সর্বশেষ আপডেট : ১৪ ঘন্টা আগে
শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দ | ১০ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

ভারত থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে এটিএম জালিয়াতি

তুরস্কের নাগরিক হাকান জানবুরকান এটিএম কার্ড ক্লোনিং স্ক্যামিং চক্রের অন্যতম মাস্টার মাইন্ড। তিনি বিভিন্ন দেশ ঘুরে ঘুরে এটিএম কার্ড ক্লোন করে বুথ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন।

২০১৯ সালে ভা’রতের আসাম রাজ্যে গ্রে’প্তার হন হাকান। প্রায় ২০ মাস সেখানকার জে’লে থাকার পর পু’লিশ হেফাজতে হাসপাতা’লে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় কৌশলে পালিয়ে যান। ভা’রতীয় এক ব্যক্তির সহায়তায় নেপাল হয়ে নিজ দেশে ফেরেন তিনি।

গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশে এসে বিভিন্ন এটিএম কার্ড ক্লোন করে অর্থ উত্তোলনের চেষ্টা করেন হাকান। মঙ্গলবার ঢাকার গুলশান এলাকা থেকে এক সহযোগীসহ হাকানকে গ্রে’প্তার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রা’ইম ইউনিট (সিটিটিসি)। গ্রে’প্তার অ’পরজন হলেন বাংলাদেশের নাগরিক মফিউল ইস’লাম।

এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ৫টি মোবাইল, ১টি ল্যাপটপ, ১৫টি ক্লোন কার্ডসহ মোট ১৭টি কার্ড জ’ব্দ করা হয়েছে।

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, গ্রে’প্তার তুরস্কের নাগরিক হাকান আন্তর্জাতিক এটিএম কার্ড ক্লোনিং স্ক্যামিং চক্রের অন্যতম মাস্টার মাইন্ড। গত ২ জানুয়ারি থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের বিভিন্ন বুথে গিয়ে অস্ট্রেলিয়া, নিউজল্যান্ড, ইউএসএ, ভা’রত, তুরস্ক, সৌদিআরব, অস্ট্রিয়া, জার্মানি, ভিয়েতনাম, যু’ক্তরাজ্য, কানাডা, বলিভিয়া, স্পেন, ফিনল্যান্ড, নরওয়েসহ প্রায় ৪০টি দেশের নাগরিকের ক্রেডিট কার্ড ক্লোন করে স্ক্যামিংয়ের মাধ্যমে কমপক্ষে ৮৪ বার টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করেন তিনি।

ইস্টার্ন ব্যাংক অ্যান্টি স্ক্যামিং টেকনোলজি ব্যবহার করায় এলার্ম সিস্টেমের মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত হয়ে স্ক্যামিং রোধ করতে সক্ষম হয়।

সিটিটিসি প্রধান বলেন, হাকান ২০১৯ সালে ভা’রতের আসাম রাজ্যের পল্টনবাজার পু’লিশ স্টেশনের এটিএম স্ক্যামিং মা’মলায় অন্য এক তুরস্কের নাগরিক ও ২ বাংলাদেশিসহ গ্রে’প্তার হন। তারা ভা’রতের বিভিন্ন এটিএম বুথ থেকে কার্ড ক্লোনিং করে প্রায় ১০ লাখ রুপি আত্মসাৎ করেন।

ভা’রতে প্রায় ২০ মাস জে’লে থাকার সময় আগরতলার গোবিন্দ বল্লভ পান্ত হাসপাতা’লে পু’লিশ হেফাজতে থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি কৌশলে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে এক ভা’রতীয় ব্যক্তির সহায়তায় দুই লাখ রুপির বিনিময়ে সিকিম হয়ে নেপালে পৌঁছান। সেখান থেকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে নিজ দেশে ফিরে যান।

ইতোপূর্বে হাকান বেশ কয়েকবার বাংলাদেশে এসেছেন। সবশেষ তিনি গত ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসেন। তিনি ঢাকার দ্য ক্যাপিটাল হোটেলে অবস্থান করছিলেন।

সিটিটিসির এই কর্মক’র্তা বলেন, এই চক্রে তুরস্ক, বুলগেরিয়া, মেক্সিকো, ভা’রত, বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক জড়িত। গ্রে’প্তারদের পল্টন থা’নায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত একটি মা’মলায় রি’মান্ডের আবেদনসহ আ’দালতে পাঠানো হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: