cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
স্যুট-টাই পরে হাতে ব্যাগ নিয়ে সকালে বাসা থেকে বের হন। উদ্দেশ্য রাজধানীর করপোরেট অফিস পাড়া। সবাই জানেন, এই ব্যক্তি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি করেন।
তাই সকালে ফিটফাট হয়ে অফিসে যান। সত্যিই তিনি অফিসে যান, তবে কাজ করতে নয়, ল্যাপটপ চু’রি করতে। সকাল সকাল অফিসে গিয়ে ল্যাপটপ চু’রি করাই তার নে’শা।
তবে শেষ রক্ষা হয়নি তার। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পু’লিশের হাতে ধ’রা পড়েছেন। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) হারুন অর রশীদ নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রে’প্তার করে ডিবি।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পু’লিশের গুলশান বিভাগের উপপু’লিশ কমিশনার মশিউর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এই ব্যক্তির বি’রুদ্ধে ডজন খানেক ল্যাপটপ চু’রির অ’ভিযোগ আম’রা পেয়েছি।
তিনি অসংখ্য অফিসে প্রবেশ করেন, ল্যাপটপ চু’রি করে কম দামে বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করেন। চু’রির একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজও উ’দ্ধার করা হয়েছে।’
যা দেখা যায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজে
গত বছরের ৫ জানুয়ারি, সকাল ৮টা ২২ মিনিট। হাতে ব্যাগসহ এই ব্যক্তিকে রাজধানীর গুলশানের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিসে প্রবেশ করতে দেখা যায়। তিনি লিফট থেকে নেমে পায়ে হেঁটে বিভিন্ন ফ্লোরে অফিসের দরজা খুলে খুলে উকি দিচ্ছেন। হঠাৎ একটি দেরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। ৫ মিনিট পর বের হয়ে আসেন। তার ব্যাগটি এবার ভা’রি। পরে জানা যায়, ওই অফিস থেকে ল্যাপটপ চু’রি হয়েছে। তারা পরে থা’নায় অ’ভিযোগ করেন।
গুলশান ও বনানীতে এমন অসংখ্য ল্যাপটপ চু’রির ঘটনা ত’দন্তে করতে গিয়ে ডিবি পু’লিশ এই ব্যক্তির সম্পৃক্ততা পায়।
অফিস খোলার সময়টা টার্গেট করেন হারুন
সকালে করপোরেট অফিসগুলো খোলার শুরুর সময়টা টার্গেট করেন হারুন। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে বিভিন্ন অফিসে প্রবেশ করেন। এ সময় অফিস স্টাফরা অফিস পরিষ্কার করার কাজে ব্যস্ত থাকেন। সেই ফাঁকে তিনি অফিসে ঢুকে ল্যাপটপ নিয়ে বের হয়ে চলে আসেন। তার হাতে সবসময় ব্যাগ থাকে। নিজেও অনেক পরিপাটি হয়ে অফিসগুলোতে যান বলে কেউ তাকে স’ন্দেহ করেন না। তিনি সুযোগ বুঝে ফাঁকা ডেস্ক থেকে ল্যাপটপ নিয়ে চলে আসেন।
অফিসিয়াল ড্রেসে ঘুরে বেড়াতেন
হারুণ কখনও স্যুট-প্যান্ট আবার কখনও পাজামা-পাঞ্জাবি পরে ভদ্র বেশে অফিসে অফিসে ঘুরে বেড়ান। দাঁড়ি টুপি পরা এমন মানুষকে কখনও কেউ স’ন্দেহ করতেন না। সেই সুযোগটাই নিয়েছেন তিনি।
দুই বছর ধরে ল্যাপটপ চু’রি করেন তিনি
গত দুই বছর ধরে করপোরেট অফিস থেকে ল্যাপটপ চু’রির কাজ করে যাচ্ছেন হারুন অর রশীদ। এ সময়ের মধ্যে তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে কয়েকশ’ ল্যাপটপ চু’রি করেছেন। চু’রি করা ল্যাপটপ তিনি বিক্রি করেন মিরপুরের শাহ আলী মা’র্কে’টের এক দোকানদার মাসুমের কাছে। তাকেও গ্রে’প্তার করেছে ডিবি।
উপপু’লিশ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, ‘ল্যাপটপ চু’রির অ’ভিযোগ পাওয়ার পর আম’রা ত’দন্ত শুরু করি। তবে ল্যাপটপ চু’রি হলে এটা উ’দ্ধার করা কিছুটা কঠিন। কারণ ল্যাপটপের অবস্থান ও ব্যবহারকারী শনাক্ত করা টাফ। তবে আম’রা প্রতিটি ঘটনা ত’দন্তে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি, তাই তাকে গ্রে’প্তার করতে পেরেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দামি ল্যাটপট একদিন একটা চু’রি করলেই তার ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা আয় হয়ে যেত। ৪০-৫০ হাজার টাকার ল্যাপটপ তিনি ১০-১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতেন।
হারুনের বি’রুদ্ধে ল্যাপটপ চু’রি সংক্রান্ত ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন থা’নায় এক ডজনেরও বেশি মা’মলা রয়েছে; যা পু’লিশ ত’দন্ত করছে।
Leave a Reply