cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ওয়েছ খছরু : সিলেটে বিদ্রোহীদের প্রতি আরও কঠোর আওয়ামী লীগ। দলীয় নির্দেশ ও স্থানীয় নেতাদের সমঝোতা না মেনে যারা প্রার্থী হচ্ছেন তাদের ওপর নেমে এসেছে শা’স্তির খড়গ।
নেতারা জানিয়েছেন, শুধু বিদ্রোহীরাই নয়, দলের যেসব নেতাকর্মী তাদের পক্ষে অবস্থান নেবে তাদের বি’রুদ্ধেও শা’স্তির খড়গ নামবে। নেতারা সার্বিক বিষয় মনিটরিং করছেন।
চতুর্থ ধাপে সিলেটের গো’লাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারের ২১টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে গো’লাপগঞ্জে ১০টি ও বিয়ানীবাজারে ১১টি ইউনিয়ন।
এ নির্বাচনে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়া দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট জে’লা আওয়ামী লীগের ভা’রপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ শফিকুর রহমান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান স্বাক্ষরিত বি’জ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন- উপজে’লা আওয়ামী লীগ সদস্য লক্ষীপাশা ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী মাতাব উদ্দিন জেবুল ও শরীফগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি শরীফগঞ্জ ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী এম কবির উদ্দিন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ড কর্তৃক মনোনীত দলীয় প্রার্থীদের বি’রুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় গঠনতন্ত্রের ৪৭ ধারার ১১ উপধারা অনুযায়ী দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেন এই দুইজন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নিজ নিজ পদ ও দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়।
দলীয় নেতারা জানিয়েছেন, বিয়ানীবাজারেও বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়া চেয়ারম্যান প্রার্থীদের উপরও শা’স্তির খড়গ নামতে যাচ্ছে।
বিয়ানীবাজারে চেয়ারম্যান পদে মোট ৪৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে বিয়ানীবাজার উপজে’লায় এখন উ’ত্তাপ-উত্তে’জনা দেখা দিয়েছে। বইছে নির্বাচনী হাওয়া। এখানকার আলীনগর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আহবাবুর রহমান খান শি’শুকে বেকায়দায় ফেলেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ (বিএনপি)। ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মামুন টানা দুইবারের চেয়ারম্যান। চারখাইয়ে নৌকার প্রার্থী মাহমুদ আলীও কঠিন পরীক্ষায়। বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের উপজে’লা পর্যায়ের নেতা হোসেন মুরাদ চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও মাঠ কাঁপাচ্ছেন। আলীনগরের মতো চারখাইয়েও কঠিন পরিস্থিতির মুখে নৌকার প্রার্থী। শেওলায় ভোটাররা মুখ না খুললেও নৌকার প্রার্থী জহুর উদ্দিনের সঙ্গে মূল ল’ড়াইয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতার হোসেন খান জাহেদ (বিএনপি)।
এই ইউনিয়নে সমানে-সমানে ট’ক্কর হবে জহুর-আখতারের মধ্যে। দুবাগে নৌকার প্রার্থী ও টানা দুইবারের চেয়ারম্যান আব্দুস সালামের ঘুম নেই। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রচারণা ও কৌশলে স্বস্তিতে নেই তিনি। তার সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তাক আহম’দ (জমিয়ত), কম’র উদ্দিন চৌধুরী (আল-ইসলাহ) ও জালাল আহম’দ শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। কুড়ারবাজারে এখনো এগিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান আবু তাহের (বিএনপি-স্বতন্ত্র)। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামা তুতিউর রহমান তোতা (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী), জাকারিয়া আহম’দ (স্বতন্ত্র), নজমুল ইস’লাম (স্বতন্ত্র) ও বাহার উদ্দিন (নৌকা) ও ঘর গোছাচ্ছেন।
তবে সার্বিক মিলিয়ে কুড়ারবাজারে নৌকার অবস্থান এখনো সুবিধাজনক নয়। মাথিউরায় নৌকার প্রার্থী আমান উদ্দিনের সঙ্গে জো’রালো প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন কছির আলী আব্দুর রব (বিএনপি-স্বতন্ত্র)। তাদের মধ্যে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া নিয়ে কঠিন হিসাব চলছে। ভোটাররাও দু’জনকে নিয়ে মুখ খুলছেন না। তিলপাড়ায় নৌকার প্রার্থী এমাদউদ্দিন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকলেও সুবিধাজনক অবস্থায় নেই।
এই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুবুর রহমান (বিএনপি) বেশ ফুরফুরে অবস্থায়। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিবেকানন্দ দাস পিছিয়ে থাকলেও নৌকাকে ছেড়ে দেবেন না। দলের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির অন্তত: ৩০ জন নেতা নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এর কারণ, তাদের মতামতকে এখানে অগ্রাহ্য করা হয়েছে।
মুড়িয়ায় নৌকার প্রার্থী হু’মায়ুন কবিরের জন্য চ্যালেঞ্জ স্বতন্ত্র প্রার্থী রুহুল ইস’লাম ও ফরিদ আল মামুন (জামায়াত)।মুল্লাপুরে নৌকার প্রার্থী শামীম আহম’দের সঙ্গে টেক্কায় পিছিয়ে নেই বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মন্নান (বিএনপি-স্বতন্ত্র) ও আব্দুল করিম। তিন প্রার্থীই ভোটারদের বিবেচনায়। লাউতায় নৌকার প্রার্থী এম এ জলিল। তিনিও নির্ঘুম রাত কা’টাচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান গৌছ উদ্দিন (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী দেলোওয়ার হোসেন (জামায়াত)। আসন্ন নির্বাচনে কঠিন ল’ড়াইয়ে অবতীর্ণ হচ্ছেন নৌকার প্রার্থী এম এ জলিল।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বিয়ানীবাজারের সভাপতি এডভোকেট আমান উদ্দিন জানিয়েছেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া দরকার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনে যে কেউ জয়লাভ করুক, এটা সবার চাওয়া।
Leave a Reply