cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ফুটবলে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের নাম লিখে ব্যতিক্রমী টুর্নামেন্টের আয়োজন করে প্রতিবাদ।
একদফা দাবিতে শাহ’জালাল বিজ্ঞান ও প্রযু’ক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আ’ন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বিরোধী প্রীতি ফুটবল ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যান্ডবল গ্রাউন্ডে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করে শিক্ষার্থীরা।
এরআগে বুধাবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে ১৩ দিন আ’ন্দোলন এবং ৭ দিন অনশন করেন শিক্ষার্থীদের দেখতে আসেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ড. মুহম্ম’দ জাফর ইকবাল। এদিন সকালে অনশনরত শিক্ষার্থীদের আশ্বা’স দিয়ে তাদের অনশন ভাঙান।
জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমি সংকল্প করে এসেছি তোমাদের অনশন ভাঙিয়ে তার পর আমি সিলেট ছাড়ব। আমি চাই তোম’রা আ’ন্দোলন চালিয়ে যাও, তবে অনশন ভেঙে আ’ন্দোলন কর। আ’ন্দোলন আর অনশন ভিন্ন জিনিস। এই কয়দিনে তোম’রা দেশের সব মহলকে দেখিয়ে দিয়েছ; তোমাদের বার্তা সবার কাছে পৌঁছাতে পেরেছ, আমি নিজেও তোমাদের কথা পৌঁছে দেব।’
এ সময় এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এতদিন আমাদের কথা শোনার কেউ ছিল না। আম’রা আপনাকে বিশ্বা’স করি। আপনার আশ্বা’সে আম’রা অনশন ভাঙছি। তবে আমাদের কথা দিয়ে আপনারা তা ভঙ্গ করবেন না!
জবাবে জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমা’র সঙ্গে সরকারের উচ্চ মহলের কথা হয়েছে। তারা যদি আমাকে দেওয়া কথাগুলো না রাখে, তবে বুঝব, শুধু আমি কিংবা শিক্ষার্থীদের সঙ্গেই নয়; পুরো বাংলাদেশের প্রগতিশীল মানুষের সঙ্গে বিশ্বা’সঘা’তকতা করা হবে।
শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আ’ন্দোলনের সূত্রপাত গত ১৩ জানুয়ারি। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বি’রুদ্ধে অসদাচরণের অ’ভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আ’ন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছা’ত্রী। ছা’ত্রীদের অ’ভিযোগ, সিরাজুন্নেসা হলের ছা’ত্রীরা কিছু সমস্যার কথা বলতে প্রাধ্যক্ষ জাফরিন লিজাকে মোবাইল ফোনে কল করেন। এ সময় তিনি ছা’ত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। এর প্রতিবাদে ছা’ত্রীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে হলের সামনে বি’ক্ষোভ শুরু করলে ছাত্রলীগ ছা’ত্রীদের আ’ন্দোলনে হা’মলা চালায়।
আ’ন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেছেন, আবাসিক হলের পানি, সিট, ইন্টারনেট, খাবারসহ বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে শিক্ষার্থীরা হলের রিডিং রুমে আলোচনা করছিলেন। আলোচনার মাঝে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক জাফরিন আহমেদ লিজাকে ফোন দিয়ে অল্প সময়ের জন্য হলে আসার জন্য অনুরোধ করা হয়। প্রথমে তিনি অ’সুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে যেতে চান। এরপর শিক্ষার্থীরা তাঁর কাছে প্রভোস্ট বডির কাউকে হলে পাঠানোর অনুরোধ জানালে জাফরিন আহমেদ লিজা ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘কেউ তো ম’রেনি যে তোমাদের দেখতে আসব। আমা’র এত ঠেকা পড়েনি। ইচ্ছে হলে থাক, নয় তো বেরিয়ে যেতে পারো!’
প্রভোস্টের এ মন্তব্যে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। তারা বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের সামনে বি’ক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করলে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা সেখানে হা’মলা চালান। আ’ন্দোলনরত ছা’ত্রীরা জানান, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এসে কর্মসূচি গুটিয়ে তাদের চলে যেতে বলেন। এ সময় আ’ন্দোলনকারী ছা’ত্রীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বাগ্বিতন্ডা হয়। এরই মধ্যে ছা’ত্রীদের আ’ন্দোলনে সংহতি জানাতে যাওয়া ১০-১২ জন শিক্ষার্থীকে সেখানে বেধড়ক মা’রধর করা হয়। হা’মলাকারীদের হাত থেকে তাদের বাঁ’চাতে গিয়ে হে’নস্তার শিকার হন আ’ন্দোলনরত কয়েকজন ছা’ত্রী। ক্যাম্পাসের গোলচত্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদ এবং প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আলমগীর কবিরের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের হা’মলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে ছা’ত্রীরা হা’মলার বিচার ও প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যেতে থাকেন। আ’ন্দোলনের একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অব’রুদ্ধ করেন। তখন শিক্ষার্থীদের লা’ঠিপে’টা ও তাদের লক্ষ্য করে শটগানের গু’লি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পু’লিশ। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আ’হত হন। পু’লিশ ৩০০ জনকে অ’জ্ঞাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বি’রুদ্ধে মা’মলা করে।
পরে ১৫ জানুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্ট’কালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেন কর্তৃপক্ষ। এতে আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। এবার তারা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আ’ন্দোলন শুরু করেন। এরই মধ্যে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজা পদত্যাগ করলেও শিক্ষার্থীরা আ’ন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকেন। শাহ’জালাল বিজ্ঞান ও প্রযু’ক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে ১৯ জানুয়ারি বিকালে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ২৪ শিক্ষার্থী আম’রণ অনশনে বসেন। পরে তাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বাড়তে থাকে অনশনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা। পরে অনশনের সাত দিনের মা’থায় শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙান বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক অধ্যাপক ড. মুহম্ম’দ জাফর ইকবাল।
Leave a Reply