cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
মোশতাক চৌধুরী : বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত অপরূপ ও মনোমুগ্ধকর ৃশ্যের এক লীলাভূমি সিলেট। অপার সম্ভাবনার ও ঐতিহ্যবাহী জনপ সিলেটে প্রধান জনগোষ্ঠির পাশাপাশি অনেক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির লোকেরাও বসবাস করে আসছেন আবহমান কাল থেকে এবং তারা সিলেটের ঐতিহ্যের অংশও বটে। ক্ষুদ্র এই সব গোষ্ঠির রয়েছে স্বতন্ত্র জীবন-বৈচিত্র্য ও আচার-আচরণ। নিম্নে তাদের বিষয়ে সংক্ষিপ্তভাবে আলোকপাত করা হলো:-
১) মণিপুরী
মণিপুরী জাতি একটি বিচিত্র জনগোষ্ঠির নাম। মণিপুরীদের আদি নিবাস ভারতের মণিপুর রাজ্যে। বর্তমানেও ভারতের মণিপুর রাজ্য ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় তারা বসবাস করে। এরা বার্মা-মণিপুর যুদ্ধের সময় ১৮১৯-১৮২৫ সালের দিকে মণিপুরের রাজা চৌরজিৎ সিংহ ও তার ুই ভাই মার্জিৎ সিংহ ও গম্ভীর সিংহ সহ সিলেটে আশ্রয় গ্রহন করেন, যুদ্ধ শেষ হলে কেউ কেউ চলেও যায়। এরে ভাষার নাম মণিপুরী ভাষা। ভাষা ু’ভাগে বিভক্ত, যেমন- ১) মৈতৈ, ২) বিষ্ণুপ্রিয়া। উৎস ও বিকাশের ক্ষেত্রভূমি অভিন্ন হওয়ায় উভয় ভাষার মধ্যে ব্যাকরণগত সামঞ্জস্য বিদ্যমান। তারে ভাষার মধ্যে পার্বত্য, নাগা ও কুকি ভাষার প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। জানা যায়, ১৯৭৬ সাল থেকে বাংলাদেশ বেতার সিলেট কেন্দ্র থেকে প্রতি সপ্তাহে “মণিপুরী অনুষ্ঠান” শিরোনামে অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়। মণিপুরীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব “মহারাস লিলা”। এদের অধিকাংশই সনাতন ধর্মের গৌড়িয় বৈষ্ণব ধারার অনুসারী। মণিপুরীদের মধ্যে ইসলাম ধর্মাবলম্বী লোকজনও আছেন, এরা মণিপুরী মুসলমান নামে পরিচিত। মৌলভী বাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় এদের বসবাস। এদেরকে পাঙন সম্প্রদায়ভুক্ত বলা হয়ে থাকে। বয়ন শিল্পে মণিপুরীরা অনেক এগিয়ে। তারা চাদর, গামছা, শাড়ী বেড- কভার বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করে বাজারজাত করছে, সিলেটে আসা পর্যটকদের এগুলো অনেক পছন্দের তালিকায় থাকে। উচ্চ শিক্ষিতের হার কম হলেও স্বাক্ষরতার হার ৯০ শতাংশ। মণিপুরী সাহিত্য ও সংস্কৃতি অনেক প্রাচীন। এদের বসবাস সিলেট শহরের ১১টি পাড়ায়, সিলেট সদর উপজেলার শাহপরাণে নিপবন আবাসিক এলাকায়, গোয়াইনঘাট উপজেলার লাখাত গ্রামে ও মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায়। মণিপুরী নৃত্য দেশ বিদেশে অনেক সুনাম অর্জন করেছে।
২) খাসিয়া বা খাসি
খাসিয়াদের প্রকৃত নাম হল খাসি। খাসিয়ারা প্রায় ১ হাজার বছরের প্রাচীন জৈন্তা রাজ্যে রাজত্ব করেছিল বলে “জৈন্তা রাজ্যের ইতিবৃত্ত” গ্রন্থ থেকে জানা যায়, বৃটিশদের ভারত উপমহাদেশের সর্বশেষ খল ও শাসন ছিল জৈন্তা রাজ্য। ১৮৩৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত জৈন্তা একটি স্বাধীন রাজ্য হিসেবে বিশ্বে পরিচিত ছিল। খাসিয়ারে গ্রাম গুলোকে তারা পুঞ্জি বলে, প্রত্যেক পুঞ্জির প্রধানকে তারা মন্ত্রী বলে থাকে। ড. সুনীতি কুমার চট্টোপধ্যায়ের মতে, খাসিয়ারা মঙ্গোলীয় ও অস্ট্রিক মানব গোষ্ঠির সংমিশ্রন। তাদের ভাষার নাম খাসি এবং বাংলা বর্ণমালা ব্যবহার করে লেখাপড়া করে। খাসিয়ারা মাতৃতান্ত্রিক এবং তাদের মধ্যে ৯২% লোক খৃষ্টান ধর্ম অনুসরণ করে, এবং ৮% লোক প্রকৃতি পূজার অনুসারী। তাদের মধ্যে একাধিক গোত্র আছে। কমলা, তেজপাতা, জুম চাষ ও পান চাষ তাদের প্রধান পেশা। সিলেটে খাসিয়াদের ৭টি পুঞ্জি, মৌলভীবাজারে ৬১টি পুঞ্জি, হবিগঞ্জে ৫টি পুঞ্জি এবং সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভপুর, তাহিরপুর ও ছাতকে খাসিয়াদের অনেক পুঞ্জি রয়েছে। স্বজাতিবোধ এদের মধ্যে প্রবল। বৃটিশ চুনাপাথর ব্যবসায়ী রবার্ট লিন্ডসে জৈন্তা রাজ্যের সর্বশেষ রাজা ইন্দ্রসিংয়ের বিষয়ে বলেছেন যে, তিনি খুবই সুসভ্য ছিলেন। তবে বিভিন্ন লেখকের লেখায় তাদের উগ্রতার পরিচয়ও পাওয়া যায়, যদি কারও উপর চটে যায়। জানা যায়, মোগল শাসকরা খাসিয়াদের আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য সীমান্তে সৈন্য মোতায়েন করেছিল এবং বৃটিশরাও তা-ই করতে হয়েছে। খাসিয়ারা সূুর অতীত থেকে এখন পর্যন্ত সীমান্তে ব্যবসা করে আসছে। তারে উপাসনালয়ের নাম গীর্জা। তারা একেশ্বরবাদী। সম্প্রতি কিছু খাসিয়া ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। মাতৃতান্ত্রিক সমাজবদ্ধ হওয়ায় ছেলেরা ঘরজামাই হয়ে শ্বশুরালয়ে থাকতে হয়। তাদের প্রবাদ হল-নারী থেকেই সভ্যতার সূচনা।
৩) ত্রিপুরা
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার টিপরাবাড়ী, শ্রীমঙ্গল উপজেলার টিপরাছড়া ও ডলুছড়ায় এবং হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সাতছড়ি রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকায় ফরেস্ট ভিলেজার হিসেবে ত্রিপুরাদের বসবাস। জুম চাষ করা তাদের প্রধান পেশা। এরা হিন্দু ধর্মালম্বী, বাঙালীদের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকায় নিজেদেরকে অনেক উন্নত করতে পেরেছে। আচার-ব্যবহার, পোশাক-আশাকে তারা মণিপুরীদের অনসরণ করে।
৪) পাত্র
প্রাচীন বিভিন্ন রেকর্ড পত্র অনুসারে পাত্র জাতির প্রকৃত নাম লালেং। সিলেট জেলা সদর ও গোয়াইনঘাট উপজেলার সতেরটি গ্রামে পাত্র সম্প্রদায়ের লোকজন বসবাস করে আসছে। অনেকে কাঠ বিক্রয় করে জীবিকা নির্বাহ করে, তবে তাদের প্রধান পেশা কৃষি কাজ। পাত্র জাতি হিন্দু ধর্ম অনুসরণ করে তাদের কোন পুরোহিত নেই। এরা বেশির ভাগই আর্থিকভাবে অসচ্ছল ও অতি দরিদ্র।
৫) গারো
সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলার মঙ্গলপুরে গারো বস্তি রয়েছে! সুনামগঞ্জ জেলার সদর, তাহিরপুর ও ধর্মপাশা উপজেলার কিছু অংশে গারো জাতির লোকজন বসবাস করে। বেশির ভাগ গারো খৃষ্টানধর্ম অনুসরণ করে। তবে খুব অল্প সংখ্যক গারো সাংসারেক নামে পরিচিত। তাদের গ্রাম প্রধানকে বলা হয় নাকমা। তাদের প্রিয় খাবার হলো শুটকি মাছ বা নাখাম আর পঁচা মদ। তাদের প্রধান পেশা কৃষিকাজ, জুম চাষ, পাখি ও মাছ শিকার এবং পশু পালন করা।
৬) হাজং
সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভপুর, ধর্মপাশা, তাহিরপুর ও মধ্যনগর উপজেলায় হাজংরা বসবাস করে। তাদের প্রধান পেশা কাপড় বোনা হলেও অনেকে কৃষি কাজ করে। তারা সাধারণত হিন্দু ধর্ম অনুসরণ করে এবং পিতৃতান্ত্রিক পরিবার প্রথায় বিশ্বাস করে। তারা তিব্বতীয়া বর্মী ভাষায় কথা বলে এবং আসামী বাংলা ভাষায়ও কথা বলতে শোনা যায়।
৭) হালাম
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার হালামবাড়ি নামক জায়গায় তারা বসবাস করে। তাদের প্রধান পেশা জুম চাষ করা। হালাম জাতির জনসংখ্যা প্রায় ১০ হাজারের মতো। তবে সিলেটে এদের সংখ্যা হাতে গুণা মাত্র।
চা বাগানের শ্রমিক
সিলেটের আদিবাসী হিসাবে যারা পরিচিত তাদের পূর্বপুরুষরা ভারত থেকে চা বাগানের শ্রমিক হিসাবে বৃটিশ আমলে সিলেটে পাড়ি জমায়। তাদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে। তবে কোন বর্ণমালা না থাকায় বাংলায় পরিবর্তিত করে কথা-বার্তা বলে থাকে। এখনো তারা বিভিন্ন চা বাগানের চা শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। তাদের মধ্যে অনেক গোত্র রয়েছে। যেমন- ১. ওঁরাও, ২. সাওতাল, ৩. ভুঁইয়া, ৪. ভুমিজ, ৫. পাশি, ৬. ঘাসি, ৭. উড়িয়্যা বা পান, ৮. দোসদ, ৯. রবিদাস, ১০, মুন্ডা, ১২. পরধান, ১৩. সবর।
ক) ওঁরাও
ওঁরাও জাতি বর্তমান ভারতের জলপাইগুড়ি, পৌলামী, দিনাজপুর ও উড়িষ্যা থেকে এসেছে সিলেটে। বর্তমানে তারা গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং, শমসের নগর উপজেলার, জুড়ি উপজেলা, বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করে। তারা চন্দ্র ও সূর্যের পূজা করে। তাদের দেবতার নাম ধরমেশ। তারা ‘সহরাই’ অনুষ্ঠান পালন করে এবং হাড়িয়া তাদের প্রিয় মদ।
খ) সাঁওতাল
সাঁওতাল জাতির জনগুষ্ঠির পূর্ব পুরুষ ভারতের বাকুরা, মেদিনীপুর, বীরভূম ও বর্ধমান জেলা থেকে এসেছে। তারা বর্তমানে সিলেটের করিমপুর, তেলিয়াপাড়া, সুরমা, কামারছড়া, ডাবলছড়া ও চাতলপুর চা বাগানে বসবাস করে। সাঁওতালরা পুণঃজন্মে বিশ্বাসী। তাদের প্রধান দেবতার নাম সুর্য। তারা মৃতদেহ াহ করার পর অস্থি নীতে বিসর্জন দেয়।
গ) ভুঁইয়া
ভুঁইয়া জাতির পূর্ব পুরুষরা বর্তমানে ভারতের সাওতাল পরগানা, ভাগলপুর, গয়া ও উড়িষ্যা সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে সিলেটে এসেছে। তারা সিলেটের ইটা, বুড়বুড়িয়া, ভাড়াউড়া, চাতলাপুর, কালীঘাট ও আলী নগর চা বাগানে বর্তমানে বসবাস করে। এরা বিহারের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে। তারা ধর্মীয় বিভিন্ন পূজা ছাড়াও ‘করম’ পুজা করে থাকে। হাড়িয়া তাদের প্রিয় মদ। তারা মৃতদেহ সমাধিস্থ করে।
ঘ) ভূমিজ
ভূমিজ’রা ভারতের সিংভুম, উড়িষ্যা ও মালভূম থেকে এসে এদেশে বসবাস করছে। তারা সিলেটের করিমপুর, লালচান, লংলা, তেলিয়াপাড়া ও ইটা চা বাগানে কাজ করছে। ভূমিজরা খুবই পরিশ্রমী। তারা বাংলা ও বিহারের মিশ্রিত ভাষায় কথা বলে, তারা সহরাই ও গৃহপালিত পশুর পূজা করে থাকে। তারা মৃতদেহ দাহ করেনা, সমাধিস্থ করে থাকে।
ঙ) পাসি
পাসি জনগোষ্ঠির পূর্বপুরুষরা এসেছে ভারতের চাব্বিস পরগনা ও বিহার থেকে। সিলেটের মাধবপুর, গাজিপুর ও বরমচাল এলাকায় তারা বসবাস করছে। এরা ভুজ বুজপুরী ভাষায় কথা বলে। অনেক আগে তারা মৃতদেহ নদীতে ভাসিয়ে দিত, বর্তমানে সমাধিস্থ করে। তাল ও খেজুরের রস আহরণ এবং তাড়ি তৈরী করে এরা জীবিক নির্বাহ করে।
চ) ঘাসি
ঘাসি জনগোষ্ঠি ভারতের জলপাইগুড়ি, মধ্যভারত, ছোট নাগপুর ও চাব্বিশ পরগনা জেলা থেকে এসেছে। বর্তমানে খেজুরী ছড়া ও মৃতিংগা চা বাগানে বসবাস করে। ‘নারেক’ পদবী ব্যবহার করে। তাদের উল্লেখযোগ্য উৎসবের নাম ‘ঝুমুর’।
ছ) উড়িয়া বা পান
উড়িয়্যা জনগোষ্ঠি মেদিনীপুর, চাব্বিস পরগনা ও উড়িষ্যা থেকে এসেছে। সিলেটের চাদবাগ, লালচান ও তেলিয়াপাড়া চা বাগান এলাকায় তারা বসবাস করছে। এরা মঙ্গলা পুজারী। বস্ত্রবরন, ঝুড়ি তৈরী ও বিক্রি করে এরা জীবিকা নির্বাহ করে।
জ) দোসদ
দোসদ’রা ভারতের হুগলী, বিহার ও বর্ধমান থেকে এসেছে। তারা বর্তমানে সিলেটের চম্পরায় ও শমসের নগর, চা বাগান এলাকায় বসবাস করছে। তারা মৃতদেহ কবর দেয়। এরা রাহ ও ডিহ পুজা পালন করে। পুজার সময় শুকর বলি দেয়।
ঝ) রবিদাস : ভারতের উড়িষ্যা, চব্বিশ পরগনা ও মালভূম থেকে রবিদাস জনগোষ্ঠি সিলেটে এসেছে। তারা বর্তমানে সিলেটের মাধবপুর, গাজিপুর ও বরমচাল চা বাগানে বসবাস করছে। চা শ্রমিক হিসাবে তারা এখনো কাজ করে। তবে কেউ কেউ লেখাপড়া করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করছে। তারা মৃতদেহ সমাধিস্থ করে। তাদের হিন্দি মিক্সড করে কথা বলে।
ঞ) তুরী
ভারতের মালদেহ, ছোট নাগপুর ও দিনাজপুর থেকে তুরী’রা এসেছে। তারা সিলেটের পাথখোলা, চম্পরায়, চাতলাপুর ও শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগানে বসবাস করছে। তারা বেত ও বাঁশের তৈরী জিনিসপত্র বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। এরা মৃতদেহ সমাহিত করে এবং ‘সহরাই’ পুজা পালন করে থাকে।
ট) মুন্ডা
ভারতের চব্বিশ পরগণা, সিংভূম, জলপাইগুড়ি প্রভৃতি এলাকা থেকে মুন্ডা জনগোষ্ঠি এসেছে। বর্তমানে সিলেটের নারায়ণছড়া, আলীনগর, ধামাই প্রভৃতি জায়গা সমূহে কয়েক হাজার মানুষ বসবাস করছে। কৃষি কাজ করে এরা জীবিকা নির্বাহ করে। এরা পরজন্মে বিশ্বাসী। তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ও বিধবা বিবাহ প্রচলিত। মৃতদেহ কেউ কেউ দাহ করে আবার কেউ কেউ সমাধিস্থ করে।
ঠ) পরধান
পরধান জনগোষ্ঠির পূর্ব পুরুষরা ভারতের সেঁওতি ও চান্দা নামক জায়গা থেকে এসেছে। তারা বর্তমানে সিলেটের সোনাতলা, ফুলতলা, লংলা প্রভৃতি চা বাগানে বসবাস করছে। চা শ্রমিক হিসাবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। হাড়িয়া তাদের প্রিয় মদ।
ড) শবর
ভারতের গঞ্জাম পুরী ও বাটক থেকে শবর জনগোষ্ঠি এসেছে। তারা সিলেটের শমসের নগর ও ভাড়উড়া চা বাগানে বসবাস করছে। ভুজপুরী মিশ্রিত ভাষায় তারা কথা বলে। তাদের নিজস্ব কোন বর্ণমালা নেই। তারা মৃতদেহ সমাধিস্থ করে এবং প্রকৃতি পূজা করা তাদের কাজ।
লেখক : মোশতাক চৌধুরী
ব্যাংকার ও শেকড় সন্ধানী লেখক, সিলেট।