cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
বিলবোর্ড টাঙিয়ে এসএসসি পরীক্ষার জন্য দোয়া চেয়েছেন পাবনার বেড়ার পাঁচ শিক্ষার্থী। মাশরাফি, সাহেদ, নাহিদ, রাফিদ ও সামি নামের ওই শিক্ষার্থীদের বিলবোর্ডের ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
শিক্ষার্থীদের দাবি, ভাইরাল হওয়ার জন্য তারা এ কাজ করেননি। পরীক্ষার প্রস্তুতির সঙ্গে ভাগ্যের কথা ভেবে সবার দোয়া চেয়েছেন তারা। বিষয়টিকে ইতিবাচক ও সৃজনশীলতার দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন স্কুলের শিক্ষকসহ পরিচালকবৃন্দ।
ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে পাবনার বেড়া উপজেলার ব্যস্ততম কাশিনাথপুর মোড়ে ‘কাশিনাথপুর বিজ্ঞান স্কুল’ নামের স্কুলটি অবস্থিত । ওই স্কুলেরই বিজ্ঞান বিভাগের পাঁচ শিক্ষার্থীর সবার বয়স ১৬-১৭ বছর। সহপাঠীর পাশাপাশি পরস্পরের তারা খুব ভালো বন্ধু বলে জানা যায়। সপ্তম শ্রেণি থেকে ওই স্কুলে পড়াশোনা করছেন তারা। আগামী ১৯ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন তারা। আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার জন্য দোয়া চেয়ে নিজেদের নাম দিয়ে বিলবোর্ড টাঙিয়েছিলেন ওই পাঁচ শিক্ষার্থী। বিলবোর্ডে লাগানোর দুই তিন দিনের মধ্যে ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নেতিবাচক আর ইতিবাচক মন্তব্যে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
ভাইরাল হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন, বেড়া উপজেলার জাতসাকিনী ইউনিয়নের কাবাসকান্দা গ্রামের ইফতেখার উদ্দিন আহমেদের ছেলে সুহায়িব আহমেদ সাহেদ, একই গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে অমিত হাসান রাফিদ, একই ইউনিয়নের নয়াবাড়ি গ্রামের মোহন মোল্লার ছেলে নাহিদ হাসান, আহম্মেদপুর ইউনিয়নের দ্বারিয়াপুর গ্রামের খন্দকার শহিদুল্লার ছেলে সামি খন্দকার ও একই গ্রামের খন্দকার আব্দুল আল মামুনের ছেলে খন্দকার মাশরাফি।
শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান বলেন, কোনো পূর্ব পরিকল্পনা ছিল না এমন কিছু করার। আমরা গত ৪ জুন একটা প্রেসের সামনে দাঁড়িয়ে পাঁচ বন্ধু কথা বলছিলাম। সেখানে একটি ডিজিটাল বিলবোর্ড দেখে মাথায় আসে এরকম একটা আমরা বানাতে পারি কি না। তখন নিজেরাই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেই ফেস্টুন বানানোর।
শিক্ষার্থী অমিত হাসান রাফিদ বলেন, যেহেতু আমরা রাজনীতি করি না। সেহেতু কী উদ্দেশ্যে ফেস্টুন বানানো যায় সেই চিন্তা করি। তখন আমাদের মাথায় আসে আমরা পরীক্ষার্থী। সবার কাছে দোয়া চেয়ে আমরা একটা ফেস্টুন বানাতে পারি। সেই চিন্তা থেকে মূলত আমরা ডিজিটাল ফেস্টুন বানাই।
সাহেদ বলেন, ৪ জুন আলোচনার পর স্থানীয় সবুজ ডিজিটাল প্রেসে তিনটা ফেস্টুন বানাতে দেই। খরচ হয় এক হাজার টাকা। পর দিন ৫ জুন কাশিনাথপুর মোড়ে পুলিশ বক্সের পাশে, ফুলবাগান চত্বরে ও বিজ্ঞান স্কুলের সামনে এই তিন জায়গায় তিনটা ফেস্টুন টাঙিয়ে দেই। আমরা কেউ ফেসবুকে ফেস্টুনের কোনো ছবি পোস্ট করিনি। কাশিনাথপুর মোড়ে পুলিশ বক্সের পাশে টাঙানো ফেস্টুনের ছবি কেউ একজন ফেসবুকে শেয়ার করলে ভাইরাল হওয়ার পর আমাদের নজরে আসে।
মাশরাফি বলেন, আমরা ভাইরাল হওয়ার জন্য এটা করিনি। ভাবিনি যে, এমন একটা বিষয় ভাইরাল হবে। আমরা শুধু নিজেদের এসএসসি পরীক্ষার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছি। ফেসবুকে বিষয়টি ভাইরাল হওয়ায় অনেক নেতিবাচক মন্তব্য দেখে গত ৭ জুন বিলবোর্ডগুলো নামিয়ে ফেলি। এ কাজে আমাদের কেউ নিষেধ করেনি। আমাদের ফেস্টুন করার বিষয়টি পরিবার বা শিক্ষকরা কেউ জানতেন না। তবে এবিষয়ে প্রতিদিনের সংবাদ এর প্রতিবেদকের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন ঐ পাঁচ পরিক্ষার্থী।
বিজ্ঞান স্কুলের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আমিরুল ইসলাম সানু বলেন, আসলে ওরা বিষয়টি না বুঝে হয়তো করেছে। ফেসবুকে অনেকে নেতিবাচক মন্তব্য করেছে। আবার অনেকেই এটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখেছেন। আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষ না জানার কারণে কিছুটা বিব্রতও হয়েছি। তবে তারা অন্যায় কিছু করেনি বলে মনে করি।
Leave a Reply