cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
শিক্ষার্থীদের তীব্র আ’ন্দোলনে অশান্ত সিলেটের শাহ’জালাল বিজ্ঞান ও প্রযু’ক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। কিছুতেই শান্ত হচ্ছে না পরিস্থিতি। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা) বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফট’কটি বন্ধ করে ভেতরে অবস্থান করছে পু’লিশ। আর বাইরে শত শত শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে বি’ক্ষোভ প্রদর্শনের পাশাপাশি গেট খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন।
এর আগে রবিবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় অব’রুদ্ধ অবস্থা থেকে সিলেটের শাহ’জালাল বিজ্ঞান ও প্রযু’ক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে তালা ভেঙে উ’দ্ধার করে পু’লিশ। সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনের তালা ভেঙে পু’লিশি নিরাপত্তায় ভিসিকে বের করে আনা হয়। এ সময় বাধা দিলে আ’ন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর লা’ঠিচার্জ করে পু’লিশ। এসময় আইআইসিটি ভবনের সামনে অবস্থান নেয়া শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পু’লিশ লা’ঠিচার্জ করে। শিক্ষার্থীরাও ইট-পাট’কেল ছুড়তে শুরু করেন। একপর্যায়ে পু’লিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে কয়েকটি রাবার বুলেটও ছোড়া হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদ গু’লিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, পু’লিশ ও শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ অন্তত ৪০ জন আ’হত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে আ’হত অন্তত পাঁচজনকে হাসপাতা’লে নিতে দেখা গেছে।
জানা যায়, সন্ধ্যা সোয়া ৬টা নাগাদ পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়েন পু’লিশ সদস্যরা। বি’ক্ষোভকারীদের সরে গেলেও ক্যাম্পাসজুড়ে পরিস্থিতি থমথমে।
মহানগর পু’লিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ জানান, তিনিসহ পু’লিশের অন্তত ১০ জন আ’হত হয়েছেন। কোষাধ্যক্ষও আ’হত হন।
আ’ন্দোলনকারী কয়েকজন জানান, তাদের অন্তত ৩০ জন আ’হত হয়েছেন। অধ্যাপক জহিরের বিষয়ে উপকমিশনার বলেন, পু’লিশের গু’লিতে তিনি গু’লিবিদ্ধ হননি। ওই গু’লি কারা ছুড়েছে তা তিনি জানেন না। অধ্যাপককে মাউন্ড এডোরা হাসপাতা’লে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক নারী কনস্টেবলও গু’লিবিদ্ধ হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, আইআইসিটি ভবনে রোববার বেলা ৩টা ১০ মিনিটে অব’রুদ্ধ হন উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। ভবনের বাইরে অবস্থান নিয়ে প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবি আদায়ে স্লোগান দেন বেগম সিরাজুন্নেসা হলের ছা’ত্রীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন সহপাঠীরাও। বেলা ৩টার দিকে আ’ন্দোলরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক জহির উদ্দিন ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি তুলসী কুমা’র দাস। তারা দাবি পূরণের বিষয়ে সময় চাইলে ছা’ত্রীরা তা প্রত্যাখ্যান করেন।
এরপর নিজ কার্যালয় থেকে বের হয়ে বাসভবনের দিকে যাচ্ছিলেন উপাচার্য। সে সময় তার সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে যান ছা’ত্রীরা। এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে ঘেরাও করে স্লোগান দিতে থাকেন তারা। একপর্যায়ে ছা’ত্রীদের ধাওয়ায় উপাচার্য আইআইসিটি ভবনে গিয়ে অবস্থান নেন। বিকেল ৪টার দিকে সেখানে পু’লিশ সদস্যরা অবস্থান নিলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তে’জনা ছড়িয়ে পড়ে। তারা ‘ক্যাম্পাসে পু’লিশ কেন’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
এ ঘটনার পর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আনোয়ারুল ইস’লাম ও অন্য শিক্ষকরা গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করেন। উত্তে’জনা বাড়তে থাকলে পু’লিশ লা’ঠিচার্জ শুরু করে। এরপর শুরু হয় সং’ঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।
উল্লেখ্য, তিন দফা দাবি আদায়ে চতুর্থ দিনের মতো চলছে সিরাজুন্নেসা হলের ছা’ত্রীদের এ আ’ন্দোলন। শনিবার মধ্যরাতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে রোববার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফট’কের সামনে অবস্থান নেন তারা।
তাদের দাবির মধ্যে আছে সিরাজুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজা ও সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগ, অবিলম্বে হলের যাবতীয় অব্যবস্থাপনা দূর করে সুস্থ-স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং ছা’ত্রীবান্ধব ও দায়িত্বশীল প্রাধ্যক্ষ কমিটি নিয়োগ দেয়া।
উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে শুক্রবার দাবি মেনে নেয়ার জন্য শনিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন ছা’ত্রীরা। এরপর শনিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত অবধি চলে সড়ক অবরোধ ও বি’ক্ষোভ।
Leave a Reply