cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সিলেটের গোলাপগঞ্জের ফুলবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন নিয়ে সং’ঘর্ষের পর পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে এই ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম। সং’ঘর্ষের পর পু’লিশের দায়ের করা মা’মলায় গ্রে’প্তার এড়াতে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন পুরুষরা।
২৬ ডিসেম্বর ছিল গো’লাপগঞ্জ উপজে’লার ১০টি ইউপিতে নির্বাচন। চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচন চলাকালে বড় ধরনের কোন অ’প্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও নির্বাচনের পরবর্তী সহিং’সতায় উপজে’লার ফুলবাড়ি ইউনিয়নে প্রা’ণ হারান একজন বৃদ্ধ।
জানা যায়, বিকেল ৪টায় ইউপি নির্বাচনের ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যারাত ৮টার দিকে একটি মহল গুজব ছড়ায় যে ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের কেন্দ্রের ফলাফল জালয়াতি করা হচ্ছে।
এ খবর শুনে ফুলবাড়ি এলাকার চেয়ারম্যান প্রার্থী এম’রান হোসেনের সম’র্থকরা বৈটিকর বাজারে এসে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে। এতে সড়কের দু পাশে কয়েক শত গাড়ি আ’ট’কা পড়ে। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে পু’লিশ ঘটনাস্থলে এসে অবরোধকারীদের সরিয়ে দিতে চাইলে তাদের সাথে পু’লিশের সং’ঘর্ষ বাধে৷ তখন পু’লিশ অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ২৬৭ রাউন্ড শর্টগানের গু’লি ছুঁড়ে।
সং’ঘর্ষকালে লক্ষিপাশা ইউনিয়নের রামপা গ্রামের আবদুস সালাম গুরুতর আ’হত হন। পরে তাকে উ’দ্ধার করে ওসমানী হাসপাতা’লে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃ’ত ঘোষণা করেন। নি’হত সালামের বুক ও পেটসহ সারা শরীরে গু’লির চিহ্ন রয়েছে। তিনি বৈঠিকর গ্রামে অনেক দিন ধরে সাইকেল ও রিকশার মেকানিকের কাজ করতেন।
পু’লিশ জানায়, ফুলবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন এম’রান হোসেন। নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর পরই তিনি কর্মী সম’র্থকদের নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বি’ক্ষোভ শুরু করেন। খবর পেয়ে পু’লিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে তার নেতাকর্মীরা পু’লিশের ওপর হা’মলা চালায়। তখন পু’লিশ তাদের ২৬৭ রাউন্ড শর্টগানের গু’লি ছুঁড়ে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এসময় ঘটনাস্থলে আব্দুস সালাম নামের একজন গুরুতর আ’হত হন। তাকে উ’দ্ধার করে ওসমানী হাসপাতা’লে পাঠানো হলে চিকিৎসকরা মৃ’ত ঘোষণা করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পু’লিশের বেশ কয়েকজন পু’লিশ সদস্য আ’হত হয়েছেন।
এ ঘটনায় সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ৩০ জনের নাম উল্লেখ ও অ’জ্ঞাতনামা প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ জনের নামে অ’জ্ঞাতনামা বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মা’মলা করেছে পু’লিশ। গো’লাপগঞ্জ থা’নায় করা এই মা’মলার কারণেই গ্রে’প্তার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি পশ্চিম পাড়া, উত্তর পাড়া, দক্ষিণ পাড়া, টিকরপাড়া, বারই পাড়া সহ বৈঠিকর বাজারের আশপাশের কয়েকটি গ্রামের পুরুষেরা। এতে করে কয়েকটি গ্রাম প্রায় পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে।
মা’মলা হওয়ার পর ফুলবাড়ি ইউনিয়নের এসব গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, এলাকায় থমথমে নিস্তব্ধ পরিবেশ। অ’পরিচিত মানুষ দেখলেই ভ’য়ে সরে যেতে চাইছেন সবাই। গ্রাম ঘুরে কিছু ষাটোর্ধ বৃদ্ধ ছাড়া আর কোনো পুরুষ মানুষের দেখা পাওয়া যায়নি। যে বৈঠিকর বাজারটি ক্রেতা বিক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠতো সেই বাজারের সবকটি দোকানপাটে ঝুলছে তালা।
গ্রামের বেশ কয়েকজন নারীর সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তারা মুখ খুলতে ভ’য় পাচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফুবাড়ি পশ্চিম পাড়া গ্রামের এক নারী জানান, আমা’র পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস হচ্ছেন আমা’র স্বামী। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর। পু’লিশের গ্রে’প্তারের ভ’য়ে দুই দিন ধরে তিনি বাড়ি ছাড়া। তিন ছে’লে মে’য়েকে নিয়ে আমি বড়ই ক’ষ্টে আছি। কাউকে কিছু বলতেও পারছি না। পুরো গ্রাম পুরুষ শূন্য হয়ে গেছে।
ফুলবাড়ি টিকর পাড়া গ্রামের আরেক নারী জানান, আম’রা নারীরাও খুব ভ’য় পাচ্ছি। আম’রাও নিজেদের নিয়ে শ’ঙ্কায় আছি। তবে বাড়ি ভিটার মায়ায় যেতে পারছি না।
গো’লাপগঞ্জ মডেল থা’নার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্ম’দ হারুনূর রশীদ চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় আম’রা ৪জনকে গ্রে’প্তার করেছি। অন্য আসামীদের ধরতে পু’লিশের অ’ভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply