cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের আশীর্বাদধন্য বিশ্বের কারিশিল্পের অস্কার হিসেবে খ্যাত ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডের ১৭তম উৎসব লন্ডনের ব্যাটারসি এভল্যুশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে গত সোমবার (২৭ নভেম্বর)।
কারি বিশ্বে অনন্য ম’র্যাদাসম্পন্ন এ পুরস্কার প্রবর্তনের আদি প্রতিষ্ঠাতা ব্রিটিশ-বাংলাদেশি উদ্যোক্তা এনাম আলি এমবিইর উদ্যোগে জাস্ট ইট এর সহযোগিতায় তারকাখচিত এবারের আয়োজন উপলক্ষে এক ভিডিওবার্তা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
তিনি বলেন, দশকের পর দশক নিজেদের তৈরি সুস্বাদু খাবারের জাদুতে আমাদের যারা বিস্মিত ও মোহিত করে চলেছেন, কারি শিল্পের সেসব প্রতিভাধর শিল্পীর জাতীয় স্বীকৃতি প্রদানের এ উৎসব সত্যিই এক অভাবনীয় আনন্দের অ’ভিজ্ঞতা।
আরও আনন্দের ঘটনা এটাই যে, গত দুই বছর জাতির কঠিনতম দিনগুলোয় দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের নিঃস্বার্থ ও নিরলস সেবা ও সাহস যুগিয়েছে, ঘরব’ন্দি মানুষের জন্য ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়ে লাখ লাখ জীবন বাঁচিয়েছে এ শিল্প।
মূলত ব্রিটিশ কারি শিল্পের সিংহভাগের নিয়ন্তা ব্রিটিশ-বাংলাদেশি উদ্যাক্তাদের হাতে শুরু হয়ে আজ ব্রিটেনের অন্যতম জাতীয় উৎসব হয়ে ওঠা এ আয়োজনকে স্বাগত জানিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমি অ’ত্যন্ত খুশি যে, দেশের ৫০টির বেশি বড় শহর থেকে ১০ হাজারের বেশি রেস্টুরেন্ট নিয়ে গড়া এই শিল্প আবার জমজমাট ও প্রা’ণবন্ত হয়ে উঠতে শুরু করেছে। কারি অ্যাওয়ার্ডের ১৭তম এই আয়োজনে আমি কারি শিল্পের সাথে জ’ড়িত সব রেস্টুরেন্ট, শেফ এবং ওয়েটারকে জানাই আমা’র অ’ভিনন্দন।
ব্রিটেনের কারিভুবনে বছরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় এ উৎসবে যোগ দিতে ‘কারি অস্কার’ শিরোপা অর্জনের স্বপ্ন নিয়ে এবারও বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সারা দেশের সেরা রেস্টুরেন্ট প্রতিনিধিরা এসে হাজির হন রাজধানী লন্ডনে। কোভিড মহামা’রির রুদ্ধশ্বা’স পরিস্থিতির অবসানে আনন্দঘন জাঁকজমকপূর্ণ এ উৎসবের ঔজ্জ্বল্য আরো বাড়িয়ে দিতে ক্রীড়া, বিনোদন, সংস্কৃতি ও রাজনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশ্বসেরা একঝাঁক তারকার উপস্থিতি।
উৎসবে উপস্থিত ছিলেন সেলিব্রিটি ক্রিকেটার আাজিম রফিক, লাভ আইল্যান্ড প্রতিযোগী খ্যাত প্রিয়া গোপালদাস ও জনপ্রিয় মডেল ড্যানিয়েল ম্যাসন, সাবেক ‘দ্য অ্যাপ্রেন্টিস’ বিজয়ী সিয়ান গ্যাবিডন, টিভি প্রেজেন্টার মেলিন্ডা মেসেঞ্জার, লিজি কা’ন্ডি, ফেই বারকার, হেইলি স্পার্কস এবং হেলি পামা’র, রেডিও উপস্থাপক জেমস হোয়েল, টেলিভিশন জিপি ড. আমির খান, নির্মাতা ও অ’ভিনেতা মিসতাহ আইলাহ, সঙ্গীতশিল্পী পাত্তি বুলায়ে ও মিস্টার ফ্যাবুলাস, রেস্তোরাঁ সমিতির প্রেসিডেন্ট রবার্ট ওয়ালটন এমবিই, জনপ্রতিনিধি ক্রিস গ্রেলিং ও ফয়সল চৌধুরী, রুপলস ড্র্যাগ রেস ইউকে-এর বাগা চিপজ এবং রিয়েলিটি টিভি উপস্থাপক রবি ম্যাকমোহন।
১৭তম ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডের গোটা আয়োজনটি উপস্থাপন করেন জননন্দিত অ’ভিনেতা ও কমেডিয়ান ওমিড ডিজালিল। এছাড়া ওয়েস্ট মিডল্যান্ড ক্যাটাগরিতে সেরা রেস্টুরেন্টের পুরস্কার তুলে দিতে ভা’র্চুয়ালি পুরস্কার আয়োজনের সঙ্গে ভা’রতের মুম্বাই থেকে বিশেষভাবে যু’ক্ত হন বলিউড তারকা অ’ভিষেক বচ্চন।
বিগত দেড় বছরের কঠিন কোভিডকালে অকালে হারিয়ে গেছেন ব্রিটিশ কারি শিল্পের যেসব অগ্রণী পথিকৃৎ, ব্যবসায়ী ও নিবেদিতপ্রা’ণ কর্মী, সেই মানুষগু’লির প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ এবারের গোটা উৎসবটি তাদের স্মৃ’তির প্রতি উৎসর্গ করেন এর আয়োজকরা।
ব্রিটেনজুড়ে বিস্তৃত এশীয় তথা ইন্ডিয়ান কারি শিল্প হিসেবে পরিচিত রেস্টুরেন্ট শিল্পের ৯০ শতাংশের বেশিই বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের হাতে গড়া। বিগত বছরগুলোয় বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট উদ্যোক্তারাই অধিকাংশ পুরস্কার জিতে এলেও এ বছরই কিছুটা পিছিয়ে পড়েন তারা। মোট ১২ ক্যাটাগরিতে এ বছর তাদের দখলে আসে ৪ শিরোপা; ২টি পান পা’কিস্তানি উদ্যোক্তারা এবং বাকিগু’লি নিয়ে যান ভা’রতীয়রা।
ব্রিটিশ কারি শিল্পে শেফ-ঘাটতি মেটাতে প্রবর্তিত ভিন্দালু ভিসার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রা’ণবন্ত এ উৎসবের উদ্যোক্তা এবং দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে বিশ্বব্যাপী এর প্রসারে নিরত ব্রিটিশ কারি শিল্পের শীর্ষ মুখপাত্র ব্রিটিশ-বাংলাদেশি এনাম আলি এমবিই আয়োজনের সাফল্য নিয়ে বলেন, সবচেয়ে আনন্দের কথা, লকডাউনের ভগ্নদশা পেরিয়ে আবারো নতুন উদ্যমে প্রা’ণের সাড়া জেগে উঠেছে রেস্টুরেন্ট আর রসনাবিলাসী মানুষগুলোর মধ্যে। এই উত্তরণে গ্রাহকদের অভাবনীয় সম’র্থন আম’রা পেয়েছি, তবে প্রস্তুতি রযেছে সামনে আরো দুস্তর পথ পাড়ি দেওয়ার জন্য।
উৎসবের সহযোগী জাস্ট ইট-এর ইউকে ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যানড্রু কেনি বলেন, এমন একটি সম্মানজনক আয়োজনে স্পন্সর হতে পেরে আম’রা ধন্য। চ্যালেঞ্জিং ১৮টি মাস পেরিয়েছি। চ্যালেঞ্জ উৎরে আম’রা টিকে থাকতে পেরেছি। শুধু তাই নয়, এই কঠিন অর্থনীতির মধ্যেও আমাদের অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে, ও থাকবে।
১৭তম ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে যারা এ বছর সেরার স্বীকৃতি পেলেন তারা হলেন, বেস্ট রেস্টুরেন্ট স্কটল্যান্ড ক্যাটাগরিতে ডিশুম; বেস্ট রেস্টুরেন্ট নর্থ-ইস্টে মুমতাজ রেস্টুরেন্ট, এবং নর্থ-ওয়েস্ট আশা’জ; ইস্ট মিডল্যান্ডে মনতাজ নিউমা’র্কেট, ওয়েস্টে মিডল্যান্ডে পুশকার রেস্টুরেন্ট, ওয়েলশে পারপল পপাডম, সাউথ ইস্টে শেফ মুমতাজ, সাউথ ওয়েস্টে পৃথিবী রেস্টুরেন্ট, লন্ডন সেন্ট্রাল অ্যান্ড সিটিতে বানারস, আউটার অ্যান্ড সাবার্বে শাম্পান ব্রমলি, বেস্ট নিউকা’মা’র ক্যাটাগরিতে মথুরা রেস্টুরেন্ট, বেস্ট টেকঅ্যাওয়ে ক্যাটাগরিতে মালিকস এক্সপ্রেস কিচেন এবং মোস্ট ইনোভেটিভ রেস্টুরেন্ট কনসেপ্ট ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতে নেয় খাই খাই ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট।