সর্বশেষ আপডেট : ১২ ঘন্টা আগে
বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দ | ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

‘আমার মেয়ে মারা গেছে, আপনাদের কি মজা লাগতেছে’

সিলেটে শ্বা’সরুদ্ধ করে নিজের এক বছর ৫ মাস বয়সী মে’য়েকে হ’ত্যার পর থা’নায় আত্মসম’র্পন করেছেন নাজমিন আক্তার (২৮) নামের এক নারী।

বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘটনার ছবি ও সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকরা কতোয়ালি থা’নায় গেলে তাদের দিকে তেড়ে যান নাজিমন আক্তার।

নাজমিন নগরের স্কলার্স হোম স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা। পারিবাহিক কলহের জেরে সাবিহাকে বালিশ চাপা দিয়ে ও শ্বা’সরুদ্ধ করে হ’ত্যা করেন বলে থা’নায় উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের জানান নাজমিন।

এসময় গণমাধ্যম কর্মীরা তার ছবি তুলতে গেলে নাজমিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মজা লাগতেছে, আমা’র মে’য়ে মা’রা গেছে আপনাদের মজা লাগতেছে। যান প্রত্যেকটা ব্যক্তি যান। গিয়ে নিজের মে’য়েকে খু’ন করে আসেন। ক্যামেরা অফ করেন। বলছি ক্যামেরা অফ করেন। আশ্চর্য একটা বিষয়।’

সাংবাদিকদের গিয়ে তেড়ে গিয়ে তিনি বলেন, ‘নতুন সাংবাদিক হইছেন। সাংবাদিক কী’ লেখাপড়া করে হইছেন। একটা প্রবলেম হইছে। এটা আগে সলভ হোক। একটা সমাধান আসুক তারপর আপনেরা আমা’র ছবি তুলেন। তুলে দেখান, এই নারী তার মে’য়েকে হ’ত্যা করছে। কিন্তু এখন এইগুলা কি? আমি তা এইগুলা নিতে পারছি না।’

ক্ষুব্ধ কণ্ঠে নাজমিন আরও বলেন, ‘এইগুলা করে কি খুব বেশি ইনকা’ম করে ফেলবেন। আপনাদের ইনকা’মের উপর গজব পড়বে। সাংবাদিকগিরি দেখাইতে আসছে।’

নিজের দেড় বছর বয়সী মে’য়ে সাবিহা আহম’দকে হ’ত্যার অ’ভিযোগ ওঠেছে নাজমিনের বি’রুদ্ধে। অ’ভিযোগ স্বীকার করে থা’নায় আত্মসম’র্পনও করেছেন তিনি।

বুধবার সকালে সিলেট নগরের শাহপরাণ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় পু’লিশ।

থা’নায় নাজমিন বলেন, আমি আমা’র মে’য়েকে হ’ত্যা করেছি, আমা’র ফাঁ’সি হোক’- থা’নায় বসে এমনটি বলছিলেন নাজমিন জাহান (২৮)। নগরের স্কলার্স হোম স্কুলের শিক্ষক তিনি।

নাজমিন জানান, স্বামীর সাথে বিরোধের জেরে মে’য়েকে বালিশ চাপা দিয়ে হ’ত্যা করেন তিনি। মে’য়ের কা’ন্নার শব্দ শুনে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতা’লে নিয়ে আসেন।

বিকেলে হাসপাতাল থেকে নাজমিনকে কতোয়ালি থা’নায় নিয়ে আসে পু’লিশ। নাজমিনের স্বামী সাব্বির হোসেনকেও আ’ট’ক করেছে পু’লিশ।

পু’লিশ সূত্রে জানা যায়, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা’র গোলাপগঞ্জ এলাকার নাজমিনের সাথে দক্ষিণ সুরমা’র বদলি এলাকার সাব্বির হোসেনের বিয়ে হয় ২০১৫ সালে। বিয়ের পর থেকে তারা শাহপরান এলাকায় থাকেন। নাজমিন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্কলার্সহোম স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা ও তার স্বামী কাতার প্রবাসী।

এর আগেও একটি বিয়ে হয়েছিলো নাজনিনের। সেই সংসারে তার একটি সন্তান রয়েছে।

থা’নায় উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে নাজমিন বলেন, বিয়ের পর আমা’র স্বামী বিদেশ চলে যায়। এরপর চার বছর পর দেশে ফিরে। কিন্তু বিদেশ থাকা অবস্থায় তিনি আমা’র ভরণ পোষণের দায়িত্ব নেননি। দেশে ফিরে আমাকে অনেক বুঝিয়ে আবার সংসার শুরু করেন তিনি। তখন আমি গর্ভবতী হই। আমাকে গর্ভবতী রেখেই তিনি আবার কাতার চলে যান।

নাজমিন অ’ভিযো্গ করে বলেন, বিদেশে গিয়ে সাব্বির অ’ভিযোগ করেন আমা’র গর্ভের সন্তান তার নয়। আমি তখন ডিএনএ টেস্ট করার কথা বলি। কিন্তু সাব্বির ও তার তার পরিবার আমা’র বি’রুদ্ধে কুৎসা রটাতে থাকে।

মে’য়ের চেহেরা অবিকল তার বাবার মতো হয়েছে জানিয়ে নাজমিন বলেন, সাব্বির ১৫ দিন আগে দেশে এসেছেন। কিন্তু একবারও মে’য়েকে দেখতে আসেননি। বরং আমা’র বি’রুদ্ধে নানা অ’পপ্রচার করছেন।

স্বামীর বি’রুদ্ধে পর’কী’য়ার অ’ভিযোগ এনে তিনি বলেন, আমা’র মে’য়ে বড় হয়ে চরিত্রহীন পিতার সন্তান- এমন পরিচয় যাতে না দিতে হয়, তাই নিজের বিবেচনায় সাবিহাকে হ’ত্যা করেছি।

নিজের মে’য়েকে হ’ত্যার দায় স্বীকার করে নাজমিন আরও বলেন, আমি কাউকে ফাঁ’সাবো না। সাব্বিরকেও ফাঁ’সাবো না। তাকে ফাঁ’সালেও সে কম শা’স্তিতে পার পেয়ে যাবে। তার বিচার আল্লাহ করবেন। আমি আমা’র মে’য়েকে খু’ন করছি। আমা’র ফাঁ’সি হোক।

ক্ষোভ প্রকাশ করে নাজমিন বলেন, হাসপাতা’লে সাব্বিরের ভাইকে পাইছিলাম। তাকে জুতা দিয়ে মা’রতে চাইছিলাম। মা’রতে পারলে শান্তি হতো। কিন্তু পারিনি।

পারিবাহিক কলহের জেরে সাবিহাকে গলা টিপে তার মা নাজমিন হ’ত্যা করেন জানিয়ে কোতোয়ালি থা’নার ভা’রপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা মোহাম্ম’দ আলী মাহমুদ বলেন, নাজমিনকে আম’রা থা’নায় নিয়ে এসেছি। তার স্বামীকেও আ’ট’ক করেছি। ঘটনাটি যেহেতু শাহপরান থা’না এলাকার তাই শাহপরান থা’না পু’লিশকে খবর দিয়েছি। তারাই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

নি’হত শি’শুর ম’রদেহ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লের ম’র্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।

বুধবার দুপুরে সিলেট নগরের শাহপরাণ এলাকায় নাজমিন তার শি’শু কন্যাকে হ’ত্যা করেন বলে জানায় পু’লিশ। নি’হত শি’শুর নাম সাবিহা আক্তার। বিকেলে হাসপাতাল থেকে নাজমিনকে কতোয়ালি থা’নায় নিয়ে আসে পু’লিশ। নাজমিনের স্বামী সাব্বির আহম’দকেও আ’ট’ক করেছে পু’লিশ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: