cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
কি’শোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা ম’সজিদের দান সিন্দুক খোলে এবার সাড়ে ১৫ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। শনিবার (১ লা অক্টোবর) সকাল ৯ টার দিকে ম’সজিদের আটটি দান সিন্দুক খোলে এসব টাকা পাওয়া যায়। বিপুল পরিমাণ এই নগদ টাকা ছাড়াও দান সিন্দুক থেকে বিভিন্ন বিদেশি মুদ্রাসহ দান হিসেবে সোনা-রূপার গহনা পাওয়া গেছে। সকাল থেকে এসব টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও বিদেশি মুদ্রা গণনা শুরু হয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত গণনা চলবে।
গণনা সংশ্লিষ্টদের ধারণা, এবার দান সিন্দুকে পাওয়া টাকার পরিমাণ ৪ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। সোনা, রূপা ও বিদেশি মুদ্রা মিলেও প্রায় অর্ধকোটি টাকার মতো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে সর্বশেষ ২ জুলাই দান সিন্দুক খোলা হয়েছিল। তখন ১৬ বস্তায় ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা ম’সজিদের দানবাক্স খোলা হয়। কিন্তু মহামা’রি করো’নাভাই’রাস শুরু হওয়ার পর থেকে বিলম্বে দানবাক্স খোলা হচ্ছে। এবার ৩ মাস ২০ দিন পর ম’সজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হলো।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে জে’লা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মক’র্তাদের উপস্থিতিতে ম’সজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়। বাক্সগুলো থেকে টাকা বের করে প্রথমে বস্তায় রাখা হয়। এরপর শুরু হয় গণনার কাজ। রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও কি’শোরগঞ্জ করপোরেট শাখার প্রধান মো. রফিকুল ইস’লামের নেতৃত্বে ওই ব্যাংকের ৫০ জন কর্মক’র্তা-কর্মচারী টাকা গণনায় অংশ নেন। এছাড়া আরও সহযোগিতা করছেন পাগলা ম’সজিদের অধীনে মাদরাসার শতাধিক ছাত্র ও শিক্ষক।
কি’শোরগঞ্জের অ’তিরিক্ত জে’লা ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ এর তত্ত্বাবধানে টাকা গণনার কাজ তদারকির দায়িত্বে আছেন জে’লা প্রশাসনের ৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এর মধ্যে সহকারী কমিশনার জোহরা সুলতানা যুথী, মোছাঃ নাবিলা ফেরদৌস, সুশান্ত সিংহ প্রমুখ। টাকা গণনার কাজ নিজ চোখে দেখতে শহরের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ ম’সজিদে ছুটে যান।
কি’শোরগঞ্জের পাগলা ম’সজিদের পরিচালনা পর্ষদ সদস্যরা বলছেন, সকাল ৯টার দিকে প্রায় ২০০ মানুষ ১৫ টি বস্তায় পূর্ণ এসব টাকা গণনা করতে শুরু করেন। জে’লা প্রশাসনের কর্মক’র্তারা জানিয়েছেন, এসব টাকা গণনার কাজ শেষ করতে সন্ধ্যা পার হয়ে যেতে পারে। অর্থ গণনায় অংশ নিয়েছেন পাগলা ম’সজিদের অধীন এতিমখানার ১২০ জন ছাত্র, পাঁচজন শিক্ষক, ৫০ জন ব্যাংক কর্মক’র্তা ও ম’সজিদ কমিটির ১০ জন সদস্য।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ এসে পাগলা ম’সজিদে নগদ টাকা-পয়সা ছাড়াও সোনা-রূপার গহনা দান করেন। এছাড়া গবাদিপশু, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্রও ম’সজিদটিতে দান করা হয়। মানুষের ধারণা, খাস নিয়তে এই ম’সজিদে দান করলে মনের আশা পূর্ণ হয়। এজন্য দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ এখানে এসে মান্নতের টাকা সোনা, রুপার গহনা দান করে থাকেন। অন্য ধ’র্মের মানুষেরাও এখানে দান করেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
টাকা গণনা কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে থাকা অ’তিরিক্ত জে’লা প্রশাসক মো. গো’লাম মোস্তফা জানান, পাগলা ম’সজিদের দান সিন্দুক খুলে এবার বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়া গেছে। আম’রা আশা করছি এবার টাকার পরিমাণ চার কোটি ছাড়িয়ে যাবে। বিদেশি মুদ্রা ও সোনা রূপার গহনাও পাওয়া গেছে প্রচুর। গণনা চলছে এখন।
ম’সজিদেরর প্রশাসনিক কর্মক’র্তা বীর মুক্তিযু’দ্ধা শওকত উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ১৯৯৭ সাল থেকে এই ম’সজিদটি ওয়াকফের আওতায় পরিচালিত হচ্ছে। তখন থেকে জে’লা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ম’সজিদের সিন্দুক খুলে টাকা গণনা শুরু হয়েছে।
ম’সজিদের পেশ ই’মাম মুফতি খলিলুর রহমান জানান, প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে দান করছে এই ম’সজিদে। যারা দান করতে আসেন তারা বলে থাকেন, এখানে দান করার পরে নাকি তাদের আশা পূরণ হয়েছে। আর এ বিষয়টির কারণেই এখানে দান করে থাকেন তারা।
মোঃ রবিউল ইস’লাম আকাশ বলেন, আমি এই প্রথম সরাসরি পাগলা ম’সজিদের টাকা গণনার কাজ দেখলাম। আগে টিভিতে বা পেপারে দেখতাম তবে এবার সরাসরি ম’সজিদে এসে টাকা গুলো দেখে আমা’র খুব ভালো লাগছে। আমিও এই ম’সজিদে টাকা দান করে থাকি।
কি’শোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা ম’সজিদ অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ ভূমির ওপর এই ম’সজিদটি গড়ে উঠেছিল। সময়ের বিবর্তনে আজ এ ম’সজিদের পরিধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্যও।
ম’সজিদকে কেন্দ্র করে একটি অ’ত্যাধুনিক ধ’র্মীয় কমপ্লেক্স এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রসারিত হয়েছে মূল ম’সজিদ ভবন। দেশের অন্যতম আয়কারী ধ’র্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত ম’সজিদটিকে পাগলা ম’সজিদ ইস’লামী কমপ্লেক্স নামকরণ করা হয়েছে। এ ম’সজিদের আয় দিয়ে কমপ্লেক্সের বিশাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ম’সজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতে অর্থ সাহায্য করা হয়।
Leave a Reply