cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ওয়েছ খছরু: ২০ কোটি টাকা ‘বাণিজ্য’ হয় বাজারে। তাও আবার এক বছরে। বহু’মুখী ব্যবসা। পণ্য বাজারে এলেই বৈধ। হোক সেটি অ’বৈধ, চো’রাই পশু কিংবা পণ্যসামগ্রী। অথচ এই বাজার চলতি বছর সরকারি খাতায় ইজারা যায় ৬০ লাখ টাকায়। মাঝখানে মধ্য স্বত্বভোগীরা লুটে নেয় বাজারের টাকা। আর ওই বাজারটি হচ্ছে সিলেটের হরিপুর বাজার।
টাকার খেলা হয় এই বাজারে। অথচ নামকাওয়াস্তে টাকা পায় ম’সজিদ ও মাদ্রাসা। সিন্ডিকেটরা সব লুটেপুটে খায়। এ কারণে বাজারের কর্তৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে হচ্ছে খু’নোখু’নি। গত সোমবার ১০ ঘণ্টাব্যাপী সং’ঘর্ষের পর মা’রা গেছেন একজন। আ’হত হয়েছে বহু মানুষ। এ ঘটনার পর থেকে হরিপুর বাজারে হিম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এবার হরিপুর বাজার ইজারায় গেছে সাড়ে ৫৯ লাখ টাকায়। এবার ইজারা নিয়ে হরিপুরের বাইরের দরবস্ত এলাকার বাসিন্দা লুৎফুর রহমান বাজার ইজারা নেন। স্থানীয় হরিপুরের লোকজন ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাদ্রাসার মুহতামিমের নামে এই বাজার লিজ আনেন। এর আগের বছরও মুহতামিমের নামে ৫৫ লাখ টাকায় লিজ আনা হয়েছিল। এবারো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল মুহতামিমের নামে আনা হবে বাজার। কিন্তু দরবস্তের লুৎফুর রহমান সিলেট শহরে টেন্ডার ড্রপ করে বাজার নিয়ে নেন। এ কারণে বাজারের দখল নিয়ে শ’ঙ্কা রয়েছে লিজ গ্রহীতার।
কারণ- হরিপুর বাজার ইজারা দেয়া হলেও টাকার খেলা হয় পশুর হাটে। পূর্ব সিলেটের অন্যতম পশুর হাট। কিন্তু পশুর হাট নামে ইজারা নয়, দেয়া হয় হরিপুর বাজারের নামে। পশুর হাট সরকারি জমিতে নয়। সেটি গড়ে উঠেছে স্থানীয় হাউদপাড়াবাসীর জমিতে। ফলে পশুর হাটের কর্তৃত্ব হাউদপাড়াবাসীরই। এই বাজার গড়ে তুলতে হাউদপাড়ার লোকজনও চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে সফল হয়েছেন। এখন গোটা সিলেটের মানুষের কাছে হরিপুরের পশুর হাট পরিচিত।
বাজারের ইজারাদার লুৎফুর রহমান জানিয়েছেন, হরিপুর বাজার গত ফেব্রুয়ারিতে ইজারার জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়। এরপর তিনি টেন্ডার ড্রপ করেন। সাড়ে ৫৯ লাখ টাকায় টেন্ডার নিয়ে তিনি বাজারের ইজারা পেয়েও যান। এরপর তিনি এ নিয়ে মাদ্রাসার মুহতামিম সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আলোচনায় তিনি নির্মাণাধীন ম’সজিদে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ও মাদ্রাসার তহবিলে ৩০ লাখ টাকা দিতে সম্মত হয়েছেন। এ বিষয়টি ম’সজিদ ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ মানলেও স্থানীয় সিন্ডিকেট মানছে না। এ কারণে বিষয়টির সুরাহা হচ্ছে না।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত কয়েক বছর মাদ্রাসার মুহতামিমের নামে বাজারের ইজারা গ্রহণ করা হতো। এরপর সেটি এলাকায় ইজারার জন্য ডাক দেয়া হতো। দুই বছর আগে সেই ইজারা গিয়েছিল ১০ কোটি টাকায়। গত বছর সেটি যায় ৩ কোটি টাকায়। এবার বাজার ইজারার আগে স্থানীয় পশুর হাটের ব্যবসায়ীরা ম’সজিদের তহবিলে আগেভাগেই ৭০ লাখ টাকা দিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু এবার সরকারি খাতায় বাজার নিয়ে নেন দরবস্তের লুৎফুর রহমান। এ কারণে বাজারের সংশ্লিষ্টরা ঘোষণা দিয়েছেন; নতুন ইজারাদারের কাছে হাউদপাড়াবাসী বাজারের জমি ছাড়বে না।
তবে ইজারাদার লুৎফুর রহমান জানিয়েছেন- প্রশাসন তাকে বাজার সমঝে দেবে। এরপর সেটি নিয়ে তিনি চিন্তা করবেন। পশুর হাট ইউনিয়নের যেকোনো জায়গায় বসানো যায়। এ নিয়ে তিনি চিন্তিত নন বলেও দাবি করেন। সিলেটের হরিপুরের পশুর হাট নিয়ন্ত্রণ করেন ১০ জনের সিন্ডিকেট।
এটিকে বলা হয় বহুদলীয় সিন্ডিকেট। এতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, হেফাজত সবাই সমান। এই সিন্ডিকেট যা বলে বাজারেও তাই ঘটে। বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহম’দ ও আওয়ামী লীগ নেতা জাকারিয়া, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আজির উদ্দিন এই বাজারের নিয়ন্ত্রণের ভূমিকায় রয়েছেন। বাজারে ১০ জনের এক শেয়ার রয়েছে- এতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজে’লা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুর রশিদও আছেন।
এ ছাড়া ম’সজিদ ও মাদ্রাসায় যায় বাজারের বেশির ভাগ টাকা। ফলে পশুর বাজার নিয়ে বাণিজ্যের বিষয়টি অনেকটা প্রকাশ্যেই হয় ওখানে। রাখঢাক না রেখেই ব্যবসায়ীরা সদর্পে ব্যবসা পরিচালনা করেন। সিলেট সীমান্ত নিয়ে আসা গরু-মহিষ এই বাজারে তুললেই বৈধ। সিট নিয়ে বিক্রি করা হয় পশু। শুধু সিলেট নয়, সীমানা ছাড়িয়ে দেশের বড় বড় পাইকারি পশু ব্যবসায়ীদের পছন্দের বাজার হচ্ছে হরিপুর।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জাকারিয়া মাহমুদ জানিয়েছেন- বাজারে আয়ের টাকার যে পরিমাণ বলা হচ্ছে; সেটি সত্য নয়। বরং করো’নার কারণে গত দুই বছর ইজারাদার লোকসানে ছিলেন। পরে অবশ্য ম’সজিদ ও মাদ্রাসা কমিটির পক্ষ থেকে পরিস্থিতি বিবেচনায় সাব ইজারাদারদের টাকা মওকুফ করা হয়েছে।
তিনি জানান, বাজারের ভূমি তো হাউদপাড়াবাসীর। আর বাজারের আয় দিয়েই চলে ম’সজিদ ও মাদ্রাসার তহবিল। ফলে বাজারের নিয়ন্ত্রণ, টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব কমাতে এখানে ম’সজিদ ও মাদ্রাসার নামে সবকিছু করা হচ্ছে। স্থানীয়রা বাজারে ব্যবসা করে লাভবান হচ্ছেন। এর বাইরে স্থানীয়দের তেমন অন্তর্ভুক্তি নেই।
তবে গতকাল কয়েকজন পশু ব্যবসায়ী ও এলাকার বাসিন্দা বাজারের পশু বাণিজ্যের নানা খাত তুলে ধরে বলেছেন- প্রতি এক বছরে হরিপুর বাজারের পশুর হাটে কেবল ২০ কোটি টাকার বাণিজ্য হয়। কেউ কেউ বলেন- এই টাকা আরও বেশি হবে। তাদের হিসাব মতে- বাজারে প্রতিদিন ৮০০ থেকে ১০০০ গরু ও মহিষ বিক্রি হয়। প্রতিটি পশু থেকে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা হারে গ্রহণ করা হচ্ছে বাজারের সিট বাবদ। আর সীমান্ত দিয়ে আসা এসব পশু বাজারে ঢুকলেই বিজিবি’র নামে ১০০০, পু’লিশের নামে ৮০০, রেবের নামে ৩০০ টাকা গ্রহণ করা হয়। এর বাইরে ভিটে থেকে প্রতি গাড়ি পশুর পিছনে ২ হাজার টাকা গ্রহণ করা হয়।
এতে দেখা গেছে, প্রতিদিন ৭০, ৮০ ট্রাক পশুর ব্যবসায়ীকে ভিটে ভাড়া দিতে হচ্ছে। এ ছাড়া বালু ও লালমাটির জন্য দিতে হয় ১৫০০ টাকা করে। ফলে একটি পশু থেকে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে চাঁদা গ্রহণ করা হয়। এসব চাঁদা গ্রহণ করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় এক পশু ব্যবসায়ী জানান, গত কয়েক বছর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আজির উদ্দিনের নামে সাব লিজ আনা হয় পশুর হাটের। আর আজির উদ্দিনের সঙ্গেই রয়েছে ১০ জনের সিন্ডিকেট। তবে- এই সিন্ডিকেট ও ব্যবসাকে অ’বৈধ কিংবা অ’নৈতিক হিসেবে বিবেচনা করছে না স্থানীয়রা।
তারা জানিয়েছেন, যা করা হচ্ছে বৈধভাবে করা হচ্ছে। এখানে কোনো ব্যক্তিবিশেষ নয়, লাভবান হচ্ছে বেশি ম’সজিদ ও মাদ্রাসা। এ কারণে কেউই এখানে আ’পত্তি জানাননি।
জৈন্তাপুর উপজে’লা প্রশাসনের কর্মক’র্তারা জানিয়েছেন- বাজারের ইজারার মূল্য প্রতি বছরই বাড়ে। এবার আরও ৪ লাখ টাকা বাড়িয়ে সাড়ে ৫৯ লাখ টাকায় ইজারা দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও বাজারের ইজারামূল্য বাড়ানো হবে। সৌজন্যঃ মানবজমিন
Leave a Reply