cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) ক্যাম্পাসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা টং দোকান স্থাপন করেছেন। শনিবার প্রায় দুই সপ্তাহ চলা আন্দোলনের অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবন ‘ই’ ‘বি’ এবং ‘সি’ ভবনের পাশে তারা ‘চাষাভুষার টং’ নামে টং দোকান স্থাপন করেন।
এছাড়া ক্যাম্পাস অপরিচ্ছন্ন হওয়ায় আন্দোলনকারীরা বিকেলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানও চালিয়েছে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তনের সময় কিছু টং দোকান এবং করোনার ছুটির সময় বাকি টং দোকানগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল। এই দোকানগুলোতে শিক্ষার্থীরা স্বল্পমূল্যে খাবার খেতো এবং বন্ধুদের সঙ্গে টংয়ে বসে যুক্তি-তর্ক, আড্ডা, বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা আর সংস্কৃতি চর্চা করতো। এই টং দোকানগুলোই যেন সাংস্কৃতিক চর্চার প্রাণকেন্দ্র ছিলো। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় বন্ধ টং দোকান পুনরায় খোলার দাবি জানালেও প্রশাসন অনুমতি দেয়নি।
এবার আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে পুনরায় টং দোকানগুলো স্থাপন করে দিচ্ছেন বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ জানুয়ারি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নারী শিক্ষক ও শিক্ষকদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছে এমন অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ জানান কিছু শিক্ষক। এ সময় অধ্যাপক ড. লায়লা আশরাফুন মন্তব্য করেছিলেন, ‘আমরা সাধারণ শিক্ষক। আমরা সম্মানটুকুর জন্য কাজ করি এবং সম্মানের জন্যই শিক্ষকতা পেশায় এসেছি। আমরা বুদ্ধিজীবী শ্রেণি ধারণ (Belong) করি, আমরা কোনো চাষাভুষা নই যে আমাদের যা খুশি তাই বলবে।’
তার ওই মন্তব্যে চাষাভুষা মানুষকে ছোট করা হয়েছে এবং অসম্মানিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। ওই মন্তব্যের প্রতিবাদেই টং দোকানগুলোর নামকরণ ‘চাষাভুষার টং’ করা হয়েছে বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
এদিকে ক্যাম্পাসে খাবার দোকানগুলো বন্ধ করে দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা নিজেরাই গোল চত্বরের পাশে একটি অস্থায়ী টং দোকান দেন। আন্দোলন চলাকালীন স্থাপন করা সেই দোকানের নামও চাষাভুষার টং রেখেছিলেন তারা। সেখানে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই দোকানি এবং ক্রেতাও শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা হাতে গ্লাভস পরে, বস্তা নিয়ে দুই-তিন জনের টিম করে ক্যাম্পাসের সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। এভাবে তারা পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে থাকা ময়লা সংগ্রহ করে বস্তা ভরে। পরে ময়লাগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ময়লার বিনে ফেলে। এভাবে চলমান আন্দোলনে ছড়িয়ে থাকা ময়লাগুলো তারা পরিষ্কার করতে থাকে।
এ সময় সৌরভ চাকমা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের ক্যাম্পাস, আমাদের দায়িত্ব এটা পরিষ্কার রাখা।
উল্লেখ্য, ১৩ জানুয়ারি রাতে বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী ছাত্রী হলের সমস্যা নিয়ে ছাত্রীরা প্রভোস্ট জাফরিন আহমেদ লিজার সঙ্গে কথা বলে এবং সে সময় প্রভোস্ট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন এমন অভিযোগ এনে শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করে। এরপরে গত ১৬ জানুয়ারি উপাচার্য অবরুদ্ধ হলে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট এবং সাউন্ড গ্রেনেড দিয়ে হামলার পর থেকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছে।
Leave a Reply