মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ঝর্ণা কুর্মী নামে এক স্কুল শিক্ষিকার র’হস্যজনক মৃ’ত্যু হয়েছে। তিনি উপজে’লার চাতল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। ঝর্ণা স্বামী সন্তান নিয়ে শহরের সুরভী আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

গতকাল (১৮ মা’র্চ) দুপুরে বাসায় ফ্যানের সাথে শাড়ী দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লা’শ উ’দ্ধার করে পু’লিশ।

এদিকে ঝর্ণার পরিবারের দাবী ঝর্ণাকে হ’ত্যা করে আ’ত্মহ’ত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছে ঝর্ণার স্বামীসহ শ্বশুড়বাড়ীর লোকজন৷

ঝর্ণার কাকা রামপ্রসাদ কুর্মী জানান, আমা’র ভাতিজিকে তার স্বামী এবং শ্বশুড়বাড়ীর লোকজন প্রায়ই মানসিকভাবে নি’র্যা’তন করতো৷ বিভিন্ন সময় আমাদের মেয়ে এ বিষয়ে আমাদেরকে বলেছে৷ গতকাল দুপুরে ঝর্ণা আমাদের সাথে কথা বলা অবস্থায় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি তার শ্বশুড়বাড়ীর লোকজন ছিনিয়ে নিয়ে যায় পরে ঝর্ণার স্বামী সঞ্জয় আমাদের ফোন করে জানায় যে ঝর্ণা আত্মহ’ত্যা করেছে৷

এদিকে এই ঘটনায় ঝর্ণার কাকা রামপ্রসাদ কুর্মী বাদী হয়ে ঝর্ণার স্বামী সঞ্জয় কুর্মী, সঞ্জয়ের মা বাবা ও বোনসহ পাঁচজনকে আসামী করে শ্রীমঙ্গল থা’নায় একটি হ’ত্যা মা’মলা দায়ের করেন৷

শ্রীমঙ্গল থা’নার উপ-পরিদর্শক ও এই মা’মলার ত’দন্তকারী কর্মক’র্তা সিরাজুল ইস’লাম সিলেটটুডে ২৪কে বলেন, ঝর্ণার চাচা বাদী হয়ে শ্রীমঙ্গল থা’নায় যে মা’মলা করেছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে ঝর্ণার স্বামীকে আ’ট’ক করে আম’রা জে’লহাজতে পাঠিয়েছি৷ প্রাথমিক আলামতে ঘটনাটিকে আত্মহ’ত্যা বলেই মনে হচ্ছে তবে ময়নাত’দন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত বুঝা যাবে এটি হ’ত্যা নাকি আত্নহ’ত্যা৷

এদিকে পু’লিশের হাতে আ’ট’ক হওয়ার আগে ঝর্ণার স্বামী সঞ্জয় কুর্মী গণমাধ্যমকে বলেন, আমি সকালে ঝর্নাকে বাসায় রেখে শহরে আসি। দুপুরে খবর পাই সে আত্মহ’ত্যা করেছে। বাসায় গিয়ে ফ্যানের সাথে তার ঝুলন্ত লা’শ দেখতে পাই।

এদিকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতা’লে ঝর্ণার ময়নাত’দন্ত শেষে তার লা’শ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে৷

সংবাদটি শেয়ার করুন:

• ফেইসবুক
• টুইটার
• গুগল প্লাস
• ইমেইল