cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সিলেটের শাহ’জালাল বিজ্ঞান ও প্রযু’ক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা টানা ছয়দিন ধরে আ’ন্দোলনে আছেন। সর্বশেষ বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে তাদের মধ্য থেকে ২৪জন ছাত্র-ছা’ত্রী উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আম’রণ অনশনে বসেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা অনশন ভাঙবেন না বলে জানিয়েছেন।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শাবির বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভােস্ট কমিটির সদস্যরা বিবৃতির মাথ্যমে তাদের অবস্থান তুলে ধরেছেন।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের বর্তমান প্রভােস্ট কমিটি ২০১৯ সালের অক্টোবরে যােগদান করে। এরমধ্যে করােনাকালীন সময় দীর্ঘদিন হল বন্ধ ছিলাে। সাম্প্রতিক সময়ে হলে কতিপয় ছা’ত্রীর সাথে প্রভােস্ট এর কথােপকথন ও ভুলবুঝাবুঝির জের ধরে এক অ’প্রীতিকর পরিস্থিতির অবতারণা হয়েছে। যা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আমাদের জন্য অ’ত্যন্ত দুঃখজনক।তবে এর মধ্যে আরও উদ্বেগজনক যে কিছুসংখ্যক ছা’ত্রী সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যম ও অনলাইন নিউজ পাের্টালে আমাদের নামে ভিত্তিহীন মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে যা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। একজন শিক্ষক যিনি সে সময় কভিড পজিটিভ ছিলেন এবং ফোনে জানিয়েছিলেন তার অ’সুস্থতার কথা, তাকে রাত সাড়ে ৯ টায় কল করে বলা হয় “আপনারা এক্ষুনিই হলে আসেন আম’রা কথা বলবাে”।
প্রভােস্টের নির্দেশক্রমে দুইজন সহকারী প্রভােস্ট ছা’ত্রীদের সাথে যােগাযােগ করতে চাইলে তারা আ’পত্তি জানায় এবং অন্য কোন উপায় না থাকায় আম’রা হলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে তাদের জানাই যে তাদের দাবী/সমস্যাগুলাে লিখিতভাবে জানাতে এবং আম’রা রবিবারে অনলাইন প্লাটফর্মে তাদের সাথে সব বিষয় আলোচনা করে সমাধান করব কিন্তু ছাত্ৰীৱীতাতেও অস্বীকৃতি জানায় এবং সেই মুহূর্তেই প্রভােস্টদের হলে। যেতে বলে। এরুপভাবে বলাটা আসলে কতটা গ্রহণযােগ্য? যেখানে প্রভােস্ট কমিটির কয়েকজন সপরিবারে কোভিড আ’ক্রান্ত।
উল্লেখ্য, পূর্বেও তারা ২০২০ সালে রাত ১.০০ টার সময় প্রভােস্ট কমিটিকে হলে নিয়ে যায় এবং তাদের সাথে তর্ক বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়েছিলাে। তারা যে সকল অব্যবস্থাপনার কথা লিখিতভাবে জমা দিয়েছে তাও অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রযােজ্য নয়। সেগুলো হচ্ছে- ১.ডাইনিং এবং ক্যান্টিন-এর খাবারের দাম ছা’ত্রীদের সাথে মিটিং এর মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ে এর কোন পরিবর্তন করা হয়নি। ২.ওয়াইফাই এর সমস্যা সমাধানের লক্ষ্য ২.৫ লক্ষ টাকা বিনিয়ােগ করে হলে নতুন সুইচ লাগানাে হয় এবং আমাদের অ’ভিযােগের ভিত্তিতে কম্পিউটার সেন্টার থেকে নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারদের টিম এসে এ ব্যাপারে। ইন্সপেকশন করে যায়।
৩. পূর্বে বিভিন্ন কক্ষে ৬ জন ছা’ত্রী এর ডাব্লিং থাকলেও এই প্রভােস্ট কমিটি, বেগম সিরাজুন্নেসা হলে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিকক্ষে ৪জন করে ছা’ত্রীকে সিট দেয় এবং সেইসাথে গণরুম প্রথাও বন্ধ করে। তবে করােনার সময় আর্থিকভাবে অসচছল ছা’ত্রীদের মেইন হলে সিট দেওয়ার লক্ষ্যে সাময়িকভাবে প্রতিকক্ষের ৫ জন ছা’ত্রী দেওয়া হলেও গত ১৩/০১/২০২২ তারিখ দুপুরে শিক্ষার্থীদের অ’ভিযােগের ভিত্তিতে পুনরায় প্রতিকক্ষে ৪ জনকে সিট দেওয়া হয়। সে জন্যে ছা’ত্রীরা সংশ্লিট ম্যাডামকে ধন্যবাদও জানায়।
৪. প্রভােস্ট কমিটি নভেম্বর, ২০২১ এ ছা’ত্রীদের সাথে সাধারন মিটিং ডাকে। এবং তাদের সাথে আলােচনা করে করােনাকালীন সময়ে হলে অ’তিথি প্রবেশ সাময়িক ভাবে নিষেধ করা হয়। বর্তমানে হলে বহিরাগত কেউ অবস্থান করা নিয়ম বহির্ভূত তাই ছা’ত্রীদের সাথে সাধারন সভায় প্রভােস্ট কমিটি বার বার ছা’ত্রীদের অনুরােধ করে এই করােনাকালীন সময়ে অ’ভিভাবকদের রাতে থাকার জন্য যেন সাথে নিয়ে না আসে এবং এ সংক্রান্ত একটি বি’জ্ঞপ্তি ও উক্ত হলে দেওয়া হয় তারপরেও ছা’ত্রীরা বিভিন্ন সময় অ’ভিভাবকদের নিয়ে রাত ১১.৩০/১২.০০ টায় হল এ উপস্থিত হয়ে প্রভােস্ট কমিটিকে বাধ্য করে অনুমতি দেওয়ার জন্য, হলের নিরাপত্তা প্রহরীদের সাথে মিথ্যাচার করে এমনকি একজন ছা’ত্রী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অ’ভিভাবককে ২দিনের অধিক হলে রাখলে, ছা’ত্রীকে ডেকে বুঝিয়ে বলা হয় কিন্তু কনইিকোন অ’ভিভাবকের সাথে খা’রাপ ব্যাবহার করা হয়নি। এরমধ্যে ৩ জন ছা’ত্রী অ’সুস্থ থাকায় তাদের মাদের অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য হল এ থাকতে দেওয়া হয় এবং প্রভােস্ট কমিটি অ’ভিভাবকের সাথে বেশ কয়েকবার কুশলাদি বিনিময়ও করতে যায়। সারাদিনের জন্য অ’ভিভাবককে হলে রাখার ক্ষেত্রে কখনােই কোন বিধিনিষেধ আরােপ করা হয়নি।
৫. হলের খাবার পানি শােধন আক্টোবরে হল খােলার আগেই পুনরায় ঠিক করা হয়। পানির সমস্যায় পানির নতুন পাম্প ও পাইপ লাইন পরিষ্কার করানাে হয়। তারপর ও হয়তাে তাদের অ’ভিযােগ রয়ে গেছে কিন্তু তা। আলােচনা করা যেত। ছা’ত্রীদের অ’ভিযােগ শােনার জন্য প্রতিদিন একজন হল প্রভােস্ট হল অফিসে নির্দিষ্ট সময় থাকেন এবং একটি অ’ভিযােগ খাতা রয়েছে। ৬. হলের পরিচ্ছন্নতা কর্মীর স্বল্পতা রয়েছে একথা সত্য। এ ব্যাপারে হল প্রশাসন জুনবল বাড়ানাের জন্য চাহিদা প্রেরন করেছে এবং বর্তমান জনবলকে কিভাবে সর্বোত্তম ব্যবহার করা যায় তার জন্য রােস্টার তৈরী করে দেয়া হয়েছে। আন্তরিকতা থাকা স্বত্বেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চাইলেই নতুন নিয়ােগ সম্ভব হয় না।
৭. ছা’ত্রীদের হলে প্রবেশের নির্ধারিত সময় ১০ টা। তবে ১১টার পর কেউ প্রবেশ করলে সেটা লেইট অ্যাটেনডেন্স হিসেবে গন্য করা হয়।কারাে যদি টিউশন বা উপযু’ক্ত কারন থাকে তারা লেইট পাস নিতে পারে এবং তাদেরকে জিজ্ঞেসাবাদও করা হয়না। বিশেষ কোন অনুষ্ঠান থাকলে বিভাগীয় প্রধান সংগঠনের প্রধানের সুপারিশপত্রসহ অনুমতি নিতে পারে। তারপরও কিছু ছা’ত্রী রাত সাড়ে ১টা, এমনকি ১ টার সময়ও হলে প্রবেশের চেষ্টা করে। তখন তাদের পরিচয় ও কারন লিখে এবং প্রভােস্ট কমিটির যেকোন একজন সহকারী প্রভােস্ট’কে ফোন করে অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। এসময় অনেক ছা’ত্রী মিথ্যা নাম, ওরুম নাম্বার লিখে,গ্যর্ড এর সাথে খা’রাপ ব্যবহার করে, এমনকি মাডাম’রা ফোন রিসিভ করেননি এসব বলে। অথচ কোন ম্যাডাম সেসময় কোন ফোনই পাননি। আম’রা মনে করি, কোন ছা’ত্রী রাত ১২ টার পর হলে আসলে নিজের নিরাপত্তার স্বার্থেই তার উচিৎ আমাদের আগে থেকেই অবগত করা। আর নিজ বাসায় রাত ১২টায় প্রবেশ করলেও আম’রা আমাদের বাবা মাকে কারন দশাই এক্ষেত্রে কি আম’রা তাদের অ’ভিভাবক নই?
৮. হলের অধীনস্থ ভাড়াকৃত ভবন সমূহ রাখার বিষয়ে করো’নাকালীন লকডাউনে সময় কয়েকবার মেয়েদের সাথে প্রভােস্টবডির অনলাইনে আলােচনা হয়। মেয়েরা ভাড়াকৃত সীট ব্রাখতে চাইলে তাদের সাথে আলােচনার প্রেক্ষিতে ১০৫০ টাকা করে সীট ভাড়া নির্ধারণ করা হয় এবং তা কিস্তিতে পরিশােধের বিষয়ে। মেয়েরা সম্মত হয়। যা প্রায় সব ছা’ত্রীরা ইতিমধ্যে পরিশোধ করেছে। ৯. করােনাকালীন সময়ে হল হলের ডাইনিং ও কেন্টিনের রান্নাঘরের সংস্কার ও বর্ধিতকরণ করা হয়। ১০. এই প্রভােস্ট কমিটিই প্রথম ছা’ত্রীদের জন্যে ওয়েল ফেয়ার ফান্ড গঠনের এর উদ্যোগ গ্রহণ করে। যা থেকে গরিব ছা’ত্রীদের সাহায্য, শিক্ষা লােন দেওয়া হবে। এমন কি প্রভােস্টবৃন্দ দেশ-বিদেশে তাদের নিজস্ব পরিচিতদের থেকেও এই ফান্ডের টাকা জোগাড় শুরু করেছিলেন। ১১. হলে ছা’ত্রীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এর কথা বিবেচনা করে ও জীবনমান উন্নয়নের জন্যে খেলাধুলা রুম, লন্ড্রি ও কম্পিউটার রুম এর ব্যাবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা এখন প্রক্রিয়াধীন। Freedom এবং ACI company এর সৌজন্যে হলে অ’তি শীঘ্রই vending mechine ও স্থাপন করা হবে। ১২. বর্তমান প্রভােস্ট কমিটি হলের সিট বন্টন সুষঠুভাবে সম্পাদনের জন্য প্রসেসটি ডিজিটালাইজেশন করে এবং নতুন সফটওয়্যারের ব্যবহার শুরু করেছে। ১৩. নিজেদের কাজের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এই প্রভােস্ট কমিটি হলের বিগত ৫ বছরের সমস্ত খরচের হিসাবের অডিটও করিয়েছে।
কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ দিন দিন আশ’ঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলেছে। ইতিমধ্যে ফজল কমপ্লেক্সের কয়েকজন ছা’ত্রীর রিপাের্ট কভিড পজেটিভ এসেছে, প্রভােস্ট কমিটি তাদেরকে দ্রুত হাসপাতা’লে নেবার ব্যবস্থা করেছে এবং তাদের রুম সেনিটাইজ করার জন্য পদক্ষেপ নেয়। আম’রী ছা’ত্রীদের পাশে, ছা’ত্রীদের জন্যে সবসময় ছিলাম এবং আছি। যদিও ছা’ত্রীরা প্রভােস্টদের রুমে তালা দিয়ে আমাদের পথ অব’রুদ্ধ করে রেখেছে, তার মধ্যেও গতকাল আম’রা আরাে একজন ছা’ত্রীকে হাসপাতা’লে ভর্তি করেছি। আম’রা মহামা’রির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি এমন কঠিন সময়ে জনসমাগম আমাদের সবার জন্যে ঝুঁ’কিপূর্ণ। এরমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন পরিস্থিতি ছাত্র-ছা’ত্রীদের শিক্ষাজীবনকে বাধাগ্রস্ত করছে। শাবিপ্রবির পরিবেশকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। অথচ আম’রা ছা’ত্রীদের বারবার অনুরােধ করা সত্ত্বেও তারা প্রভােস্টদের সাথে কথা বলে সমস্যার সমাধানে আগ্রহ প্রকাশ করছে না। আম’রা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নামমাত্র সম্মানীতে অ’তিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে এই পদে দায়িত্ব পালন করি।
বিগত ২ দিনে কিছুসংখ্যক ছা’ত্রীদের মিথ্যাচারমূলক পােস্ট, তাদের অ’পমানজনক কথার ভাষা ও আগ্রাসী ব্যবহার আমাদের ব্যথিত করেছে। শিক্ষক হিসেবে এটা আমাদের জন্য অ’ত্যন্ত অবমাননাকর। এ প্রভােস্ট বডি ছা’ত্রীদের সমস্যা শােনা ও তা সমাধানের জন্যই। আম’রা ও তা সবসময় আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করেছি। শিক্ষক ও অ’ভিভাবক হিসেবে আমাদের এতদিনের প্রচেষ্টার পর এমন পরিস্থিতি আমাদের কাছে কখনই কা’ম্য না।
আম’রা শুধুমাত্র প্রশাসনের অনুরােধে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলাম এবং প্রশাসনের সার্বিক সহযােগিতায় সততা ও নিষ্ঠার সাথে এই দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করে গেছি। নিয়মবহির্ভূতভাবে সুবিধা প্রদান করে কতিপয় শিক্ষার্থীর জন্য সকল সাধারন শিক্ষার্থীর অধিকার ক্ষুন্ন ও নিরাপত্তা হু’মকিতে ফেলা আম’রা কখনােই সম’র্থন করিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থে আম’রা যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত কারণ আম’রা প্রশাসনিক পদের জন্য নয় বরং দায়িত্ব পালনের জন্য এখানে ছিলাম। আম’রা জানি না কোন অশুভ শক্তির প্ররােচনায় আমাদের ছা’ত্রীরা এরূপ পথ বেছে নিয়েছে। তবে আম’রা সবাই যদি আরাে সহনশীল হই ও সহযােগিতামূলক আচরণ প্রদর্শন করি তবে আমাদের এই দু’র্যোগপূর্ণ সময় কে’টে যাবে। আবারাে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বান্ধব শাবিপ্রবির সুন্দর পরিবেশ ফিরে আসবে।’
Leave a Reply