cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করার অ’প’রাধে তিন যাত্রীকে জ’রিমানা করার জন্য টিটিইকে বরখাস্তের ঘটনা এখন আ’লোচিত। দেশজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এ ব্যাপারে এবার মুখ খুললেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইস’লাম সুজন নিজেই।
শনিবার (৭ মে) গণমাধ্যমকে তিনি জানান, ‘বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করা যাত্রীরা আমা’র আত্মীয় নয়; ওদের সঙ্গে আমা’র কোনো স’ম্পর্ক নেই। মন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে কেউ হয়তো সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেছে। ঘটনার সঙ্গে আমা’র কোনো স’ম্পর্ক নেই।’এ ঘটনার কিছুই তিনি জানতেন না দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন শনিবার সকালেই। তিনি রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মক’র্তাদের কাছ থেকে শুনেছেন ওই টিটিই বিনা টিকিটের যাত্রীদের সঙ্গে অ’ত্যন্ত খা’রাপ আচরণ করেছেন। ফলে তার বি’রুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, রেলের অফিশিয়াল কার্যক্রমের সঙ্গে মন্ত্রীর কোনো সংযোগ নেই। ঘটনার সঙ্গে মন্ত্রীর কোনো আত্মীয় জ’ড়িত নন। রেল কর্মক’র্তারা ওই টিটিইর বি’রুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে মন্ত্রী কিছুই জানতেন না।
মন্ত্রী আরও বলেন, আম’রা রেলসেবা বাড়াতে কাজ করছি। বিনা টিকিটের যাত্রী যদি মন্ত্রীর আত্মীয়ও হয় তার বি’রুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। একইভাবে কোনো রেল কর্মক’র্তাও যদি যাত্রীদের সঙ্গে খা’রাপ আচরণ করে তাকেও শা’স্তি পেতে হবে। যাত্রীদের সঙ্গে খা’রাপ আচরণ করার কারণে টিটিইর বি’রুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রীর আত্মীয়ের নাম জড়িয়ে যা প্রচার করা হচ্ছে তা মিথ্যা বলেও দাবি করেন নুরুল ইস’লাম সুজন।
রেলমন্ত্রী বলেন, মাঝেমধ্যেই টিটিই’রা বিভিন্নভাবে যাত্রীদের সঙ্গে খা’রাপ আচরণ করেন; বিভিন্নভাবে হে’নস্তা করেন এমন অ’ভিযোগ আম’রা প্রায়ই পাচ্ছি। তবে লোকবল সংকটের কারণে আম’রা এ সবের বি’রুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারি না। তবে একেবারেই ছাড় দিলে রেলের দুর্নাম হয়ে যায়। তাই টিটিইদের বি’রুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এর আগে রেলওয়ে পাকশী বিভাগের একজন ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শককে (টিটিই) সাময়িক বরখাস্ত করে। অ’ভিযোগ পাওয়া গেছে, রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণকারী ৩ যাত্রীর কাছ থেকে জ’রিমানাসহ টিকিটের টাকা আদায় করায় তাকে বরখাস্ত করা হয়।
তবে রেলওয়ে জানিয়েছে, যাত্রীদের সঙ্গে খা’রাপ আচরণ করায় তাকে বরখাস্ত করা হয়।
বরখাস্ত টিটিই মো. শফিকুল ইস’লাম রেলওয়ে পাকশী বিভাগের ঈশ্বরদী সদর দপ্তরে কর্ম’রত ছিলেন। বরখাস্ত হওয়ায় গতকাল শুক্রবার তিনি কাজে যোগ না দিলে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
ঘটনার বিষয়ে শফিকুল ইস’লাম জানান, গত বৃহস্পতিবার খুলনা থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসে ঈশ্বরদী থেকে ৩ জন যাত্রী বিনা টিকিটে এসি কেবিনে উঠে বসেন। তারা নিজেদের রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দেন। শফিকুল ওই ৩ যাত্রীকে নন-এসি টিকিটের ভাড়া হিসেবে ৩৫০ টাকা করে এক হাজার ৫০ টাকা নিয়ে নন-এসির টিকিট দেন।
শফিকুল ইস’লাম বলেন, ‘তাদের কাছ থেকে মোট ১ হাজার ৫০ টাকা ভাড়া আদায় করেছি এবং তার রিসিটও দিয়েছি। এ সময় তাদের সঙ্গে আমি কোনো খা’রাপ আচরণ করিনি এবং তারাও কিছু বলেননি। খা’রাপ আচরণ করার তো প্রশ্নই ওঠে না।’
এ সময় রেলের অন্যান্য কর্মক’র্তারা উপস্থিত ছিলেন জানিয়ে শফিকুল বলেন, ‘তারা এসি কা’ম’রাতে বসেই ঢাকা এসেছেন। বিষয়টি নিয়ে ট্রেনের মধ্যে কোনো সমস্যা না হলেও পরবর্তীতে ঢাকা পৌঁছানোর পর ওই যাত্রীরা আমা’র বি’রুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্মক’র্তাদের কাছে অসদাচরণের অ’ভিযোগ করেছেন বলে শুনেছি এবং এরপর আমাকে বরখাস্ত করা হয়।’
টিটিই শফিকুল ইস’লামকে বরখাস্তের বিষয়টি জানানো হয় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে।
অ’ভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের বাণিজ্যিক কর্মক’র্তা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘যাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণের অ’ভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’
তিনি জানান, এ ঘটনায় মো. ইম’রুল কায়েস প্রান্ত একটি লিখিত অ’ভিযোগ দিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষের কাছে।
অ’ভিযোগে বলা হয়েছে, ৫ মে দিবাগত রাত সোয়া ২টায় ঈশ্বরদী স্টেশনে গিয়ে টিকিট পাননি অ’ভিযোগকারী। তখন ট্রেন চলে আসায় তিনি ও তার সঙ্গে থাকা অ’পর ২ জন ট্রেনে উঠে পরেন।
অ’ভিযোগে তিনি লিখেছেন, ‘আমিসহ আমা’র ছোট ২ মামা তারাহুরা করে ট্রেনের যেখানে জায়গা পাব সেখানেই বসে পরব এমন অবস্থায় ট্রেন ছাড়ার অবস্থায় আম’রা কোনোমতে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে দরজার সামনে উঠে পড়ি। ট্রেন চলার মিনিট ৩০ এর মধ্যে টিটিই আমাদের সামনে টিকিট চাইলো। আমি বলি ট্রেনে উঠতে তারাহুরাতে টিকিট কাটতে পারি নাই।’
‘বললো কয়জন আমি বলি ৩ জন তখন বলে ৫০০ করে ১৫০০ টাকা দেন আমি তাকে টাকা দেই এবং বলি সাধারণত ৩০০ টাকা ভাড়া আপনি ৫০০ করে নিলেন। এবার টিকিট দেন ১৫০০ টাকার। উনি বলে টিকিট চাইলে ৩৬০০ করে ৩ জন দেন তাহলে টিকিট দিচ্ছি।’
‘আমি বললাম টেক্সটাইলে চাকুরী করি আমা’র পক্ষে এতো টাকা দেওয়া সম্ভব না। আপনি ১৫০০ টাকার টিকিট দেন, এ কথা বিনয়ী সাথে বলেছি। হঠাত করে উনি অনেক উচ্চ স্বরে বলে যে ট্রেন কি তোর বাপের লাথি দিয়ে দরজা দিয়ে বাহিরে ফেলে দিবো। তারপর বাবা, মা তুলে মুখে যা আসে তাই বলে আমাকে গালি দেই (দেয়)।’
এ ঘটনায় তিনি ম’র্মাহত উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘আমি বাংলাদেশ রেলওয়ের উর্দ্ধতম কর্মক’র্তাদের জানাচ্ছি টিটিই শফিকুল ইস’লামের বি’রুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হক।’
আবেদনে মো. ইম’রুল কায়েস প্রান্তর সই রয়েছে। তবে, তার এবং তার সঙ্গে থাকা অ’পর ২ জনের সুনির্দিষ্ট পরিচয় জানা যায়নি।
রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের বাণিজ্যিক কর্মক’র্তা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘যাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণের জন্য গত ৩ মাস আগে টিটিই শফিককে পাকশী দপ্তরে বুক অফ করা হয়। তারপর তিনি যাত্রীদের সঙ্গে এমন আচরণ করবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর তাকে কর্মস্থলে ফেরত পাঠানো হয়।’
গতকালের ঘটনায় ব্যাখ্যার জন্য টিটিই শফিককে আগামী রোববার ডিসিও পাকশী দপ্তরে তলব করা হয়েছে জানিয়ে নাসির উদ্দিন বলেন, ‘সরকারি পরিবহন কর্মক’র্তা পাকশীকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এই ঘটনা ত’দন্তে।’
Leave a Reply