cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটের বি’রুদ্ধে হওয়া চার মা’মলার তিনটিতেই জামিন পেয়েছেন তিনি। দু’র্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মা’মলায় গত ১৩ এপ্রিল তার জামিন নাকচ করে দেন আ’দালত। এই মা’মলার জামিন হলেই সম্রাটের মুক্তি পাওয়ায় আর কোনো বাধা থাকবে না।
সম্রাটের আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী সময়ের আলোকে বলেন, সম্রাটের বি’রুদ্ধে চারটি মা’মলার মধ্যে তিনটি মা’মলার জামিন মঞ্জুর করেছেন আ’দালত। এখন শুধু দুদকের করা একটি মা’মলা রয়েছে। ওই মা’মলায় জামিন পেলে কারাগার থেকে মুক্তি পেতে আর বাধা নেই। অন্য মা’মলাগুলো যথাক্রমে বিচারিক আ’দালতে কার্যক্রম চলবে বলে তিনি জানান।
আ’দালত সূত্র জানায়, রাজধানীর রমনা থা’নায় হওয়া মা’দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মা’মলায় সম্রাট’কে গত ১১ এপ্রিল জামিন দিয়েছেন ঢাকার সপ্তম অ’তিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আ’দালত। এর আগের দিন অর্থপাচার ও অ’স্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের পৃথক দুটি মা’মলায় জামিন পান তিনি। আর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মা’মলায় ১৩ এপ্রিল ঢাকার বিশেষ জজ আ’দালত-৬ শুনানি নিয়ে সম্রাটের জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রে’প্তার করে রেব। তখন রেব জানিয়েছিল, গ্রে’প্তারের সময় তাদের কাছ থেকে বিদেশি ম’দ পাওয়া গেছে। এ কারণে ভ্রাম্যমাণ আ’দালত তাদের ৬ মাস করে কারাদ’ণ্ড দেন। ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর মা’দকদ্রব্য মা’মলায় রেব-১-এর উপপরিদর্শক আবদুল হালিম ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আ’দালতে অ’ভিযোগপত্র দাখিল করেন। অ’ভিযোগপত্রে সম্রাটের সহযোগী এনামুল হক আরমানকেও আ’সামি করা হয়। ওইসময় আ’দালত পু’লিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মক’র্তা (জিআরও) নিজাম উদ্দিন ফকির বলেন, সম্রাট ও আরমানের বি’রুদ্ধে মা’দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মা’মলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। চার্জশিটে সম্রাটের হেফাজত থেকে অ’স্ত্র, মা’দকদ্রব্য, বৈদ্যুতিক শকড যন্ত্র উ’দ্ধার করা হয়েছে বলে আলামত কলামে উল্লেখ করা হয়েছে। চার্জশিটে ত’দন্ত কর্মক’র্তা উল্লেখ করেন সরেজমিন, প্রকাশ্য ও গো’পনে ব্যাপক ত’দন্ত করেন তিনি। ত’দন্তে সাক্ষ্য-প্রমাণে প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে, আলামতদৃষ্টে, ঘটনার পারিপাশির্^কতায় আ’সামি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও এনামুল হক আরমানের হেফাজত থেকে মা’দকদ্রব্য উ’দ্ধারের ঘটনা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এই চার্জশিট দাখিল করা হলো। তার আগে ৬ নভেম্বর সম্রাটের বি’রুদ্ধে অ’স্ত্র আইনে করা মা’মলায় অ’ভিযোগপত্র দেয় রেব। ওই মা’মলা’টি মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য স্থা’নান্তর করা হয়।
একই বছরের ৬ অক্টোবর থেকে কারাগারে থাকা সম্রাটের বি’রুদ্ধে ওই বছরের ১২ নভেম্বর দুদক সমন্বিত জে’লা কার্যালয়, ঢাকা-১-এ দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে একটি মা’মলা করেন। মা’মলায় সম্রাটের বি’রুদ্ধে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অ’বৈধ সম্পদ অর্জনের অ’ভিযোগ আনা হয়। এ মা’মলায় ওই বছরের ১৭ নভেম্বর আ’দালত সম্রাটের ৬ দিনের রি’মান্ড মঞ্জুর করেন। ত’দন্তের পর ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর অ’ভিযোগপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু সম্রাট ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর থেকে কারা নিয়ন্ত্রণাধীনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতা’লে ভর্তি থাকায় দীর্ঘদিন আ’দালতে হাজির করা যায়নি তাকে। এজন্য মা’মলার কার্যক্রম এগোয়নি। এরপর মা’মলার শুনানি উপলক্ষে সম্রাট’কে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে আ’দালতে হাজির করা হয়। শুনানিকালে সম্রাট আ’দালতে চেয়ারে বসে ছিলেন। তাকে কাঠগড়ায় ওঠানো হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিআইডি ও দুদক কর্মক’র্তারা বলেন, যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় বিপুল অর্থ পাচার করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সম্রাট ক্যাসিনো পরিচালনা, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করে এসব অর্থ জমিয়েছিলেন। ওই সূত্র আরও জানায়, হুন্ডির মাধ্যমে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করা টাকার বড় অংশই সম্রাট সিঙ্গাপুরে জুয়ার আসর ‘মেরিনা বে-স্যান্ডস’ ক্যাসিনোতে খরচ করেছেন। ক্যাসিনো পরিচালনা, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করে অ’বৈধ এসব অর্থ জমিয়েছিলেন তিনি। ২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট পর্যন্ত সম্রাট শুধু সিঙ্গাপুরেই গেছেন ৩৫ বার। ওই সময়ের মধ্যে সম্রাট মালয়েশিয়ায় তিনবার, দুবাইয়ে দুবার ও একবার হংকংয়ে গিয়েছিলেন।
সম্রাট স’ম্পর্কে ত’দন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মক’র্তারা বলেন, রাজধানীর কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টার দখল করে অ’প’রাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করছিলেন সম্রাট।
‘গডফাদারদের’ পক্ষে চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি-তদবির করলেও পরে রাজনৈতিক পর্যায়ে ক্ষমতাধর হয়ে ওঠেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা থেকে মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হন তিনি। সামনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল তার।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে ক্যাসিনোবিরোধী অ’ভিযান শুরু করে রেব। এরপর সম্রাট ঢাকা থেকে পালিয়ে যান। ৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে আ’ট’ক করা হয় সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে। জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাট তার কাছে অ’স্ত্র ও মা’দক আছে বলে জানান। এরপর রাজধানীর কাকরাইলে ভূঁইয়া ম্যানসনের অফিস ও বাসার শোবার ঘরের বিছানার নিচ থেকে একটি অ’বৈধ ৭ দশমিক ৬৫ বোরের বিদেশি পি’স্তল, পাঁচ রাউন্ড গু’লি, দুটি লা’ঠি এবং রুমের ভেতরে একটি লাগেজ থেকে ১৯ বোতল বিদেশি ম’দ, ১ হাজার ১৬০ পিস ইয়াবা, চার প্যাকেট তাস জ’ব্দ করা হয়। অ’স্ত্র ও মা’দক রাখায় সম্রাটের বি’রুদ্ধে অ’স্ত্র ও মা’দক আইনে রমনা থা’নায় মা’মলা হয়। মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অ’ভিযোগে ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সম্রাটের বি’রুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মা’মলা করে সিআইডি। বন্য প্রা’ণীর চামড়া রাখায় ভ্রাম্যমাণ আ’দালত সম্রাট’কে ৬ মাসের কারাদ’ণ্ড দেন।
ত’দন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্রে’প্তার হওয়ার আগে প্রতি রাতে রাজধানীর ১৫টি ক্যাসিনো থেকে ৪০ লাখ টাকা চাঁদা হিসেবে নিতেন ইসমাইল হোসেন সম্রাট। অ’ভিযোগ আছে, বহিষ্কৃত যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও টেন্ডার কিং জিকে শামীমের সব অ’বৈধ আয়ের ভাগ দিতে হতো সম্রাট’কে। এ ছাড়া মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন, কাকরাইল, বাড্ডা এলাকায় অ’প’রাধ জগতে একক আধিপত্য বিস্তার করে চাঁদাবাজি করতেন তিনি। অন্যদিকে ঢাকার শীর্ষ স’ন্ত্রাসী জিসান আহমেদের সঙ্গে মিলে ঢাকার অ’প’রাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করতেন বলেও অ’ভিযোগ রয়েছে তার বি’রুদ্ধে।
Leave a Reply