত ২০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হতো। এর মধ্যে এসএসসি ও এইচএসসির সনদের ওপর থাকত ৮০ নম্বর। আর ১২০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হতো। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর পর থেকে সনদের ওপর জোর কমিয়ে দিয়েছে বড় পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়। তারা ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। এর মধ্যে এসএসসি ও এইচএসসির ফল থেকে নেওয়া হচ্ছে মাত্র ২০ নম্বর।
শুধু তাই নয়, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়া হলেও বড় পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয় পুরো সিলেবাসের ওপরই ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। ফলে বিপাকে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। এইচএসসি পরীক্ষার পর ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি হিসেবে তাদের পুরো বই পড়তে হচ্ছে।
গত বুধবার ২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ হয়। এতে উত্তীর্ণ হয় ১০ লাখ ১১ হাজার ৯৮৭ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন। আর জিপিএ-৪ থেকে ৫-এর নিচে পেয়েছে ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৬৩৯ জন। এ দুই ধরনের প্রায় ছয় লাখ শিক্ষার্থীই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিযুদ্ধে নামবে। কিন্তু জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরাই তাদের কাক্সিক্ষত প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারবে কি না তা নিয়ে সন্দিহান সংশ্লিষ্ট মহল।
ইউজিসি সূত্র জানায়, উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ আসন রয়েছে। ৪০ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ৬৬ হাজার। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বছরে দুই সেশনের হিসেবে) প্রায় দুই লাখ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে ৮ লাখ ৫৮ হাজার (স্নাতকে ৩ লাখ, ডিগ্রিতে ৫ লাখ ৫৮ হাজার), আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত মাদ্রাসায় ৬০ হাজার, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ৪৩০, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে ২৩ হাজার ৩৩০, মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ১০ হাজার ৫০০, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ৭২০টি আসনসহ আরও কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে আগামী ১০ মার্চ সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, যেহেতু অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষায় ভর্তিই হয় না, তাই আসনের তেমন কোনো সংকট হবে না। তবে মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বড় অভাব রয়েছে। এবার যেহেতু জিপিএ-৫ পেয়েছে পৌনে দুই লাখ শিক্ষার্থী, তাই তাদের সবার পক্ষে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিরই সুযোগ নেই। এমনকি অনেকেরই ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানে পড়ারও সুযোগ হবে না।
Leave a Reply