cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
দেশের গার্মেন্ট সেক্টরে নজরদারি বাড়িয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। তৈরি পোশাক শিল্পে স্থিতিশীলতা রক্ষা, উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সরকারকে কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে তারা বলেছে, মালিক পক্ষের কিছু কর্মকাণ্ড এই শিল্পকে অস্থির করে তুলতে পারে।
নিয়মিত বেতন ভাতা পরিশোধ না করা, যখন তখন শ্রমিক নেতাদের আগমন, হস্তক্ষেপ ও কর্মকাণ্ড গোটা শিল্পের স্থিতিশীলতা জটিল করে তুলতে পারে। একই সঙ্গে বায়ারদের কাছ থেকে ক্রয়াদেশ না পাওয়া বা কম পাওয়া এ শিল্পের অগ্রগতি ও উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
সে কারণে এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা পরিহারের পরামর্শ দিয়েছেন গোয়েন্দারা। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা এক গোয়েন্দা প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-২-এর উপসচিব শামীম হাসানের সই করা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকে লেখা চিঠিতে এসব পর্যবেক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে। একইসঙ্গে পুলিশের ওই গোপন প্রতিবেদনে এসব জটিলতা ও অস্থিরতা নিরসনে কিছু মতামতও দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনের মতামতে বলা হয়েছে, বিদেশি অর্ডার পাওয়ার ক্ষেত্রে অসুস্থ প্রতিযোগিতা পরিহার করার জন্য বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও শ্রম মন্ত্রণালয় যৌথভাবে নীতিমালা প্রণয়ন করবে। যেসব গার্মেন্ট কারখানায় বায়ারদের ক্রয়াদেশ বাতিল হচ্ছে এবং নতুন ক্রয়াদেশ না আসায় সংকট সৃষ্টি হচ্ছে, সেদিকে নজরদারি বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়। গার্মেন্ট কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের বেতন-ভাতাদি যাতে প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে নিয়মিত পরিশোধ করা হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে দেশি-বিদেশি কোনও সংস্থা (এনজিও) বা কোনও শ্রমিক সংগঠন বা কোনও শ্রমিক নেতা যাতে গার্মেন্ট সেক্টরে কোনও প্রকার হস্তক্ষেপ বা উসকানি দিতে না পারে, সেদিকে নজর রেখে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনও কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষসহ কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার আগাম সংবাদ পেলে তা আগেভাগেই প্রশাসনের নজরে আনতে হবে এবং প্রশাসনকে মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে তা নিরসন করতে হবে।
যেসব গার্মেন্ট কারখানায় বায়ারদের ক্রয়াদেশ না আসায় সংকট সৃষ্টি হচ্ছে, সেদিকে নজরদারি বাড়িয়ে ওই সংকট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বাজার গবেষণা ও স্টাডির মাধ্যমে নতুন নতুন প্রযুক্তির প্রয়োগ ও পণ্যের বহুমুখীকরণসহ নতুন বাজার সৃষ্টির জন্য উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—শ্রমিকরা যেন তাদের বেতন ভাতা এবং ওভারটাইমের বিল সময় মতো সঠিকভাবে পায়, সে বিষয়ের প্রতি নজরদারি আবশ্যক। প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়েছে, বেশ কিছু গার্মেন্ট কারখানা বিদেশি মালিকদের দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে, অনেক বিদেশি মালিক করোনার কারণে কাজ না থাকায় কারখানা বন্ধ রাখেন। এই কারণে শ্রমিক অসন্তোষ বৃদ্ধি পায় বলেও গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পুলিশ সদর দফতর বলেছে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানায় গত অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের বেতন ভাতা এখনও পরিশোধ করা হয়নি। এসব কারখানায় বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে শ্রমিক অসন্তোষের সম্ভাবনা দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে দাখিল করা একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এ আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে গত ১ ডিসেম্বর চিঠি পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত ১৪ নভেম্বর পুলিশ সদর দফতর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবরে পৃথক চিঠি লেখেন আইজিপির পক্ষে অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহিল বাকী। ওই চিঠিতে বলা হয়, যেসব গার্মেন্ট কারখানায় শ্রমিকদের চলতি বছরের অক্টোবর মাসের বেতন-ভাতাদি নভেম্বর মাসের মধ্যে পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেসব কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষের আশঙ্কা রয়েছে। এই আশঙ্কা ব্যক্ত করে পুলিশ সদর দফতর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাঠানো হয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘গার্মেন্ট কারখানায় যেকোনও ধরনের অসন্তোষ এড়াতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তৎপর রয়েছে।’ বিজেএমইএ ও বিকেএমইএ নেতাদের সঙ্গে এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন