সর্বশেষ আপডেট : ১১ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড আগে
বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দ | ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

মৌলভীবাজারে শিক্ষার্থীদের মা’র্কশিট ও প্রশংসা’পত্রের জন্য টাকা আদায়ের অ’ভিযোগ

এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২০২১ সালের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট (মা’র্কশিট) ও প্রশংসা’পত্র আ’ট’কে রেখে অর্থ আদায়ের অ’ভিযোগ পাওয়া গেছে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজে’লার কয়েকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার বি’রুদ্ধে। এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অ’ভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২০০ থেকে ৫০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অ’ভিযোগ পাওয়া গেছে। শিক্ষার্থীরাও উচ্চ’মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তির জন্য বাধ্য হয়েই বিদ্যালয়ের ধার্যকৃত টাকা দিয়ে মা’র্কশীট ও প্রশংসা’পত্র সংগ্রহ করছেন। তবে শিক্ষকদের দাবি তারা এ টাকা বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে মা’র্কশীট, প্রশংসা’পত্র বাবত উপজে’লার ফুলতলা বশির উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৫০ টাকা, জাঙ্গীরাই দাখিল মাদ্রাসায় ৩০০ টাকা, মক্তদির বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩০০ টাকা, নিরোদ বিহারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩০০ টাকা ও জায়ফরনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫০০ টাকা ফি নির্ধারন করা হয়েছে। এছাড়াও উপজে’লার হাতেগোনা দুই একটি বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসা ছাড়া সব গুলোতে এরকম ফি নেওয়া হচ্ছে।

কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, কলেজে ভর্তি হতে গেলে মা’র্কশীট এবং প্রশংসা’পত্র প্রয়োজন। এ কারনে তারা বিদ্যালয়ের নির্ধারিত ফি দিয়ে মা’র্কশীট ও প্রশংসা’পত্র সংগ্রহ করেছেন।

ফুলতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরমান আলী বলেন, মা’র্কশীট নিতে টাকা লাগে না তবে প্রশংসা’পত্র নিতে বিগত ১০ বছর থেকে আম’রা ২৫০ টাকা করে নিচ্ছি।

উপজে’লা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও মক্তদীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসহাক আলী জানান, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ টাকা নেওয়া হয় । এসব টাকা বিদ্যালয়ের ফান্ডে জমা হয়। তবে গরিব, অসচ্ছল শিক্ষার্থী থাকলে ছাড় দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে জাঙ্গীরাই দাখিল মাদ্রাসার সুপার মা’ও শফিকুল ইস’লাম ৩০০ টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, প্রশংসা’পত্র ও মা’র্কশীট প্রিন্টের খরচ হয় বাবত ১০০ টাকা করে নিচ্ছি।

উপজে’লা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপার ভাইজার মো. আলা উদ্দিন জানান, এভাবে টাকা নেওয়ার কোন বৈধতা নেই। আমা’র কাছে কোন অ’ভিযোগ আসেনি, লিখিত অ’ভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জুড়ী উপজে’লা নির্বাহী কর্মক’র্তা (ইউএনও) সোনিয়া সুলতানা বলেন, শিক্ষার্থীদের ট্রান্সক্রিপ্ট ও প্রশংসা’পত্র বিতরণে টাকা নেওয়ার বিষয়টি একটু আগে জেনেছি, খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: