cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
১৫ হাজার টাকা খরচ করে নার্সারি দিয়ে বর্তমানে ১৫ লাখ টাকার মালিক কুমিল্লার তরুণ মো. মাঈন উদ্দীন পাভেল। তার রয়েছে তিনটি বাগান। যেখানে বিভিন্ন ধরনের ২৫ হাজারের বেশি চারা গাছ রয়েছে। এসব বাগান দেখাশোনা করেন তিনি। তার বাগান থেকে চারা গাছ নিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেক বেকার তরুণ।
পাভেলকে এখন সবাই তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবেই জানেন। কুমিল্লার বুড়িচং উপজে’লার ময়নামতি ইউনিয়নের শাহ দৌলতপুর গ্রামের মৃ’ত আবদুল আজিজের ছে’লে তিনি।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পাভেলের ভিক্টোরিয়া অ্যাগ্রো অ্যান্ড নার্সারিতে গিয়ে দেখা যায়, সারিবদ্ধ গাছের ফাঁকে ফাঁকে বিকালের রোদ পড়েছে। সেই রোদে বসে গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত পাভেল।
তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৬ সালে ডেইরি ফার্মের কার্যক্রম শুরু করেন। ডেইরি ফার্মে প্রথমে লাভের মুখ দেখলেও বছর দুয়েক পর লোকসান গুনতে শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত ২০১৯ সালে ২০ লাখ টাকা লোকসান দিয়ে মা’থায় হাত পড়ে তার। পরিবার থেকে হয়ে পড়েন বিচ্ছিন্ন। মনস্থির করলেন এটাই শেষবার। এরপর আর কোনও ব্যবসায় মন দেবেন না। এখানে ব্যর্থ হলে পাড়ি দেবেন প্রবাসে।
সবশেষে ইউটিউব ও ফেসবুক গ্রুপ ভিক্টোরিয়া ই-কমা’র্স ফোরামের উদ্যোক্তাদের গল্প শুনে অনুপ্রা’ণিত হন নার্সারি ব্যবসায়। এরপর স্নাতক পরীক্ষা শেষ করে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বড় বোন আনোয়ারা আক্তারের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা ধার নিয়ে বাড়ির পাশে শুরু করেন নার্সারির কাজ।
প্রথমে যশোরের সীমান্ত নার্সারির মালিক নূর মিয়ার সঙ্গে ফেসবুকে কথা হয় তার। তিনি তাকে গাছের চারা দিয়ে ব্যবসায় সাহস দেন। পাশাপাশি কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া ই-কমা’র্স ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা কাজী আপন তিবরানী যোগাযোগ করিয়ে দেন একাধিক উদ্যোক্তার সঙ্গে। দুই শতাধিক চারা দিয়ে নার্সারি শুরু করেন। এরপর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে তার নার্সারিতে ২৫ হাজারের বেশি চারা গাছ রয়েছে। আছে তিনটি বাগানও। পাভেলের এমন সফলতায় দারুণ খুশি বড় বোন আনোয়ারা।
পাভেল জানিয়েছেন, রংপুর, রাজশাহী ও যশোরসহ দেশের বেশ কয়েকটি জে’লা থেকে প্রতি মাসে গাছের চারা পাইকারি দরে কিনে আনেন। পরে গাছের চারা বিক্রি করেন কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, চাঁদপুর, কি’শোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জে’লায়। তার বাগান থেকে গাছ নিয়ে এসব জে’লায় ২০টির বেশি নার্সারি করা হয়েছে।
পাভেলের বাগানে রয়েছে বিদেশি ফল রাম্বুটান, পারশিমন, ব্ল্যালবেরি, সাদা জাম, চেরি ফল, মালবেরি। এছাড়া আ’মের চারার মধ্যে রেয়েছে সূর্যডিম, থ্রি-টেস্ট, চিনিনাই, আল-ফানসো, হানিডিউসহ সব জাতের আম গাছ। এর আগে কুমিল্লার কোনও নার্সারিতে এসব গাছের দেখা মেলেনি। পাশাপাশি রয়েছে থাই, ড্রা’গন, আপেল, কমলা, মালটা, লেবু, পেয়ারা, নারিকেল, লিচু ও আপেল কুলসহ ১৩৫ প্রজাতির ফলের গাছ। ফলের পাশাপাশি রয়েছে বাহারি রঙের ফুলের চারা। যা বাগানকে ছবির মতো সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছে।
পাভেল বলেন, বর্তমানে আমা’র নার্সারিতে পাঁচ তরুণ কাজ করেন। তারা মাসিক বেতনভুক্ত। এছাড়া আমা’র কাছ থেকে চারা নিয়ে বাগান করে অন্তত ২০ জনের বেশি তরুণ স্বাবলম্বী হয়েছেন। বর্তমানে তিনটি বাগানে ১৫ লাখ টাকার বেশি গাছের চারা রয়েছে। কোনও কোনও মাসে লক্ষাধিক টাকার গাছ বিক্রি হয়। সরকারি সহযোগিতা পেলে বৃহৎ পরিসরে নার্সারির পাশাপাশি মৎস্য প্রজেক্ট ও গার্মেন্টস শিল্পেও বিনিয়োগ করবো। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বেকারত্ব দূর করার কাজে ভূমিকা রাখতে চাই।
ভিক্টোরিয়া ই-কমা’র্স ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক কাজী আপন তিবরানী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমা’র দেখা অবিশ্বা’স্য কয়েকজন উদ্যোক্তার মধ্যে পাভেল সবচেয়ে সফল। কারণ তিনি উদ্যমী ও পরিশ্রমী। আমি তাকে যতটা না নির্দেশনা দিয়েছি, এর চেয়ে বেশি কাজ করেছেন। তার পরিকল্পনা শুনে আমি বিস্মিত হই। নিশ্চিত করে বলা যায়, আরও সহায়তা পেলে অনেক ভালো কিছু করতে পারবেন পাভেল।
কুমিল্লার আঞ্চলিক বন কর্মক’র্তা মোহাম্ম’দ আলী বলেন, পাভেলের কথা এর আগে আমাকে কেউ জানায়নি। আম’রা খবর নিয়ে তার একটা ব্যবস্থা করবো। তার এই উদ্যোগকে আম’রা স্বাগত জানাই। এমন উদ্যোক্তা তৈরি হলে দেশের বেকারত্ব দূর হবে। মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
Leave a Reply