cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
শহরের একঘেয়ে জীবনের ক্লান্তি জুড়াতে প্রকৃতির সান্নিধ্য যাদের পছন্দ, তাদের জন্য ঘুরে বেড়ানোর আদর্শ স্থান হতে পারে সিলেট শহরতলীর খাদিমনগর জাতীয় উদ্যান। রিজার্ভ ফরেস্ট হিসেবেই বেশি পরিচিতি এই ঘন বনের।
উদ্যানের নানা প্রজাতির উদ্ভিদ আর পাখপাখালির কিচিরমিচিরে ডুব দেয়ার পর আপনার মনে হতে পারে, হাতের নাগালে এমন একটা স্বর্গীয় উদ্যান থাকলে আর চিন্তা কি? যখন তখন সদলবলে ঘুরে আসা যাবে শহরতলীর এই সবুজ মায়াময় ভ‚বনে।
বিভিন্ন ধরনের বাঁশ, বেত, ঢাকিজাম, চাপালিশ, কমলা, কা’মিনি, কাঁঠালসহ প্রায় ২১৭ প্রজাতির উদ্ভিদ এবং গাছপালা দেখতে দেখতে আপনি এগুতে থাকুন সামনে। সবুজের মাঝে হারিয়ে যেতে হলে আপনাকে ঢুকতে হবে উদ্যানের আরও ভেতরে।
এজন্য আপনাকে ব্যবহার করতে হবে নির্ধারিত ওয়াকিং ট্রেইল। পায়ে হেঁটে টিলার উপরে ওঠা ও এখানকার জীববৈচিত্র দেখার জন্য রয়েছে দুটি ট্রেইল। একটি ৪৫ মিনিটের, অ’পরটি ২ ঘন্টার। ওয়াকিং ট্রেইল দিয়ে হাঁটা শুরু করতে গিয়ে আপনার গা শিউরে ওঠতে পারে। ঘন সবুজ বনের ভেতর মাত্র এক-দেড় হাত প্রশ্বস্ত আঁকা-বাঁকা রাস্তা।
তাও আবার অমসৃণ। রাস্তায় মাঝে মধ্যে চোখে পড়বে স্বচ্ছ পানির ছড়া। টিলার উপর উঠতে উঠতে আপনি যখন পরিশ্রান্ত, তখন এই ছড়ার শীতল পানিতে পা ভিজিয়ে সঞ্চয় করে নিতে পারেন নতুন শক্তি। ওয়াকিং ট্রেইল দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ডানে বাঁয়ে দেখবেন নাম না জানা আরও নানা ধরণের উদ্ভিদ আর বৃক্ষলতা।
উঁচুনিচু সরু পথ দিয়ে চলতে হবে। পা ফেলতে হবে সতর্ক হয়ে। কারণ, এই উদ্যানে বিভিন্ন ধরনের সা’প আছে- আছে অজগরও। বনের গভীরে প্রবেশে ইচ্ছুকরা সঙ্গে রাখু’ন পানি এবং হাল্কা খাবার। হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্তি জুড়াতে আপনার জন্য আছে বনবিভাগের সৌজন্যে আসন পাতা। এগুলোতে বসে বিশ্রাম নিতে পারেন অনায়াসে।
এই উদ্যানে ৮৩ প্রজাতীর প্রা’ণীর বাস। আছে দোয়েল, ময়না, শ্যামা, কাক, কোকিল, টিয়া, কাঠ ঠোকরা, মাছরাঙ্গা, চিল, ঘুঘু, বক, টুনটুনি, চড়ুই, বুলবুলি, বনমোরগ, মথুরা, শালিক ইত্যাদি পাখির সাথে আছে বানর, হনুমান, শিয়াল, বনবিড়াল, বেজি, কাঠবিড়াল, ইঁদুর, খরগোশ, মেছো বাঘ। সা’পের মধ্যে আছে অজগর, দারাইশ, উলুবুড়া, চন্দ বুড়াসহ আরও নানা বিষধর সা’প।
বনের গভীরে বো’মাঘর নামে একটি ঘর আছে। ইটের তৈরি ঘরটি অনেক পুরানো, দেখেই বুঝা যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযু’দ্ধের সময় এই ঘরটি বানিয়েছিল ব্রিটিশ সে’নাবাহিনী।
তারা এখানে বো’মাসহ অ’স্ত্র ও গো’লাবারুদ রাখতেন। আর তাই আজো ঘরটি বো’মাঘর হিসাবে পরিচিত। বর্তমানেও এখানে মাঝে মাঝে বাংলাদেশ সে’নাবাহিনীর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালানো হয়।
খাদিমনগর জাতীয় উদ্যানে হাইকিংয়ের সুযোগ সুবিধা এবং পর্যট’কদের রাত যাপনের ব্যবস্থাও আছে। এ প্রসঙ্গে বনবিভাগ সিলেট রেঞ্জের সহকারি বন কর্মক’র্তা শাহীন আহম’দ বলেন, এখানে দেখার মতো অনেক কিছুই আছে।
যারা প্রকৃতির সান্নিধ্য উপভোগ করতে চান, তাদের জন্য এ উদ্যান আদর্শ স্থান। তাছাড়া এখানে হাইকিংয়ের সুযোগ আছে, আছে থাকার জন্য কটেজ। স্থানীয়দের আচার আচরণও খুব অমায়িক। তারা দারুন সহযোগীতাপরায়ন।
এই করো’নাকালে দেশের অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রের মতো দীর্ঘদিন খাদিমনগর জাতীয় উদ্যানেও পর্যট’ক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। সম্প্রতি সেই নিষেধাজ্ঞা উঠলেও পর্যট’কদের মনের ভীতি এখনো সম্পূর্ণ দূর হয়নি।
আর তাই আগের মতো জমজমাট নয় এই উদ্যান। তবে তারা আস্তে আস্তে আসতে শুরু করেছেন। যারা আসছেন তারা রীতিমতো মুগ্ধ।
যেমন ব্রাম্মনবাড়িায়া থেকে আসা তিন বন্ধুর কথাই ধরুন। তারা এই উদ্যানের সংবাদ জেনেছেন গণমাধ্যমের সুবাদে। এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে একসাথে তারা ৯ বন্ধু ছুটে এসেছেন সিলেটে। খাদিমনগর জাতীয় উদ্যান দর্শনের পর তারা রীতিমতো আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।
এই উদ্যানে সপরিবারে যারা বেড়াতে আসেন তারা সাধারনত গভীর বনে প্রবেশের পরিবর্তে বন বিভাগের অফিস সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করেন। এখানে পিকনিক স্পট আছে, আছে নিরাপদে ঘোরাফেরার মত জায়গাও।
পাহাড়ের পাদদেশে ব্যাঙের ছাতার মতো একটি বসার আসনও আছে যা পর্যট’কদের মনোযোগ আকর্ষণ করে। এম’দাদুল হক মিয়াজী একজন কাষ্টমস কর্মক’র্তা।
তিনি তার স্ত্রী’ সন্তানসহ পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে ঘুরতে এসেছেন খাদিমনগর জাতীয় উদ্যানে। তিনি যেমন মুগ্ধ, তেমনি মুগ্ধ তার দুই মে’য়ে এবং স্ত্রী’ও।
শুনশান নীরব এই বনভূমিতে কিছুটা সময় কা’টানোর পর তাদের আবেগ অনুভূতির কথা তুলে ধরলেন দর্শকদের উদ্দেশ্যে, সাথে কিছু পরাম’র্শও।মিয়াজী বলেন, অসম্ভব সুন্দর একটা জায়গা। আমি সপরিবারে এসেছি। আবারও আসব। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের দিকে সরকারকে মনোযোগী হতে হবে। একই বক্তব্য তার দুই মে’য়ে এবং স্ত্রী’র।
বনবিভাগের কটেজ ছাড়াও এখানে ১০টি তাবুও আছে নীশি যাপনে ইচ্ছুক পর্যট’কদের জন্য। প্রতিটি তাবুতে দু’জন করে ২০ জন থাকার ব্যবস্থা আছে বলে জানালেন বনকর্মক’র্তা শাহীন।
২০০৬ সালে সরকারিভাবে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয় খাদিমনগরের এই বনভূমিকে। এরপর এখানে পর্যট’কদের জন্য কিছু সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। আরও সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির প্রস্তুতি আছে।
এই উদ্যানে প্রবেশের দুটি পথ। একটি খাদিমনগর চৌমুহনী দিয়ে, আর অ’পরটি সাহেববাজার হয়ে। দুটি পথেই আপনি পাবেন চা বাগানের অ’পার সৌন্দর্য, চা শ্রমিকদের ঘরবাড়িগুলো হাতে আঁকা সুন্দর একেকটা ছবির মতো। উদ্যান দেখার পাশাপাশি চা বাগানের সৌন্দর্য দর্শন, মানে একঢিলে দুই পাখি মে’রে আসবেন আপনি অনায়াসে।
সিলেট তামাবিল সড়ক ধরে ৮-৯ কিলোমিটার এগুলেই খাদিমনগর চৌমুহনী। এবার হাতের বাঁয়ের সরু পথ ধরে যেতে যেতে আপনি দেখতে পাবেন বুরজান চা বাগানের কারখানা, চা শ্রমিকদের মন্দির ও রাস্তার দু’ধারে চা শ্রমিকদের ঘরবাড়ি।
আরও খানিকটা এগুলে পাবেন তিন রাস্তার মোড়। বাঁয়ের কাঁচা রাস্তাটি এড়িয়ে চলুন ডান দিকের পিচঢালা রাস্তা দিয়ে। আরও কিছুদূর এগুলেই আপনি প্রবেশ করবেন বুরজান চা বাগান এলাকায়। এই রাস্তা দিয়ে এগুলে আরেকটা তিনরাস্তার সংযোগ স্থল পাবেন।
এখানে খাদিমনগর উদ্যানে যাওয়ার সংকেত পাবেন বনবিভাগের একটি সাইনবোর্ডে। বাঁয়ের রাস্তা ধরে এগিয়ে যান আরও তিন কিলোমিটার। তারপর আপনাকে স্বাগত জানাবে বনবিভাগের কিছু সাইনবোর্ড আর টিকিট কাউন্টারের কর্মক’র্তারা।
টিকিট কাটুন এবং প্রবেশ পথের বাঁয়ে দেখবেন তিনটি কালি মুর্তি। গভীর অরণ্যে চ’মৎকার এই মুর্তিগুলো আপনার ভ্রমন আনন্দে যোগ করবে ভিন্ন মাত্রা। আর আপনি সনাতন ধ’র্মাবলম্বী হলে মানসিক প্রশান্তির দারুন একটা উপলক্ষ্য দিবে এই কালিমুর্তি।
খাদিমনগর জাতীয় উদ্যানে যেতে পারেন আপনি সিলেট মহানগরীর আম্বরখানা থেকে বিমানবন্দর সড়ক হয়ে। ধোপাগুল পয়েন্ট থেকে হাতের ডানের সাহেববাজার মুখী রাস্তা ধরে এগুতে থাকুন। সাহেববাজারের চৌরাস্তায় পৌঁছে ডান দিকের সরু পীচঢালা পথ দিয়ে যেতে যেতে একসময় আপনি পৌঁছে যাবেন বুরজান চা বাগান এলাকায়। বাগানের ইটের সুরকি বিছানো পথ দিয়ে আপনাকে এগুতে হবে।
এরপর আঁকাবাঁকা কাঁচা রাস্তা এবং আবারও পীচঢালা পথে এগুতে থাকুন। রাস্তার দু’ধারে চা বাগানের সবুজ গালিচা আপনার ভ্রমন আনন্দকে বাড়িয়ে দেবে কয়েকগুণ। এরপর পাবেন আবার একটা পীচঢালা পথ। এই পথের ডান দিকে ছুটতে থাকুন।
চা শ্রমিকদের পরিচ্ছন্ন ঘরবাড়ি, ছোটোখাটো বাজার, দোকানপাট ইত্যাদি দেখতে দেখতে এগিয়ে যান আরও প্রায় এক কিলোমিটার, দেখবেন খাদিমনগর জাতীয় উদ্যানের টিকিট কাউন্টারের সাইনবোর্ড। ব্যাস! আরেকটু এগুলেই পাবেন বনবিভাগের তোরণ, কটেজ অফিস এবং অন্যান্য স্থাপনা। ও হ্যাঁ, টিকিটের দাম বলা হয়নি। প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য প্রতিটি টিকিটের মূল্য প্রায় ২৪ ও শিক্ষার্থী বা অ’প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য প্রায় ১২ টাকা।
Leave a Reply