cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
মতিউর রহমান মুন্না : প্রবাসে স্ট্রোকে বাংলাদেশিদের মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এসব মৃত্যু অনেকটাই নিয়তিতে পরিণত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন স্বজনদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা ও নানা কারণে মানসিক চাপে হতাশায় স্ট্রোক করেন এসব প্রবাসী। ইউরোপের দেশ গ্রিসেও বেড়েই চলছে বাংলাদেশি রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর সংখ্যা।
এথেন্স দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, গ্রিসে ২০১৫ থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত মোট ১০৯ জন বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪৫ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন। ২০২১-২২ অর্থ ৩৭ জন ও ২০২২ সালের সর্বশেষ ৫ মাসে প্রায় ১৫ জন বাংলাদেশি রেমিট্যান্সযোদ্ধা মারা গেছেন বিভিন্নভাবে। জরিপে দেখা গেছে এদের মাঝে বেশিরভাগই স্ট্রোকে মৃত্যু।
আঞ্চলিক কমিটি ও বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিসের সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ দূতাবাস এথেন্সের তত্ত্বাবধানে অনেকের মরদেহ দেশে পাঠানো হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী কয়েকজনের মরদেহ গ্রিসেই দাফন করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) বিশ্বজিত কুমার পাল বলেন, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়ায় বেশিরভাগ ব্যক্তি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
তিনি জানান, পর্যালোচনা করে দেখা গেছে কেউ জমি বিক্রি করে, কেউ ঋণ করে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে গ্রিসে এসেছেন। বৈশ্বিক করোনা মহামারির মন্দা পরিস্থিতিতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে গ্রিসে আসার পর কর্মহীন প্রবাসীরা ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে মানসিক চাপে ভোগেন।
তাদের বেশিরভাগ প্রবাসীই মারা গেছেন হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেইন স্ট্রোকে। তাদের অনেকের বয়সই ৩০-৪০ বছর। এমন মৃত্যু পরিবারের কাছেও অপ্রত্যাশিত। বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতিতে অবৈধভাবে কেউ যেন কাজের ক্ষেত্র নিশ্চিত না হয়ে বিদেশে পাড়ি না জমান, এজন্য অনুরোধ করেছেন দূতাবাসের এই কর্মকর্তা।
প্রবাসে মৃত ব্যক্তিদের স্বজন, প্রবাসী বাংলাদেশি ও অভিবাসন খাত-সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চ অভিবাসন ব্যয় প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ানোর অন্যতম কারণ। ঋণ নিয়ে বিদেশে গিয়ে টাকা শোধ করার চাপের কারণে অতিরিক্ত কাজ করার প্রবণতা রয়েছে শ্রমিকদের মধ্যে। অবৈধভাবে থাকা অনেকেই কোন কাজ করার সুযোগ না পেয়ে বেকার অবস্থায় থাকেন।
থাকা ও খাবারের টাকা দেশ থেকে নিয়ে পরিশোধ করেন। ১২ থেকে ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করার কারণে নিয়মিত ঘুমানোর সুযোগ পান না শ্রমিকেরা। এসব কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। অথচ বাংলাদেশে বছরে প্রায় দেড় হাজার কোটি ডলার প্রবাসী আয় যায়। দ্বিতীয় বৈদেশিক আয়ের এ খাতে সরকারের তেমন কোনো বিনিয়োগ নেই। প্রবাসীদের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে দূতাবাসগুলোর জনবল ঘাটতির কথা বলা হয় প্রায়ই।
অভিযোগ রয়েছে, প্রবাসীদের অস্বাভাবিক মৃত্যু তদন্তে কোনো উদ্যাগ নেই সরকারের। মৃত্যুর কারণ যাচাই-বাছাই করে দেখা হয় না। প্রবাসী কর্মীদের কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও নেই কোনো নজরদারি। বছরের পর বছর অস্বাভাবিক মৃত্যু বাড়তে থাকলেও তা প্রতিরোধে সক্রিয় হচ্ছে না সরকার।
Leave a Reply