cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সিলেটে জ্বালানী তেলের সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে। সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়ায় রিজার্ভ সঙ্কটে পড়েছে অনেক পেট্রোল পাম্প। এক মাসের বেশী সময়েও সঙ্কট সমাধান না হওয়ায় এবার আন্দোলনে নামছেন পাম্প মালিকগণ। জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করেও সঙ্কট সমাধান না হওয়ায় এবার রাজপথকে বেছে নিচ্ছেন তারা। আজ বুধবার ‘সিলেট বিভাগীয় পেট্রোল পাম্প, সিএনজি, এলপিজি, ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’র ব্যানারে ট্যাংক-লরি নিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। দ্রুত সঙ্কট সমাধান না হলে পাম্প বন্ধ সহ কঠোর কর্মসূচীর দিকে এগুচ্ছেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গেল ফেব্রুয়ারীর মাসের শুরু থেকেই সিলেটে জালানী তেলের সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। ফলে সিলেটের পাম্পগুলোতে জ্বালানি তেলের সঙ্কট দেখা দেয়। দিন দিন সেই সঙ্কট ক্রমশই তীব্র হতে শুরু করে। সমাধানের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেও এর কোন সুরাহা হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে বুধবার থেকে সিলেটে আন্দোলনে নামছেন সিলেটের পেট্রোল পাম্প মালিক শ্রমিক পরিষদ। এদিন সকল ট্যাংক-লরি নিয়ে তারা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবেন তারা। সেই কর্মসূচী থেকে নেয়া হবে আরো কঠোর সিদ্ধান্ত।
জানা গেছে, সিলেটে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে জ্বালানি তেল সংকট। সিলেটের গ্যাসফিল্ডগুলো থেকে উত্তোলন বন্ধ ও চট্টগ্রাম থেকে রেলযোগে তেল নিয়ে আসার ক্ষেত্রে পরিবহন সমস্যার কারণে কিছুদিন পরপর জ¦ালানী তেল সঙ্কটে পড়েন সিলেটের পাম্প মালিকগণ। আলাপ আলোচনা করে সাময়িক সমাধান হলে ফের কয় মাস পর আবার শুরু হয় সঙ্কট। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সাথে বার বৈঠক করেও স্থায়ী কোন সমাধান মিলেনি। ফলে এবার কঠোর কর্মসূচী নিয়েই মাঠে নামছেন তারা।
এদিকে, রোববার (৬ মার্চ) দক্ষিণ সুরমার কয়েকটি পাম্পে জ্বালানি তেল প্রায় নেই বলে জানিয়েছেন ‘সিলেট বিভাগীয় পেট্রোল পাম্প, সিএনজি, এলপিজি, ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’র আহবায়ক সিরাজুল হোসেন আহমদ আলমগীর। বিষয়টি জানিয়ে রোববার এ সংশ্লিষ্ট ৫টি সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। সংগঠনগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন এন্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটি, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্টস্ এন্ড পেট্রোলপাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটি, বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটি, বাংলাদেশ এলপিজি ফিলিং স্টেশন ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটি এবং সিলেট বিভাগীয় ট্যাংক-লরি শ্রমিক ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত ‘সিলেট বিভাগীয় পেট্রোল পাম্প সিএনজি এলপিজি, ট্যাংক-লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমদ চৌধুরী জানান, আমরা আলোচনা করতে করতে বিরক্ত। আর কিছুই করার নেই। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। বাধ্য হয়ে আজ বুধবার সিলেটের রাস্তায় ট্যাংক-লরি দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবো। এরপরে আসবে কঠোর আন্দোলনের ডাক।
পেট্রোল পাম্প অ্যান্ড ওনার্স এসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, সিলেট বিভাগের ৪ জেলায় পেট্রোল পাম্প রয়েছে ১১৪টি। এরমধ্যে সিলেট নগরীতে ৪৫টিসহ জেলায় রয়েছে ৭০টি পাম্প। এসব পাম্পে প্রতিদিন পেট্রোল, অকটেন ও ডিজেলের চাহিদা ১০ লাখ লিটারেরও বেশি। কিন্তু এই জায়গায় সপ্তাহে সরবরাহ করা ১০ লাখ লিটার পর্যন্ত সরবরাহ করা হতো। তখন প্রতিদিনের ঘাটতি মেটাতে অনেক পাম্পে তেলের রিজার্ভ ফুরিয়ে যেতে শুরু করে। কিন্তু সম্প্রতি এই সরবরাহ আরো কমিয়ে মাত্র ৩ লক্ষ লিটার দেয়া হয়। এছাড়া সরবরাহ নিয়মিত না হওয়ায় অনেক পা¤প তেলশূণ্য হয়ে বন্ধ হওয়ার উপক্রম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিলেট বিভাগের ১১৪টি পাম্পে জ্বালানি তেল আসে চট্টগ্রাম থেকে ওয়াগনের মাধ্যমে। কিন্তু ওয়াগন সংকট যেন এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। ফলে রিজার্ভ থেকে গ্রাহক চাহিদা পূরণ করতে হয়। এখন রিজার্ভও শেষ হওয়ার পথে। আগে সিলেটের গ্যাস ফিল্ডসমূহের খনি থেকে উত্তোলিত কনডেনসেট থেকে জ্বালানি তেল উৎপাদন করে সিলেটের পাম্পে জ¦ালানি সরবরাহ করা হতো। তখন সিলেটকে কখনো জ¦ালানি তেলের সংকটের মুখোমুখি হতে হয়নি। প্রায় দেড় বছর থেকে সিলেটের গ্যাসফিল্ড থেকে পাম্পে জ¦ালানি সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে পরিকল্পিতভাবে সিলেটের পাম্প মালিকদেরকে ওয়াগনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে জ¦ালানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
সিলেটের জ্বালানী তেল ব্যবসায়ীরা বলেন, সিলেটে গত প্রায় দেড় বছর ধরে স্থানীয় পর্যায়ে জ্বালানী তেলের উৎপাদন বন্ধ। যে কারণে তেল সংকটে পড়েছেন এখানের ব্যবসায়ীরা। গত বছরের অক্টোবরে সিলেটে তেলের তীব্র সঙ্কট দেখা দিলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দফায় দফায় বৈঠক করে আন্দোলনের হুমকি দেয়ার পরে তেলের সরবরাহ কিছুটা বাড়ানো হয়। তবে পর্যাপ্ত ছিলো না এ সরবরাহ। এরই মাঝে গত ফেব্রুয়ারী মাসের শুরুর দিকে আবারও সিলেটে তেলের সঙ্কট দেখা দেয়। এই সংকটের জন্য সংশ্লিষ্টরা সিলেটে উৎপাদন বন্ধ, চট্টগ্রামে তেলশূন্যতা ও রেল কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় ওয়াগন আসার অনিয়মকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে জ্বালানী তেল ব্যবসায়ীদের ৫টি সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দাবী দাওয়া পেশ করা হয়েছে। দাবীগুলোর মধ্যে রয়েছে- সিলেট বিভাগ জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃক কোন সিএনজি ফিলিং স্টেশনের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পারবেন না। যদি বিচ্ছিন্ন করা হয় তবে সিলেট বিভাগের সকল সিএনজি স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হবে। অবিলম্বে গ্যাসের লোড যেন বৃদ্ধি করা হয়। পেট্রোল, অকটেন ,ডিজেলের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। সিলেট গ্যাস ফিল্ড থেকে ট্যাংকলরির ডেসপাস চালু করতে হবে।
Leave a Reply