cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সিলেটের শাহ’জালাল বিজ্ঞান ও প্রযু’ক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছা’ত্রী হলের প্রভোস্ট পদত্যাগের দাবিতে আ’ন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ১৬ জানুয়ারির পু’লিশি হা’মলার এক মাস পূর্তি হয়েছে।
এ উপলক্ষে ও ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বক্তব্যের প্রতিবাদে বিবৃতি দিয়েছেন আ’ন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের দেওয়া বক্তব্যকে নির্লজ্জ মিথ্যাচার ও মনগড়া দাবি করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আ’ন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি মহামান্য আচার্যের কাছে অবিলম্বে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের অ’পসারণ নিশ্চিত করার জন্য আবারো বিনীত আবেদন করেছে তারা।
বুধবার রাতে আ’ন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অন্যতম মুখপাত্র মোহামিনুল বাশার রাজ ও শাহরিয়ার আবেদীন সংবাদ মাধ্যমে এই বিবৃতি দেন।
সংবাদ বি’জ্ঞপ্তিতে তারা উল্লেখ করেন, ঠিক এক মাস আগে এই দিনে ন্যায্য দাবিতে আ’ন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের প্রত্যক্ষ ম’দদে পু’লিশের বর্বরোচিত হা’মলার ঘটনা ঘটে। নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর রাবারবুলেট, শটগান, সাউন্ড গ্রেনেড সহযোগে এ হা’মলায় মা’রাত্মক আ’হত হয় অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী। শটগানের ধাতব শ্রাপনেল, সাউন্ড গ্রেনেডের স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়ে এখনো চিকিৎসাধীন আমাদের বহু সহযোদ্ধা।
১৬ জানুয়ারির ওই নারকী’য় ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীরা সংঘবদ্ধ হয়ে শাবির ইতিহাসে নজিরবিহীন এই ঘটনার মূল কুশীলব উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহম’দকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তার পদত্যাগের দাবিতে আ’ন্দোলন শুরু করে। ভ’য়াল ১৬ জানুয়ারির ১ মাস পূর্তিতে আম’রা শিক্ষার্থীরা বলতে চাই, আম’রা কিছুই ভুলিনি।
সংবাদ বি’জ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমাদের সমস্ত দাবির ব্যাপারে অ’তি শিগগিরই যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে- শিক্ষামন্ত্রীর এমন ঘোষণায় আম’রা আপাতত আ’ন্দোলন প্রত্যাহার করেছি। কিন্তু আমাদের শরীরে লা’ঠি, বুলেট, বো’মা’র সব আ’ঘাত, জ’খম, ঝরা র’ক্ত আমাদের মনে অক্ষয় শক্তির জোগান দিয়ে অঙ্গার হয়ে জ্বলছে। ভিসির পতন না হলে এই অঙ্গার অ’প্রতিরোধ্য দাবানলে পরিণত হবে।
তারা বি’জ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করেন, সমস্ত বাধা-বিপত্তি, ভ’য়ডর উপেক্ষা করে শাবি শিক্ষার্থীরা প্রায় ১ মাসব্যাপী অন্যায়ের বি’রুদ্ধে যে অভূতপূর্ব আ’ন্দোলন চালিয়েছে তার যৌক্তিকতা, ন্যায্যতা ও নৈতিক ভিত্তি সারা দেশে সর্বজনস্বীকৃত। অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ তার মিথ্যাচারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছেন। ভিসিকে আম’রা বলতে চাই, শাবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সঙ্গে গোটা জাতির কাছে সত্য হচ্ছে নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর বিনা উস্কানিতে আপনার নির্দেশে পু’লিশের নিষ্ঠুর হা’মলা, অসংখ্য আ’হত শিক্ষার্থীর আর্তনাদ, আমাদের সতীর্থ সজল কুণ্ডুর শরীরের ৮০টিরও বেশি স্প্লিন্টার, ২৮টি ছে’লেমে’য়ের ম’রণপণ অনশন। আপনার তো পদত্যাগ করার সৎসাহসও নেই। তাই এখন অবশ্যম্ভাবী পদচ্যুতির আগে যত্রতত্র আপনার স্বভাবসুলভ মিথ্যার পসরা সাজিয়ে বসবেন না।
এতে বলা হয়, ১৬ জানুয়ারির পু’লিশি হা’মলার ১ মাস পূর্তিতে শাবি শিক্ষার্থীরা আবারো মহামান্য আচার্যের কাছে অবিলম্বে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের অ’পসারণ নিশ্চিত করার জন্য আবেদন জানাচ্ছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের নির্লজ্জ মিথ্যাচার ও মনগড়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছে বলে বি’জ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
১৩ জানুয়ারি প্রভোস্ট বডির পদত্যাগের দাবিতে আ’ন্দোলন শুরু করে ছা’ত্রীরা, পরবর্তীতে দাবি আদায়ের জন্য ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অব’রুদ্ধ করে শিক্ষার্থীরা এবং অব’রুদ্ধ ভিসিকে মুক্ত করতে ১৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় পু’লিশ শিক্ষার্থীদের ওপর হা’মলা করে ভিসিকে মুক্ত করে। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা ভিসি পদত্যাগের আ’ন্দোলন শুরু করে।
দীর্ঘ ২৭ দিন আ’ন্দোলন করার পর শিক্ষামন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর ওপর পূর্ণ আস্থা রেখে তা আপাতত প্রত্যাহার করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে দিবসের অনুষ্ঠানে ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, অন্যায় আবদার করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মা’থা নত করবে না, একজনও যদি ন্যায্য কথা বলে তাহলে আম’রা গুরুত্ব দিয়ে এটা সমাধানের ব্যবস্থা করব। অন্যায়ের কাছে মা’থা নত করি নাই, ভবিষ্যতেও করব না। আম’রা ন্যায় এবং সত্যের পথে থাকব। আপনারা দেখতে পেয়েছেন সত্য এবং ন্যায় আজকে বিজয়ী হয়েছে, ঠিকে আছে। মিথ্যা আজকে পরাভূত হয়েছে। দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে এমন একটি আলোকোজ্জ্বল দিন এসেছে, এতে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা’ণ্ডের বিষয় তুলে ধরেও বক্তব্য দেন তিনি।
Leave a Reply