সর্বশেষ আপডেট : ১৩ ঘন্টা আগে
শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দ | ১০ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

বাসভবনের গেটে শিক্ষার্থীরা, অবরুদ্ধ হতে পারেন উপাচার্য

পদত্যাগ না করলে শাহ’জালাল বিজ্ঞান ও প্রযু’ক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অব’রুদ্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন আ’ন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে উপাচার্যের বাসভবনের প্রধান ফট’কে অবস্থান নিয়েছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী।

রোববার (২৩ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে আ’ন্দোলনরত ১৪ শিক্ষার্থী ফট’কে অবস্থান নেন। তারা বলেন, এখন থেকে পু’লিশ ছাড়া উপাচার্যের বাসভবনে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না এবং কাউকে সেখান থেকে বের হতে দেওয়া হবে না।

তারা জানিয়েছেন গণমাধ্যম কর্মী এবং পুলিশ ছাড়া অন্য কাউকে ভেতরে প্রবেশ বা বাইরে বের হতে দেয়া হবেনা। শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের সহযোদ্ধাদের জীবন আজ বিপন্ন ভিসির কারণে। না খেয়ে তীব্র শীতেও আমরা এখানে আছি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। আর ভিসি তার বাসভবনে থেকে স্বাভাবিক জীবন যাপন করবেন- তা হতে পারেনা। আমরা তা মানতে পারছিনা। প্রয়োজনে আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে পারি। এখনো ভিসির বাসভবনে সব ধরণের সুযোগ সুবিধা আছে।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, যেভাবে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে, তাতে আম’রা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। প্রয়োজনে ভিসির বাসভবন পুরোপুরি অব’রুদ্ধ করা হবে।

আ’ন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মুহাইমিনুল বাশার রাজ বলেন, উপাচার্য পদত্যাগ না করলে তাকে বাসভবনে পুরোপুরি অব’রুদ্ধ করা হবে। এখন থেকে ক্যাম্পাসে পু’লিশ টিম, সংবাদকর্মী ছাড়া আর কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

রোববার গণ-অনশনে যোগ দিয়েছেন ৫ শিক্ষার্থী। এ দিন বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনশনরত ২৩ শিক্ষার্থীর সঙ্গে নতুন করে যোগ দেওয়া ৫ শিক্ষার্থীসহ মোট অনশনকারী বর্তমানে ২৮ জন। অনশনকারীদের মধ্যে হাসপাতা’লে চিকিৎসাধীন ১৫ জন। বাকি ১৩ জন অনশনরত অবস্থায় উপাচার্য বাসভবনের সামনে অবস্থান করছেন।

উপচার্যের পদত্যাগের দাবিতে গত বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর থেকে ২৪ শিক্ষার্থী আম’রণ অনশন শুরু করেন। এর মধ্যে এক অনশনকারীর পরিবারের সদস্য হৃদ্‌রোগে আ’ক্রান্ত হওয়ায় বাড়ি ফিরে গেছেন তিনি।

আ’ন্দোলনের সূত্রপাত হয় গত ১৩ জানুয়ারি। ওই দিন রাতে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বি’রুদ্ধে অসদাচরণের অ’ভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আ’ন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েকশ’ ছা’ত্রী।

এরপর ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যার দিকে ছাত্রলীগ হলের আ’ন্দোলনরত ছা’ত্রীদের ওপর হা’মলা চালায়। পর দিন বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অব’রুদ্ধ করেন। তখন পু’লিশ শিক্ষার্থীদের লা’ঠিপে’টা ও তাদের লক্ষ্য করে শটগানের গু’লি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে।

ওই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্ট’কালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার ঘোষণা দিলেও শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে আ’ন্দোলন চালিয়ে যান। এরপর ১৯ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আম’রণ অনশন শুরু করেন ২৪ শিক্ষার্থী।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: