cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
মা’ একটি ছোট্ট শব্দ। এই শব্দের মধ্যেই লুকিয়ে আছে পৃথিবীর সব মায়া, মমতা, অকৃত্রিম স্নেহ, আদর, নিঃস্বার্থ ভালোবাসার সব সুখের কথা। চাওয়া-পাওয়ার এই পৃথিবীতে বাবা-মায়ের ভালোবাসার সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা চলে না।
‘ছে’লে আমা’র মস্ত বড় মস্ত অফিসার, মস্ত ফ্লাটে যায় না দেখা এপার-ওপার’- বৃদ্ধাশ্রম শিরোনামে নচিকেতার এই জনপ্রিয় গানটি সত্যি প্রমাণিত হয়েছে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজে’লার ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা মোরশেদা খানম পিংকুলের জীবনে।
তার ছে’লে সুহাদ হোসেন খান (৩৫) অফিসার না হলেও মস্ত বড় হাউজিংয়ের ইলেকট্রিক ঠিকাদার।
ফার্মগেট এলাকার বিশাল ফ্ল্যাটে থাকেন তিনি। অথচ অন্ধ-পঙ্গু মায়ের স্থান হয়নি ওই ফ্ল্যাটে। এমনকি গত ৮ বছর ধরে বৃদ্ধা মায়ের কোনো খোঁজ-খবরও নেননি বলে অ’ভিযোগ রয়েছে সুহাদ হোসেন খানের বি’রুদ্ধে। এক সময়ে মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করা মোরশেদা খানম এখন অন্যের বাড়িতে টিন-পলিথিনের ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যমুনা বিধৌত চৌহালী উপজে’লার ঘোড়জান ইউনিয়নের চর জাজুরিয়া গ্রামের মৃ’ত মুন্না খানের বাড়ির আঙিনায় পলিথিন দিয়ে তৈরি ঘরে বাস করেন মোরশেদা খানম। যমুনার কড়াল গ্রাসে নিজের বাড়িঘর হারিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই এ বাড়িতে অবস্থান করছেন তিনি। চলতি মাসে শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় পলিথিন জড়ানো ঘরে তিনি চরম অ’সুস্থ হয়ে পড়লে এলাকাবাসী টাকা তুলে ৬টি টিন দিয়ে একটি ছাপড়া ঘর তুলে দেন। ঘরটির তিন দিকে বেড়া থাকলেও সামনের অংশে বেড়া ও দরজা নেই। ফলে সেখান দিয়ে হু হু করে ঠাণ্ডা বাতাস ঢোকে। তাই পলিথিন দিয়ে বাতাস ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বৃদ্ধার খাবার যোগাচ্ছেন অ’পর অসহায় বৃদ্ধা মৃ’ত মুনা খানের অভাবী স্ত্রী’ লাইলী খানম। তার দিনমজুর ছে’লের সংসারে ৫ সদস্য। নিজেদেরই ঠিকমতো দিন চলে না। অথচ এই অসহায় অন্ধ ও পঙ্গু বৃদ্ধা মোরশেদা খানমের দেখভাল তারাই করেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চৌহালীর খান পরিবারের মে’য়ে মোরশেদা খানম পিংকুলের বিয়ে হয় টাঙ্গাইল জে’লার নাগরপুর উপজে’লার মামুননগর ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামের আওলাদ হোসেনের সঙ্গে। যমুনা নদীর ভাঙনে বাড়িঘর জমিজমা বিলীন হয়ে গেলে চৌহালী উপজে’লার ঘোরজান ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চর জাজুরিয়া গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়িতে পরিবারসহ আশ্রয় নেন তারা। এরপর স্বামী ও বড় ছে’লের মৃ’ত্যুতে অসহায় হয়ে পড়েন। আনসার ভিডিপির চাকরি ও বিভিন্ন এনজিওর কাজ করে ছোট ছে’লে সুহাদ হোসেন খানকে মানুষ করেন তিনি। সুহাদ হোসেন কিছু লেখাপড়া করার পর কাজের সন্ধানে ঢাকায় পাড়ি জমান। সেখানে হাউজিং কোম্পনিতে ইলেকট্রিক কাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে টাকা-পয়সা জমিয়ে নিজেই হাউজিং ইলেকট্রিক ঠিকাদারের কাজ করেন। তিনি বিয়ে করে বর্তমানে ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় ফ্ল্যাট বাসায় স্ত্রী’ ও দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন। কিন্তু দীর্ঘ ৮ বছর ধরে মায়ের কোনো খোঁজ-খবর ও ভরণ-পোষণ করেন না সুহাদ। তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো কাজ হয়নি। তিনি পরিচয় ও বাসার ঠিকানা দেন না বলে প্রতিবেশীরা জানান।
মোরশেদা খানমের আশ্রয়দাতা লাইলী খানম, প্রতিবেশী রেহানা বানু ও মাসুদ খান বলেন, স্বামী-সন্তানের শোকে কাঁদতে কাঁদতে তিনি অন্ধ ও অ’সুস্থ হয়ে পড়েছেন। টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে না পেরে তার দুই পা পঙ্গু হয়ে গেছে। তিনি আর দাঁড়াতে পারেন না। সারাক্ষণ বিছানায় শুয়ে তার দিন কাটে। তার সেবা যত্ন করার কেউ নেই। বিনা চিকিৎসায় মৃ’ত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা ল’ড়ছেন তিনি।
Leave a Reply