cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
নেত্রকোনায় নদ-নদীসহ হাওরাঞ্চলে আবার পানি বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। রোববার (১০ এপ্রিল) সকাল থেকে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নেত্রকোনাসহ ভারতের চেরাপুঞ্জিতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে করে হাওরের বোরো ধান হুমকির মুখে পড়বে। তাই নিম্নাঞ্চলে দ্রুত পাকা ধান কেটে বাড়িতে তুলতে কৃষকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। শনিবার (৯ এপ্রিল) থেকেই জেলা প্রশাসন, কৃষি বিভাগ ও জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) পৃথকভাবে বিভিন্ন উপায়ে কৃষকদের এই পরামর্শ দিচ্ছে।
রোববার সকাল থেকে জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান, জেলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন লাল সৈকত, খালিয়াজুরি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এইচ এম আরিফুল ইসলাম, মদনের ইউএনও মো. বুলবুল আহমেদসহ প্রশাসন ও কৃষি কর্মকর্তারা মদন ও খালিয়াজুরির বিভিন্ন হাওর ঘুরে কৃষকদের দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ দেন।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন লাল রোববার সন্ধ্যায় বলেন, আমরা হাওরাঞ্চলের কৃষকদের দ্রুত ধান কাটতে পরামর্শ দিচ্ছি। কারণ আগামী তিন দিনের মধ্যে নেত্রকোনা এবং এর উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে মাঝারি থেকে প্রবল বৃষ্টিপাত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে মর্মে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। অতিবৃষ্টির ফলে পাহাড় থেকে নেমে আসা পানির প্রভাবে নতুন করে জেলার নদ-নদী, হাওরসহ নিম্নাঞ্চলে পানি বাড়বে। ফলে, হাওরে সোনালি ধান কেটে দ্রুত ঘরে তোলার জন্য বলা হচ্ছে। এ নিয়ে কৃষকদের মধ্যে সচেতনতামূলক ও অবহিতকরণ প্রচার করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার ১০টি উপজেলায় ১ লাখ ৮৪ হাজার ৮৮৩ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়। এর মধ্যে হাওরে অর্ধেক জমি রয়েছে। গত ২ এপ্রিল সন্ধ্যায় হঠাৎ করে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে খালিয়াজুরির ধনু নদের পানি ৭ থেকে ৮ ফুট বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমায় চলে আসে। পানির প্রবল চাপে খালিয়াজুরি ও মদন উপজেলার বিভিন্ন হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধগুলোতে চাপ বেড়ে যায়। ৩ ও ৪ এপ্রিল মদনের ফতেপুর হাওর, খালিয়াজুরির কীর্তনখোলা হাওর, লক্ষ্মীপুর হাওরসহ কয়েকটি হাওরের বেড়িবাঁধের বাইরের অংশ তলিয়ে যায়। এতে প্রায় ৬০০ হেক্টর জমির কাঁচা বোরো ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়।
এছাড়া লেপসাই হাওর, চৈতারা হাওরসহ বিভিন্ন হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের অন্তত ২০টি স্থান হুমকিতে পড়ে। এসব বাঁধের অনেক অংশে ধস ও ফাটল দেখা দেয়। তবে পাউবো ও উপজেলা প্রশাসন কৃষকদের নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো সংস্কারকাজ চালায়। এতে এখন পর্যন্ত কোনো বাঁধ ভেঙে ফসলহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে গত বুধবার রাত থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। এতে অনেক খেতের ফসল ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে। আগামী কয়েক দিনে বৃষ্টিপাতসহ উজান থেকে নেমে আসা পানিতে নতুন করে বোরো ধানের ক্ষতি হতে পারে- এই আশঙ্কায় কৃষকদের দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
খালিয়াজুরির পুরানহাটি গ্রামের কৃষক মহসিন মিয়া বলেন, এলাকায় শ্রমিক সংকট থাকলেও মেশিনের সাহায্যে এখন দ্রুত ধান কাটা যাচ্ছে। প্রায় শতাধিক শ্রমিক একদিনে যে ধান কাটার কথা একটি কম্বাইন হারভেস্টারে একদিনে তা কাটা যায়।
নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান বলেন, আধুনিক পদ্ধতিতে ধান কাটা-মাড়াইয়ের প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে। কৃষি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় জেলায় নতুন পুরাতন মিলিয়ে প্রায় ১৪৫টি হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা চলছে। নতুন করে আরও ১১০টি হারভেস্টার মেশিন দেওয়া হয়েছে। হাওরে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ১৮ শতাংশ ধান কাটা হয়ে গেছে।
Leave a Reply