cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ইতালিতে প্রায় দুই লাখ প্রবাসী বাংলাদেশির বসবাস। অর্থনৈতিক রিপোর্টে বাংলাদেশিরা কেবল চাইনিজদের পরেই শক্তিশালী বিদেশি ইতালিতে। কিন্তু নাগরিকত্ব গ্রহণে পিছিয়ে অনেক দেশের
দেশটিতে অর্থনৈতিক ও ব্যবসা বাণিজ্যে এগিয়ে থাকলেও বাংলাদেশিরা ইতালীয় পাসপোর্ট বা নাগরিকত্ব গ্রহণে অন্যসব প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের নাগরিকদের তুলনায় বেশ পিছিয়ে রয়েছে।
অথচ বিশ্ব র্যাংকিংয়ে ইতালির পাসপোর্টের অবস্থান ৩ নাম্বারে। দেশটির লাল পাসপোর্ট দিয়ে বিনা ভিসায় ১৮৯ টি দেশ ভ্রমণ করা যায়। সেই সঙ্গে ইইউর সবকটি দেশে ওইসব দেশের নাগরিকদের মতো পূর্ণ সমঅধিকার নিয়ে কাজকর্ম ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপনও করা যায়।
ইতালির নাগরিকত্ব আইনে তিনটি শ্রেণী বিদ্যমান।
বিয়ের মাধ্যমে নাগরিকত্ব, ইতালীয় পূর্ব-পুরুষদের তালিকার মাধ্যমে নাগরিকত্ব এবং দশ বছর টানা রেসিডেন্সের মাধ্যমে নাগরিকত্ব।
কোনো প্রবাসী প্রাপ্তবয়স্ক ছে’লে কিংবা মেয়ে ইতালিয়ান কোনো নাগরিককে বিয়ে করার দু’বছরের মধ্যে ইতালির নাগরিকত্ব লাভ করতে পারেন।
ইতালিয়ান অনেক নাগরিক প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযু’দ্ধের পর বিশ্বের অনেক দেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন। বিশেষ করে দক্ষিণ আ’মেরিকায়। তাদের বংশধরদের যে কেউ পারিবারিক প্রমাণসহ আবেদন জমা করে ইতালির নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে পারেন।
তৃতীয় পদ্ধতিটি বাংলাদেশিসহ এশিয়ান, আফ্রিকান এবং পূর্ব ইউরোপের নাগরিকদের জন্য ইতালির নাগরিকত্ব লাভের সবচেয়ে প্রচলিত উপায়। এই পদ্ধতিটি কিছুটা জটিল ও সময় সা’পেক্ষ। ইতালিতে বৈধভাবে বসবাস করে একটি নির্দিষ্ট বাসার ঠিকানাসহ, ইতালির যে কোনো কাউন্সিল অফিসের আওতায় টানা ১০ বছর বসবাস করার পর আবেদন জমা করতে পারবেন।
ইতালি কিংবা জন্মভূমিতে যদি কেউ ফৌজদারি মা’মলায় দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে তাকে ইতালির নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। আবেদন জমা করার পর ২ থেকে ৪ বছর পর্যন্ত অ’পেক্ষা করতে হয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার জন্য। আশার কথা হলো, এই পর্যায়ে সফলতার হার প্রায় ৯৪ শতাংশ। গড়ে শতকরা ৬ ভাগ আবেদন বাতিল হয়েছে গত কয়েক বছর ধরে। এর মধ্যে অনেক বাংলাদেশিও রয়েছে বলে জানা যায়।
ইতালিতে অধিকাংশ মানুষ বিভিন্ন চাকরিতে নিয়োজিত থাকলেও প্রায় ৩০ হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক বাংলাদেশিরা। ছোট – খাটো ব্যবসা, গ্রোসারি সপ, রেস্টুরেন্টে, হোটেল, কৃষি এবং জাহাজ নির্মাণ শিল্পেও ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিদের শক্ত অর্থনৈতিক অবস্থান রয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিরা সবচেয়ে পিছিয়ে ইতালির নাগরিকত্ব বা পাসপোর্ট গ্রহণের ক্ষেত্রে।
এ এক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের চেয়ে অনেক এগিয়ে ম’রক্কো, আলবানিয়া, তিউনিসিয়া, ব্রাজিল, ফিলিপাইন, ভা’রত ও পা’কিস্তানসহ আরও অনেক দেশের নাগরিক। নিজেদের সামান্য সতর্কতা অবলম্বন ও পরিকল্পনাই সহ’জে ইতালির পাসপোর্ট পেতে পারেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা! এর মধ্যে অন্যতম হলো রেসিডেন্স টানা ১০ বছর পূর্ণ করা এবং আবেদন পত্র জমাদানের পূর্বের টানা ৩ বছরের বাৎসরিক আয় নাগরিকত্ব আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কিছু বেশি হলে ভালো কিন্তু কম হলে হবে না। কোনো ফৌজদারি মা’মলায় জড়ানো যাবে না।
করো’না মহামা’রির পূর্বে ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ইতালির নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৭২০ বিদেশি নাগরিক। ২০২০ ও ২০২১ সালের নাগরিকত্ব নিষ্পত্তির সংখ্যা মোট আবেদনের মাত্র ৬৭ শতাংশ। তবে ২০২০ সালে প্রায় এক লাখ ৩১ হাজার আবেদন চূড়ান্তভাবে সফল হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যদিও সবাই এখনও পাসপোর্ট হাতে পাননি বা শপথ গ্রহণ করেননি! এত বিলম্ব হবার কারণ করো’না পরিস্থিতিতে অফিসিয়াল কাজের ধীরগতি।
সবশেষ ২০১৯ সালের চূড়ান্ত নিষ্পত্তিকৃত আবেদনকারীদের প্রায় ৯৪ শতাংশ ইতালির নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। সর্বাধিক ২৬ হাজার ৩৩ আলবেনিয়ান ও ১৫ হাজার ৮১২ ম’রোক্কান, দশহাজারের অধিক করে ব্রাজিলিয়ানও রোমানিয়ান, মেসিডোনিয়ান প্রায় ৫ হাজার, তালিকায় ৬ষ্ঠ স্থানে ভা’রতীয়দের সংখ্যা ৪ হাজার ৬৮৩ জন এবং তালিকায় দশম পা’কিস্তানীদের সংখ্যা ২ হাজার ৭২২ জন কিন্তু বাংলাদেশিদের নাগরিকত্ব গ্রহণ সংখ্যা ২ হাজার ২১১ জন। যা ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংখ্যা ও অর্থনৈতিক গুরুত্বের সঙ্গে বেমানান ও কম।
ইতালিতে প্রায় ৫৩ লাখ বিদেশি বসবাস করে। তারমধ্যে প্রায় ১৩ লাখ ইতালির নাগরিকত্বসহ পাসপোর্ট বহন করেন। দেশটিতে সব মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজারের মতো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইতালির নাগরিক রয়েছেন, যাদের অধিকাংশই আবার যু’ক্তরাজ্যসহ ইইউর অন্যদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।
ইতালির পাসপোর্ট থাকলে ইইউর সব দেশে ওইসব দেশের নাগরিকদের সঙ্গে সমঅধিকার নিয়ে কাজকর্ম ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সুযোগ পাওয়া যায়। দেশটিতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলতে প্রয়োজন অধিক সংখ্যক বাংলাদেশির ইতালির নাগরিকত্ব ও লাল পাসপোর্ট গ্রহণ করা। এতে প্রাচীন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির দেশ ইতালিতে বাংলাদেশিদের অবস্থা আরও শক্তিশালী হবে
Leave a Reply