cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ঈদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গোয়াইনঘাটের জাফলং পর্যটন কেন্দ্রে পর্যট’ক দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বুধবার সকাল হতে ঢল নামে দেশের অন্যতম এ পর্যটন কেন্দ্রে। দেশ-বিদেশের রেকর্ড পরিমাণ পর্যট’ক, দর্শনার্থীদের পদভা’রে যেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মতো লাগছে জাফলংকে।
ঈদুল ফিতরের আনন্দ পরিবার পরিজন নিয়ে কা’টাতে জাফলংকে বেছে নেন তারা।
বুধবার সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, পুরো জাফলং যেন লোকে লোকারণ্য।পিকআপ, প্রাইভেট কার, বাস ও ট্রাকযোগে পর্যট’কওদর আনাগোনা শুরু হয়। পুরো এলাকা ছিলো পর্যট’কবাহি যানবাহনে সারি। সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের গুচ্ছগ্রাম থেকে তামাবিল পর্যন্ত দীর্ঘকায় যানযটে ছিলো চোখে পড়ার মতো। প্রচন্ড গরমে চরম ভোগান্তিতে পড়েন আগন্তকরা। পর্যট’ক সেবায় ব্যস্ততায় দেখা যায় পর্যট’ক স্বেচ্ছাসেবক,নিযু’ক্ত টুরিস্ট পু’লিশ।
জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে প্রতিটি পর্যটন স্পটের গুরুত্বপূর্ণ সবকটি পয়েন্টে সার্বক্ষনিক পর্যট’ক নিরাপত্তায় থা’না পু’লিশের এসআই এম’রুল, এএসআই মশিউর রহমানের সমন্বয়ে একাাধিক টিমের টহল চোখে পড়ে। সাতার না জানা পর্যট’ক মৃ’ত্যু হ্রাসে হ্যাণ্ড মাইক হাতে পর্যট’কদের সতর্কতামুলক নির্দেশনা দিতে দেখা যায় পর্যটন পু’লিশের ইন্সপেক্টর রতন শেখকে। লাইফ জ্যাকেট জরুরি উ’দ্ধার সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুত থাকতে দেখা যায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের।
গাজিপুর থেকে আসা পর্যট’ক দম্পতি সোহেল মাহমুদ তামান্না ইস’লাম বলেন, ‘সারা দেশ এমনকি বহিঃবিশ্বেও জাফলং পর্যটন কেন্দ্রের আলাদা পরিচিতি রয়েছে। জাফলং আগেও এসেছি আজও আসছি। খুব ভালো এখানকার পরিবেশ প্রকৃতি। পাহাড় টিলা সবুজের সমা’রোহ,স্বচ্ছ জলারাশি, দিগন্ত জুড়ে নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক মনোমুগ্ধকর দৃশ্যাবলি পর্যট’কদের হৃদয়ে বাড়তি আনন্দের খোরাক জোগায়।’
তারা বলেন, ‘সরকারি উদ্যোগে জাফলংকে দ্রুত পর্যটন অবকাঠামোগত উন্নয়নের আওতায় নিয়ে আসা হলে জাফলং থেকে প্রতি বছর সরকার প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব আদায় করতে পারবে। এ থেকে স্থানীয় বৃহৎ জনগোষ্ঠীর পর্যটনখাতে জ’ড়িত হয়ে কর্মসংস্থানও তৈরি হবে।পিকআপ ভ্যানে সামিয়ানা টানিয়ে আর বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থেকে এসেছেন তানভির, জিসান,কায়সার,অমল,মিলন,সোহাগসহ ১৬ সদস্যের একটি প্যাকেজ টিম।
কলেজে পড়ুয়া এসব শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রতি বছর ঈদের ঘুরাঘুরিতে তারা জাফলং আসে,এবারও এসেছেন। জাফলংয়ে রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের অ’পার ভান্ডার। বেড়াতে আসা পর্যট’ক,দর্শনার্থীদের জন্য অবকাঠামোগত সুবিধা প্রসারিত করনে সরকারের প্রতি তাগিদ দেন তারা।
ময়মনসিংহের গৌরীপুর থেকে আসা শিক্ষক পর্যট’ক বলেন, ‘আমি বহুবার জাফলং এসেছি। কিন্তু জাফলংয়ের আগের সেই আগের নয়াভিরাম দৃশ্য নেই।’
জাফলঙয়ের পূর্বের রূপ লাভন্য ফিরিয়ে আনতে ইকো সিস্টেম চালুর পাশাপাশি পর্যটনখাতে সরকারের বিনিয়োগ বাড়ানো একণই দরকার বলে মনে করেন তিনি।।
দুপুর ২টায় জাফলং জিরো পয়েন্টে প্রখর রোদে হ্যান্ড মাইক হাতে পর্যট’কদের উদ্দেশ্যে সতর্কতামুলক নির্দেশনা দিতে দেখা যায় টুরিস্ট পু’লিশের ইন্সপেক্টর রতন শেখকে।
কথা হলে তিনি বলেন, ‘প্রতি বছরের ন্যায় এবারও জাফলংয়ে ঢল নেমেছে ঘুরতে আসা পর্যট’ক দর্শনার্থীদের। সর্বত্রই মুখরিত পরিবেশ। আগন্তুকদের নিরাপত্তার কাজে আমাদের প্রচেষ্টার কোনো কমতি নেই। পর্যট’কদের নিরাপদ আগমন ও নিরাপদ প্রস্থানের জন্য আমাদের টুরিস্ট পু’লিশের পক্ষ থেকে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
গোয়াইনঘাট থা’নার ভা’রপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা (ওসি) কেএম নজরুল জানান, জাফলংসহ গোয়াইনঘাটের সবকটি পর্যটন স্পষ্টের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় থা’না পু’লিশের একাধিক টিম কাজ করছে। চু’রি ডা’কাতি ছিনতাই ইভটিজিং রোধে পোষাকধারী ইউনিটের পাশাপাশি সাদা পোষাকেও টহল জো’রদার করা হয়েছে। যে কোনো মূল্যে জাফলংসহ সবকটি স্পটে বেড়াতে আসা ভ্রমনপ্রেয়সীদের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে।
গোয়াইনঘাটের উপজে’লা নির্বাহী কর্মক’র্তা তাহমিলুর রহমান জানান, দুটি ঈদসহ সরকারি বিভিন্ন ছুটিতে জাফলংসহ গোয়াইনঘাটের পর্যটন স্পট সমুহে ঢল নামে পর্যট’ক-দর্শনার্থীদের।এবারও তার ব্যত্যয় হয়নি।পর্যট’কদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষনিক তদারকির ব্যবস্থা করা হয়েছে। টুরিস্ট ও থা’না পু’লিশ বিভাগের পাশাপাশি পর্যটন স্বেচ্ছাসেবকসহ বাড়তি নজরদারি রয়েছে।পর্যট’কদের নিরাপদ আগমন এবং ফিরে যাওয়া পর্যন্ত অবস্থানকালীন সময়ে তাদের যে কোন সহযোগিতায় প্রশাসন পাশে থাকবে।
Leave a Reply