cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
আর দুই দিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। কিন্তু ঈদ আনন্দের ছিটেফোঁটাও নেই হাওরাঞ্চলের মানুষের মাঝে। এবারের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর অনেকে কোরবানি দিতে পারবেন না। এর প্রভাব পড়েছে গরুর হাটে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাঙ্ক্ষিত ক্রেতার দেখা মিলছে না হাটগুলোতে।
এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা নিজেদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে পশু নিয়ে যাচ্ছেন। এরপরেও বিক্রি একেবারেই কম। সংশ্লিষ্ট মৌসুমী ব্যবসায়ী ও পাইকাররা বলছেন, হাটগুলোতে মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা বেশি। ফলে এসব গরুর দামও তুলনামূলক বেশি। অন্যদিকে উপজেলার প্রতিটি বাজারে উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। এ বিষয়ে প্রশাসনকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
জানা গেছে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অনেকে এবার হাটে যাননি। পাইকাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের খোঁজ করছেন। চাহিদা ও দামে মিললে পশু কেনাবেচা হচ্ছে। আবার অনেকে হাওর পাড়ের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে বিভিন্ন আকৃতির পশু কিনে নৌকা ও ট্রাকের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকা, সিলেট ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাটে পাঠাচ্ছেন।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন পশুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, পাইকার ও বানভাসি লোকজন হাটে তোলা পশু দেখতে আসছেন। কেউ কেউ কিনছেনও। তবে সারাদিন অপেক্ষা করেও কাঙ্ক্ষিত দামে পশু বিক্রি করতে পারছেন না কৃষক-ব্যবসায়ীরা। অনেকে বিক্রি করতে না পেরে ফিরে গেছেন। কেউ বিক্রি করলেও কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে অসন্তুষ্ট। জানা গেছে, হাটে বড়, মাঝারি ও ছোট সাইজের গরু উঠলেও দাম চড়া থাকায় অনেক ক্রেতা ফিরে গেছেন।
মাঝারি সাইজের গরু কিনতে হাটে এসেছিলেন সাজিদুর মিয়া ও রহমত আলী। কিন্তু বড় সাইজের গরুর তুলনায় মাঝারি সাইজের গরুর দাম বেশি। তাই পশু না কিনেই ফিরে গেছেন তারা। জানালেন, আগামীকাল অন্য হাটে যাবেন।
হাটে গরু বিক্রি করতে আসা জহুর আলম বলেন, ঘরের গরু বাজারে বিক্রি করতে এসেছি। কিন্তু ভালো দাম পাচ্ছি না। একই কথা বললেন তাহিরপুরের বাদাঘাট ইউনিয়নের বাদাঘাট বাজারের বিক্রেতা ও হাট ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা খোকন মিয়া। তিনি বলেন, পশুর হাটে বন্যার প্রভাব পড়েছে। আমাদের হাটে সবচেয়ে বড় গরুর দাম হাঁকা হয়েছে ৫-৬ লাখ টাকা। হাটে অনেক ক্রেতা আসছেন। ঘুরে ঘুরে গরু দেখছেন। তবে সেই তুলনায় বিক্রি একেবারে কম। এতো কম গরু বিক্রি এর আগে হয়নি।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবির বলেন, প্রতিটি হাটের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া যে সব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়নের জন্য ইজারাদারদের বলা হয়েছে। অন্যত্থায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, এবার তাহিরপুরে পাঁচ হাজার ২৫টি গরু ও মহিষ, ৮৭৫টি ছাগল ও বেড়া কোরবানি দেওয়া হবে।
Leave a Reply