cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
এ টি এম তুরাব : উৎসব আসলেই সক্রিয় হয় জাল টাকা চক্রের সক্রিয় কারবারীরা। আর এই জাল টাকা ছড়িয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে এই চক্রটি। রোজা এবং ঈদকে কেন্দ্র করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে এ চক্রটি। তবে এই চক্রের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনলাইন প্লাটফর্মকে ব্যবহার করে নানাধরনের অপরাধী চক্র যেমন সক্রিয় হচ্ছে তেমনি জাল টাকার কারবারীরাও বসে নেই। জাল টাকার কারবারীও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে তারা তাদের কারবার চালাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে দেশজুড়ে জাল চক্র সক্রিয় হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে আসন্ন রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে জাল টাকার কারবারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। গ্রাহক পেতে তারা অনলাইন প্লাটফর্মকে বেছে নিতে পারে। আবার প্রতারণার কাজেও এই পেজগুলোকে ব্যবহার করতে পারে। তারা বলছেন, সাইবার টিম এগুলো মনিটরিং করছে। সময়মত এ চক্রগুলোও আইনের আওতায় আসবে।
জানতে চাইলে মহানগর ডিবির এক কর্মকর্তা বলেন, জাল চক্রগুলো এখন যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে সে সম্পর্কে গোয়েন্দা বিভাগ অবগত আছে। এ বিষয়ে কাজ চলছে। তিনি বলেন, সামনে রোজা এবং ঈদকে টার্গেট করে প্রতিবারের মতো এবারও চক্রটি সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। তবে তাদের প্রতিহত করতে আমরা সজাগ রয়েছি। তিনি বলেন, যারা জাল টাকার কারবারি করে, তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হলেও জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের একই কাজ শুরু করে। তাদের ভালো পথে আনা যাচ্ছে না। এরা সাধারণত ঢাকার উপকণ্ঠে বেশি সক্রিয় থাকে। খুবই নিখুঁতভাবে তারা জাল নোট তৈরি করছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক সময় ৪০০ টাকার কালি ও ২০০ টাকার কাগজ দিয়ে জাল টাকা বানিয়ে তা ৮ থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করত তারা। ফলে অন্য পেশায় থাকলেও বেশি লাভের আশায় অনেকে এ পেশায় জড়িয়ে পড়েছে। তবে বর্তমানে জাল টাকা তৈরির কালি ও কাগজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং আমাদের হাতে অনেকে গ্রেফতার হওয়ার পর তাদের তৎপরতা কিছুটা কমেছে। এসব টাকা তৈরির উপকরণের দাম বৃদ্ধি করলে জাল টাকা তৈরি অনেকটাই কমে যাবে।
এক লাখ টাকা তৈরিতে খরচ ৭-১০ হাজার টাকা : জানা গেছে, এক লাখ টাকা তৈরি করতে খরচ হয় ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা। তারা পাইকারি বিক্রেতার কাছে ১ লাখ টাকা ১৪-১৫ হাজার টাকায় বিক্রয় করে। পাইকারি বিক্রেতা ১ম খুচরা বিক্রেতার নিকট বিক্রয় করে ২০-২৫ হাজার টাকা, ১ম খুচরা বিক্রেতা ২য় খুচরা বিক্রেতার নিকট বিক্রয় করে ৪০-৫০ হাজার টাকায় এবং ২য় খুচরা বিক্রেতা মাঠ পর্যায়ে সেই টাকা আসল এক লাখ টাকায় বিক্রয় করে।
গ্রেফতার জাল নোট কারবারী ও গোয়েন্দা সূত্র জানায়, জাল নোট তৈরির জন্য প্রথমে টিস্যু কাগজের এক পার্শ্বে বঙ্গবন্ধ‚র প্রতিচ্ছবি স্ক্রিনের নিচে রেখে গাম দিয়ে ছাপ দেয়। এরপর ১০০০ লেখা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রামের ছাপ দেয়। অতপর অপর একটি টিস্যু পেপার নিয়ে তার সাথে ফয়েল পেপার থেকে টাকার পরিমাপ অনুযায়ী নিরাপত্তা সূতা কেটে তাতে লাগিয়ে সেই টিস্যুটি ইতোপূর্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি জলছাপ দেয়া টিস্যু পেপারের সাথে গাম দিয়ে সংযুক্ত করে দেয়। এভাবে টিস্যু পেপার প্রস্তুত করে বিশেষ ডট কালার প্রিন্টারের মাধ্যমে ল্যাপটপে সেভ করে রাখা টাকার ছাপ অনুযায়ী প্রিন্ট করা হয়। ওই টিস্যু পেপারের উভয় সাইট প্রিন্ট করা হয় এবং প্রতিটি টিস্যু পেপারে মোট ৪টি জাল টাকার নোট প্রিন্ট করা হয়। এরপর প্রিন্টকৃত টিস্যু পেপারগুলো কাটিং গøাসের উপরে রেখে নিখুঁতভাবে কাটিং করা হয়। পরবর্তীতে কাটিংকৃত জাল টাকাগুলো বিশেষভাবে বান্ডিল করে এটি চক্রের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়।
যা বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা : সিলেট মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, ঈদ বা বড় বড় উৎসব গুলোতে জাল টাকা প্রস্তুতকারক ও কারবারীদের অপতৎপরতা বেড়ে যায়। ইতোমধ্যে কয়েকজন কারবারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা বাইরে আছে তাদের গ্রেফতারে প্রতিদিনই অভিযান চলছে। পুলিশ রোজার আগ থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে, যাতে কেউ জাল নোট বাজারে ছাড়তে না পারে।
উদ্ধার হওয়া জাল টাকা আগের টাকার চেয়ে অনেক বেশি নিখুঁত উল্লেখ করে তিনি বলেন, উদ্ধার হওয়া জাল টাকায়ও নিরাপত্তা সুতা স্থাপন করা হয়েছে। এসব নিরাপত্তা সুতা তারা কিভাবে যোগাড় করেছে সেই ব্যাপারে গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সাধারণ চোখে বোঝা খুবই কঠিন যে এটা জাল টাকা। তবে অরজিনাল টাকা কিছুটা খসখসে এবং জাল টাকা বেশি মসৃণ বলে তিনি জানান। এক্ষেত্রে টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে সচেতন হওয়ার আহবান জানান পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে আমরা অনেক জাল চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করেছি। জাল নোট ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ডিলার যারা তারা কৌশলে কাজ করে। তিনি আরো বলেন, সবাইকে সচেতন হলে এসব অপরাধ হয়তো কমে আসবে। তিনি আরো বলেন, রোজা এবং ঈদকে সামনে রেখে কোটি টাকার বেশি জাল নোট বাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে এ চক্রগুলো। সাম্প্রতি আমরা অনেক চক্রকে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি। এদের বিরুদ্ধে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারী চলমান রয়েছে।
Leave a Reply