cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে সদ্য চাকরিচ্যুত উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন বলেছেন, তিনি চট্টগ্রামে দুর্নীতিবিরোধী যেসব অভিযান চালিয়েছেন তাতে দুদকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার কথা নয়। তিনি কর্মরত অবস্থায় সেখানে কী কী কাজ করেছেন আর রাষ্ট্রীয় কোষাগারে কতো টাকা জমা দিয়েছেন সবই দুদকের সংশ্লিষ্ট টিম ও সহকর্মীরা জানেন। শুক্রবার তিনি ঢাকা টাইমসকে এই কথা বলেন।
শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘আমি যখন কাজ করি আমার কার্যালয় সেই বিষয়ে অবগত থাকে। আমার সঙ্গে থাকে দুদকের টিম, আমার অন্যান্য সহকর্মীরা। আমি চট্টগ্রামে বেদখল হওয়া ৫০ কোটি টাকার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ করেছি, যা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা রয়েছে। এতে দুদকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার কথা না।’
গত বুধবার দুদক কর্মচারী চাকরি বিধিমালা ২০০৮ এর ৫৪(২) বিধি অনুযায়ী দুদক চেয়ারম্যান মো. মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করেন। তিনি সর্বশেষ দুদকের পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।
তাকে অপসারণের পরদিন বৃহস্পতিবার কমিশন সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, দুদক কর্মকর্তা শরীফকে চাকরিচ্যুত করার বিকল্প ছিল না। দুদকের ভাবমূর্তি রক্ষায় তাকে অপসারণ করা হয়েছে। তিনি (শরীফ) দুদকের বিধিবিরোধী কাজ করেছেন। চাকরিবিধি মেনেই চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
কমিশন সচিবের এই বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে অপসারিত এই কর্মকর্তা ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমি সেখানে কী করেছি, কমবেশি সবাই অবগত। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনেকগুলো দোকান-ক্যান্টিন সরকারি জায়গায় করা হয়েছে। এসব থেকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা চাঁদা আদায় করতেন। আমি এসব অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করেছি। এখন সেখান থেকে প্রতিমাসে সরকারের কোষাগারে দুই লাখ টাকা জমা হচ্ছে।’
শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের গণহারে এনআইডি প্রদান করছে প্রভাবশালী কয়েকটি মহল। সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে জোগসাজশে এসব কাজ হচ্ছিল। এমনকি নির্বাচন কমিশন অফিসের ল্যাপটপ চুরি করে তারা এসব কাজ করেছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে ২০টি মামলা করেছি। এই কাজে জড়িত ৪ থেকে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। আমি তো দেশকে ভালবেসে এসব করছি। দেশের ক্ষতি তো আমি করতে পারি না। যদি এসব কাজে দুদকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় তাহলে আমি অপরাধী।’
সরকারিভাবে নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ রয়েছে। তবে সরকারের নির্দেশের বাইরে গিয়ে চট্টগ্রামের কতিপয় অসাধু সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়েছে বলে জানান দুদক থেকে সদ্য বরখাস্ত এই কর্মকর্তা।
ঢাকা টাইমসকে শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদকে সুপারিশ করি। আমি দুদকের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতেই এসব করেছি, কিন্তু এসব কাজে দুদকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে ভাবিনি। আমি যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি, মামলা করেছি।’
‘এরা কিন্তু সমাজের প্রতিষ্ঠিত হোয়াইট কালার ক্রিমিনাল। নানান কাজে এরা অনিয়ম করে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করলেই এরা আমার বিরুদ্ধে হেড অফিসে অভিযোগ পাঠায়। অভিযোগ পাঠানোতে আমার কোনো আপত্তি নেই। কোনো সত্যতা না থাকা সেসব অভিযোগের প্রতিটি সদুত্তর দিয়ে আমি পার হচ্ছিলাম। কারণ আমি এমন কিছু করিনি যা রাষ্ট্রের এবং দুদকের পরিপন্থী। এখন তারা যদি এমন প্রমাণ দিতে পারে আমি মাথা পেতে নেবো।’
অভিযানে জব্দ টাকা আত্মসাতের একটি অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শরীফ উদ্দিন বলেন, ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি এক অভিযানে ৭ বস্তা নথি ও ৯৩ লাখ ৬০ হাজার ১৫০ টাকা জব্দ করি। এই বিষয়ে ২০২০ সালের ১০ মার্চ মামলা করি। মামলার পর জব্দকৃত টাকা ১৯ মার্চ কক্সবাজার থানা থেকে চট্টগ্রাম দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যাছলয়ে নিয়ে আসি। মামলা হয়েছে বিধায় সেই টাকার সবই সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে ভল্টে রাখা আছে। এই টাকা আমার আত্মসাৎ করার কোনো সুযোগ নেই।
শরীফের ভাষ্য, জব্দের পর পুরো টাকাটা জমা করতে হলে ইনভেন্ট্রি করে জমা করতে হয়। মানে প্রতিটা নোটের নাম্বার লিখে একটা ভল্টে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, দুদক কি সেই টাকা আমার বাড়ি থেকে জব্দ করেছে বা আমার অ্যাকাউন্ট থেকে? দুদকের জব্দ করা টাকা দুদকেই ছিলো। ২০১৯ সালেও অনেক জব্দ করা টাকা দুদকে আছে। কারণ নানা কারণে সেসব জমা দেওয়া হয় না। আর কোর্ট আমাকে বলেছে, ২০২১ সালে ৩০ জুনের মধ্যে যেন নথিসহ এসব বিষয় পেশ করি। এটাই প্রসিডিউর। মামলা হওয়া টাকা, কারো আত্মসাতের সুযোগ নাই।’
দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চালিয়ে আলোচিত শরীফ উদ্দীন বলছেন, তাকে অপসারণের ক্ষেত্রে সংবিধান লংঘন করা হয়েছে। সংবিধানের ১৩৫ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়। শরীফ দাবি করছেন, দুদক তাকে সেই সুযোগ দেয়নি। এখন তিনি ন্যায় বিচার প্রার্থনা করে আদালতের দ্বারস্থ হবেন। সূত্র: ঢাকাটাইমস
Leave a Reply