cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
স্বামী-সন্তানসহ এক নারী ঘুরতে গিয়েছিলেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। সেখান থেকে তার স্বামীকে জি’ম্মি করে তুলে নিয়ে দুই দফায় গণধ’র্ষণ করা হয়েছে বলে অ’ভিযোগ উঠেছে। অথচ সৈকতেই পর্যট’কদের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে ট্যুরিস্ট পু’লিশ।
কক্সবাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে ট্যুরিস্ট পু’লিশের ক্যাম্পও রয়েছে। তারপরও সৈকত থেকে কী’ভাবে স্বামীর কাছ থেকে একজন নারী পর্যট’ককে তুলে নিয়ে দুই দফায় গণধ’র্ষণের ঘটনা ঘটল- এ প্রশ্ন থেকেই যায়। তাহলে ট্যুরিস্ট পু’লিশের কাজটা কী’? তারা কী’ করে?
জানা গেছে, বুধবার কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধ’র্ষণের শিকার হন ওই নারী পর্যট’ক। সংঘবদ্ধ ধ’র্ষকচক্র ইচ্ছে করে ওই নারীর স্বামীর সঙ্গে প্রথমে ঝগড়া বাধায়। পরে পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার আট মাসের সন্তান ও স্বামীকে আলাদা করে ওই নারীকে তুলে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী নারীর ভাষ্য, সন্তান নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বুধবার সকালে তারা কক্সবাজার পৌঁছান। এরপর শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলের কক্ষ ভাড়া নেন। বিকালে তারা সৈকতের লাবনী পয়েন্টে যান।
ধ’র্ষণের শিকার ওই নারী রেবকে জানান, ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে ২২ ডিসেম্বর সকালে শি’শু সন্তান নিয়ে স্বামীর সঙ্গে কক্সবাজারে যান পৌঁছান ওই নারী। সন্ধ্যায় সমুদ্র সৈকত থেকে উঠে আসার সময় ভিড়ের মাঝে কয়েকজন যুবকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে তার স্বামীর।
পরে তাদের কাছে ক্ষমা চান ওই নারীর স্বামী। কিন্তু কৌশলে স্বামী-স্ত্রী’র সঙ্গে ঝগড়া বাধায় ওই যুবকরা। পরে ধাক্কাধাক্কি করে ওই নারীর কাছ থেকে স্বামী-সন্তানকে আলাদা করে ফেলে তারা।
একপর্যায়ে ছু’রি দেখিয়ে এবং স্বামীকে হ’ত্যা করার ভ’য় দেখিয়ে ওই নারীকে সিএনজি করে শহরের নির্জন স্থানে নিয়ে যায় ওই যুবকরা। সেখানে তিনজন মিলে তাকে ধ’র্ষণ করে।
এরপর দ্বিতীয় দফায় কক্সবাজারের জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে নিয়ে ইয়াবা সেবনের পর আরেক দফা তাকে ধ’র্ষণ করে ওই তিন যুবক।
এ ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হ’ত্যা করা হবে জানিয়ে হোটেলের কক্ষ বাইরে থেকে বন্ধ করে চলে যায় ধ’র্ষকরা। পরে জিয়া গেস্ট ইনের তৃতীয় তলার জানালা দিয়ে ডেকে এক যুবকের সহায়তায় কক্ষের দরজা খোলেন ওই নারী। পরবর্তীতে ফোন দেন ৯৯৯-এ।
এদিকে ৯৯৯-এর পক্ষ থেকে কক্সবাজার পু’লিশের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্মক’র্তা ওই নারীকে সহায়তায় এগিয়ে যাননি বলে অ’ভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী নারী অ’ভিযোগ করে বলেন, ৯৯৯-এ ফোন করার পর আমাকে ফোন দেন কক্সবাজার সদর মডেল থা’নার এক কর্মক’র্তা। তাকে নাম-পরিচয় না বললেও পুরো বিষয়টি জানাই। কিন্তু তিনি আমা’র কাছে না এসে উল্টো থা’নায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পরাম’র্শ দেন।
এরপর রেবকে ফোন করে জানালে র্যা-১৫ এর একটি টিম এসে তাকে উ’দ্ধার করে। পরে তার স্বামী ও সন্তানকে উ’দ্ধার করা হয় পর্যটন গলফ মাঠ এলাকা থেকে।
এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে কক্সবাজার সদর মডেল থা’নায় ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বাদী হয়ে ধ’র্ষণের অ’ভিযোগে মা’মলা করেছেন। মা’মলায় ৭ ব্যক্তিকে আ’সামি করা হয়েছে।
কক্সবাজারে নারী পর্যট’ককে তুলে নিয়ে ধ’র্ষণের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তিনজনকে শনাক্তের কথা জানিয়েছে রেব-১৫। এ ছাড়া রিয়াজ উদ্দিন ছোটন (৩৩) নামে এক হোটেল ম্যানেজারকে আ’ট’ক করা হয়েছে।
শনাক্তরা হলেন- কক্সবাজার শহরের মধ্যম বাহারছড়া এলাকার মৃ’ত আবদুল করিমের ছে’লে আশিকুল ইস’লাম (২৩) ও মোহাম্ম’দ শফিক ওরফে গুন্ডা শফির ছে’লে ইস’রাফিল হুদা জয়।তবে অন্যজনের পরিচয় জানাতে পারেনি রেব। তবে অন্যজন আবুল কাসেমের ছে’লে মেহেদী হাসান বাবু ওরফে গুন্ডায়া বাবু বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
কক্সবাজার রেব-১৫ এর সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান জানান, ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে স্বামী-সন্তান ও গৃহবধূকে উ’দ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জ’ড়িত তিনজনকেই শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের ধরতে অ’ভিযান চলছে।
একই সঙ্গে এ ঘটনার সঙ্গে জ’ড়িত ও মা’মলার আ’সামি হোটেল ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে আ’ট’ক করা হয়েছে। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কক্সবাজার সদর থা’নার মাধ্যমে মা’মলার ত’দন্তকারী কর্মক’র্তার কাছে সোপর্দ করা হবে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতা’লের আবাসিক চিকিৎসা কর্মক’র্তা (আরএমও) শাহীন মো. আবদুর রহমান চৌধুরী বলেন, ওই নারীকে ওসিসিতে রাখা হয়েছে। তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। হাসপাতা’লে তাকে দুই থেকে তিন দিন রাখা হতে পারে।
কক্সবাজার সদর মডেল থা’নার পরিদর্শক (ত’দন্ত) বিপুল চন্দ্র দে জানান, ধ’র্ষণের শিকার গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অ’জ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনের বি’রুদ্ধে থা’নায় মা’মলা দায়ের করেছেন। মা’মলা’টির ত’দন্তভা’র দেওয়া হয়েছে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পু’লিশকে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পু’লিশের অ’তিরিক্ত পু’লিশ সুপার মুহাম্ম’দ মহিউদ্দিন আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, যে স্থান থেকে অ’পহ’রণের কথা উঠেছে ওই স্থান থেকে অ’পহ’রণ কোনোভাবেই সহ’জ নয়। কারণ ওখানে সর্বদাই ট্যুরিস্ট পু’লিশের টহল জো’রদার থাকে। সুতরাং সবকিছু মিলিয়ে এই ঘটনায় র’হস্যের শেষ নেই। তবে আশা করা যাচ্ছে, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আসল ঘটনা উৎঘাটন হবে।
Leave a Reply