সর্বশেষ আপডেট : ৪ ঘন্টা আগে
শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দ | ১৮ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

আইসিইউতে ৬ মাস অজ্ঞান থাকা খিজমত আলী এখন কোটিপতি

 জীবিকার তাগিদে মধ্যপ্রাচ্যের ওমানে গিয়ে সড়ক দুর্ঘ’টনায় কর্মক্ষমতা হারান ঠাকুরগাঁওয়ের খিজমত আলী। ২০১৭ সালে ওই দুর্ঘ’টনায় ছয়মাস আইসিইউতে থাকার পর তাকে ফেরত পাঠানো হয় দেশে।

আইসিইউতে ৬ মাস অ’জ্ঞান থাকা খিজমত আলী এখন কোটিপতি

তবে খিজমত আলীর দুর্ঘ’টনায় ক্ষতিপূরণের জন্য আইনি পথ বেছে নেয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কল্যাণ মন্ত্রণালয়। চার বছর শুনানির পর খিজমত আলীকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয় ওমানের আ’দালত।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান ভবনে মন্ত্রী ইম’রান আহম’দ মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ক্ষতিপূরণের ১ কোটি ১৪ লাখ ১০ হাজার ৯২২ টাকার একটি চেক খিজমত আলীর হাতে প্রদান করেন।

এসময় ইম’রান আহম’দ বলেন, আমাদের দেশের কোনো প্রবাসী কর্মী বিদেশে যদি তার অর্থ পাওয়ার একটা ব্যবস্থা থাকে ইনসুরেন্স অথবা ব্যাকপে অনেকের বকেয়া বেতন তখন আম’রা চেষ্টা করি সেগুলো আদায় করে আনতে।

আমাদের লেবার গোয়িং যেগুলো আছে এটা কিন্তু মূলত তাদের কাজ; ওয়েলফেয়ার কাজ তারাই করে ওটার পরিপ্রেক্ষিতে আম’রা কাজ করি।

ওমানে খিজমতের দুর্ঘ’টনার ক্ষতিপূরণ আদায়ের বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১ কোটি ১৪ লাখ ১০ হাজার ৯২২ টাকা আ’হত খিজমত আলী পেয়েছেন তার কর্মস্থলের মাধ্যমে।

মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে সেখানে আ’দালতে বিষয়টা সুরাহা হয়েছে। এর জন্য প্রায় চার বছর সময় লেগে গেছে। গত নভেম্বরে এই অর্থ দূতাবাসের মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আসে।

আরও পড়ুন: কাতারে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা

খিজমত আলীর ছোট ছে’লে আমির হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানান, তার বাবা ২০১২ সালে ওমানে যান। সেখানে ফল প্যাকেজিং কাজের পাশাপাশি কৃষিকাজ করতেন। তবে কর্মস্থল থেকে চা খেতে গেলে রাস্তায় একটি গাড়ি এসে তার বাবাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়।

আমির হোসেন বলেন, দুর্ঘ’টনার সময় আব্বু আমা’র মায়ের সঙ্গে মোবাইলফোনে কথা বলছিলেন। আর ওইসময় আব্বু দুর্ঘ’টনা করেন। পরে যিনি আব্বুকে হাসপাতা’লে নিয়ে যান তিনি আমাদের ফোন করে দুর্ঘ’টনার খবর জানান।

এরপর টানা তার বাবার সঙ্গে কোনো রকম যোগাযোগ করতে পারেননি জানিয়ে আমির হোসেন বলেন, আব্বু ছয় মাস হাসপাতা’লে আইসিইউতে ছিল; ছয় মাস পরে তার জ্ঞান ফিরেছিল। তারপর আম’রা আব্বুকে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেশে এনে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি করায়।

আমির জানান, তার বাবাকে এখনো বিভিন্ন থেরাপি ও ম্যাসাজ দেয়া লাগে। টাকার অভাবে তাকে ভালো’ভাবে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এখন ক্ষতিপূরণ পাওয়ায় ভালো’ভাবে চিকিৎসা করাতে পারবেন।

চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক হামিদুর রহমান, পরিচালক (অর্থ ও কল্যাণ) শোয়াইব আহমেদ এবং খিজমত আলীর স্ত্রী’ ও দুই সন্তান উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: