cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
শাহ’জালাল বিজ্ঞান ও প্রযু’ক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী-আ’ন্দোলনে দেশের ৩৪ উপাচার্যের (ভিসি) ঘুম নষ্ট হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. মুহাম্ম’দ জাফর ইকবাল।
বুধবার ভোররাত ৩টা ৫৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছেই ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আ’ন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ঢাকা থেকে সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছান ড. মুহম্ম’দ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী’ ড ইয়াসমিন হক। তারা পায়ে হেঁটে অনশনকারী শিক্ষার্থীদের কাছে যান। টানা দুই ঘণ্টারও বেশি কথা বলার পর ড. জাফর ইকবাল ও তার সহধ’র্মিণী ড. ইয়াসমিন হক অনশন ভাঙতে রাজি করান শিক্ষার্থীদের।
সকাল ৮টার দিকে ড. জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী’ হাতে পানি পান করে বা অন্য কোনো আয়োজনে অনশন ভাঙবে বলে কথা দেয় শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের সব অ’ভিযোগ ও দাবি শোনার পর ড. জাফর ইকবাল বলেন, ‘তোম’রা আমাকে গণমাধ্যমগুলোর সামনে কথা দিয়েছ, এই অনশন ভাঙবে। তোমাদের জীবন অনেক মূল্যবান। একজন মানুষের জন্য তোম’রা জীবন দিয়ে দেবা এটা মানা যায় না। সাবেক ৫ শিক্ষার্থীর বিষয়ে কথা হয়েছে। যেহেতু মা’মলা করা হয়ে গেছে তো আ’দালতে তোলা হবে। তারা কথা দিয়েছেন ছাত্রদের জামিন দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি আসলে এসেছি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে। আমি খুব ইমোশনাল, আমা’র চোখে পানি চলে আসে। ওরা (সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থী) টাকা-পয়সা দেওয়ায় গ্রে’প্তার হয়েছে। তোমাদেরকে সাহায্য করতে যদি অ্যারেস্ট হতে হয় তাহলে আমি হব।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী’র একটা স্মা’রকগ্রন্থে আমা’র কাছে একটা লেখা চেয়েছিল। সেই লেখাটার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আমাকে দশ হাজার টাকা সম্মানী দেওয়া হইছে। আমি এই সম্মানীর টাকা’টা নিয়ে আসছি, এই আ’ন্দোলনের ফান্ডে এই টাকা’টা দিচ্ছি, তোম’রা রাখো। এবার পারলে আমাকে অ্যারেস্ট করুক। সাবেক শিক্ষার্থীরা টাকা দিয়ে সহায়তা করায় অ্যারেস্ট হলে আমাকেও অ্যারেস্ট করুক। আমি দেখতে চাই সিআইডি আমাকে অ্যারেস্ট করে কিনা।’
আপ্লুতকণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমি আইজিপিকে বলেছি, ছাত্রদের বিশ্বা’স করুন। ছাত্ররা মুক্তিযু’দ্ধ করেছে। তাদের মা’রবেন না। সবার হাতে স্মা’র্টফোন থাকে একটা ছবি দেখান যে, ছাত্ররা গু’লি করেছে। এসবের কোনো প্রমাণ নেই।’
ছাত্রদের উদ্দেশে ড. জাফর ইকবাল বলেন, ‘তোম’রা টের পাচ্ছ না তোম’রা কী’ করেছে। ৩৪ জন ভিসির ঘুম নষ্ট হয়ে গেছে। তোম’রা সারা বাংলাদেশের বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ে নাড়া দিয়েছ। আমি ধরে নিয়েছিলাম, অনশনের এখানে মেডিকেল টিম আছে। তারা সার্বক্ষণিক দেখভাল করছেন। কিন্তু এখানে এসে দেখলাম, ডাক্তাররা ছিলেন কিন্তু তাদের ভ’য়-ভীতি দেখিয়ে এখান থেকে সরিয়ে দিয়েছে। আমি এসব ঘটনা বলব। এখানের অনশনকারীদের অবস্থাই যখন এতো খা’রাপ, তাহলে অ’সুস্থ ২০ জনের কী’ অবস্থা! আমি শঙ্কিত। এটা চরম অমানবিকতা। ’
‘তোমাদের আমি অ’ভিনন্দন জানাই। এমন আ’ন্দোলনে বাইরের মানুষ নিজেদের স্বার্থে নিয়ে নেয়। তোম’রা সেটা হতে দাওনি। আমি বহিরাগত। এরপরও তোম’রা যদি আমাকে ডাকো আমি সাড়া দেব।’
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের আ’ন্দোলনের সূত্রপাত ১৩ জানুয়ারি। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বি’রুদ্ধে অসদাচরণের অ’ভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আ’ন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েকশ ছা’ত্রী। ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ছা’ত্রীদের আ’ন্দোলনে হা’মলা চালায় ছাত্রলীগ। ১৬ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অব’রুদ্ধ করেন। তখন পু’লিশ শিক্ষার্থীদের লা’ঠিপে’টা করে ও তাদের লক্ষ্য করে শটগানের গু’লি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে আ’ন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
Leave a Reply