cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
আম’রা ডিসি, এসপি, ইউএনও কাউকে বিশ্বা’স করি না; শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্বা’স করি। তিনি যদি নিজের মুখে বলেন, তা হলে আম’রা কাজে ফিরে যাব। তা না হলে ৩০০ টাকা মজুরি ছাড়া বাগানের কাজে যাব না। এসব কথা জানিয়ে কাজে যোগদান না করে ১৫তম দিনের অনির্দিষ্ট’কালের ধ’র্মঘট পালন করছে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের লস্করপুর ভ্যালির ২৪টি চা বাগানের শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার সকালেও বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা চুনারুঘাটের চান্দপুর বাগানে বি’ক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন শুরু করেছে। এ সময় তারা ৩০০ টাকা দৈনিক মজুরি ছাড়া কাজে ফিরবেন না বলে জানান। একই সঙ্গে ১২০ টাকা মজুরিতে কাজে যোগ দেওয়ার চুক্তিতে স্বাক্ষর করায় চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের বি’রুদ্ধেও বি’ক্ষোভ করেন। তাদের বি’রুদ্ধে দেওয়া হয় স্লোগান।
এদিকে শ্রমিকরা কাজে যোগ না দেওয়ায় সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জের জে’লা প্রশাসক (ডিসি) ইশরাত জাহান ও চুনারুঘাট উপজে’লা নির্বাহী কর্মক’র্তা (ইউএনও) সিদ্ধার্থ ভৌমিকসহ কর্মক’র্তারা চান্দপুর বাগানে যান। সেখানে তিনি শ্রমিকদের কাজে ফেরার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনাদের কাজে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছন, তিনি ভা’রত যাচ্ছেন, সেখান থেকে ফিরেই আপনাদের সঙ্গে কথা বলবেন এবং আপনাদের মজুরিসহ সব সমস্যা সমাধান করবেন। জে’লা প্রশাসনের এমন অনুরোধেও সাড়া দেয়নি ভ্যালীলি ২৫ হাজার চা শ্রমিক।
শ্রমিকরা জানান, রাতের আঁধারে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা ১২০ টাকা মজুরিতে যে স্বাক্ষর করেছেন, সেটি তারা মানেন না বলেও জানান।
চান্দপুর চা বাগানের শ্রমিক বীরেন তন্তুবায় বলেন, আম’রা আজকে ১৫ দিন ধরে কর্মবিরতি করছি ৩০০ টাকা মজুরির জন্য। এতে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এখন ১৪৫ টাকায় কাজে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
চান্দপুর চা-বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সাধন সাঁওতাল বলেন, আমাদের শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটি কাজে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়নি। তারা যদি প্যাডের মাধ্যমে চিঠি দিয়ে কাজে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়, তা হলে আম’রা কাজে যাব, তবে অবশ্যই ৩০০ টাকা মজুরি নিয়ে। এর কমে হলে আম’রা কাজে যাব না।
বাংলাদেশ চা কন্যা নারী সংগঠনের সভাপতি খায়রুন আক্তার বলেন, আম’রা ডিসি, এসপি ও ইউএনও কাউকে বিশ্বা’স করি না। শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্বা’স করি। তিনি যদি নিজের মুখে বলেন, তা হলে আম’রা কাজে ফিরে যাব। তা না হলে ৩০০ টাকা মজুরি ছাড়া বাগানের কাজে যাব না।
তিনি বলেন, আমাদের শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা রাতের আঁধারে গিয়ে হাত মিলিয়েছে। তাতেও লাভ হবে না। ৩০০ টাকা মজুরি ছাড়া কোনো শ্রমিক কাজে ফিরবে না।
তিনি আরও বলেন, নেতারা রাতে চো’রের মতো স্বাক্ষর করে এসেছে। আম’রা এসব নেতাকে ধিক্কার জানাই। তাদের পেলে আম’রা গণপি’টুনি দেব।
এ বিষয়ে চুনারুঘাট উপজে’লা নির্বাহী কর্মক’র্তা (ইউএনও) সিদ্ধার্থ ভৌমিক বলেন, ১৪৫ টাকা দৈনিক মজুরি নির্ধারিত হওয়ার পর শ্রমিকরা কাজে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। তবে সোমবার তারা কাজে যোগ দেননি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যাচ্ছে না।
তবে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, এ ভ্যালিতে প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক রয়েছে। তারা কেন কাজে যোগ দেননি আমি বলতে পারব না, আমি অ’সুস্থ।
দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্ট’কালের ধ’র্মঘট পালন করছেন চা শ্রমিকরা। মজুরি বাড়ানোর জন্য বাগান মালিক, মজুরি বোর্ড, চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক হয়। এতে দৈনিক মজুরি ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে শ্রমিকরা আ’ন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন।
Leave a Reply