cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আলোচিত বাবুর্চি জামাল হত্যা মামলার আসামি বিলাল আহমদ। তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
ইউনিয়নের তৃণমূলের ভোটে বিজয়ী প্রার্থীকে বাদ দিয়ে বিলাল আহমদকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়ায় দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে তৃণমূলের মতামত নেওয়া হয়। জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের উপস্থিতিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা রাজাগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভোট হয়।
এতে রাজাগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলী আকবর চৌধুরী কোহিনুর পান ১৩ ভোট এবং সভাপতি বিলাল আহমদ পান ৭ ভোট। কিন্তু, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কেন্দ্রে পাঠানো তালিকা যাচাই করে গত রবিবার রাতে বিলাল আহমদকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।
বিষয়টি জানাজানির পর এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। বিলাল আহমদ কানাইঘাটের তিনচটি গ্রামের বাবুর্চি জামাল আহমদ হত্যা মামলার আসামি। এ মামলায় তিনি কারাভোগ করেছেন। একই মামলায় তার বড় ভাই হেলাল আহমদ অন্যতম প্রধান আসামি। মামলাটি তদন্ত করে অভিযোগপত্র দিয়েছে সিআইডি।
বিলালের বাবা সিকন্দর আলী ওরফে ছইল মিয়া ২০০১ সালে চাঞ্চল্যকর ‘ট্রিপল মার্ডার’ মামলার আসামি ছিলেন। হাওরের রাঙামাটি বিল দখল করে রাখার এক পর্যায়ে এলাকার লোকজন মাছ মারতে গেলে সেখানে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করেন সিকন্দর ও তার ছেলেরা। এই মামলায় কারাভোগের পর তিনি মারা যান। এক ভাই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
স্থানীয় একজন আওয়ামী লীগের একজন সহসভাপতি নাম প্রকাশে অনাগ্রহ দেখিয়ে অভিযোগ করেন, ‘বিলাল অত্যন্ত খারাপ প্রকৃতির লোক। কাঠালবাড়ি হাওরের টিলায় বাড়ি নির্মাণ করে হাওরকেন্দ্রিক সবধরনের অপরাধে তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এমনকি, গরু চুরি-জমি দখলের সঙ্গেও তাদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘৩০ নভেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় কোহিনূরকে বিজয়ী ঘোষণার পর সেখানেই তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বিলাল আহমদ। স্থানীয় একজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে দেখে নেওয়ারও হুমকি দেন। মূলত, টাকা ও গায়ের জোরে বিলাল আওয়ামী লীগে পদ পেয়েছেন। তার পরিবারের কেউই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেননি। তিনি নিজেও একজন অশিক্ষিত লোক।’
অন্যদিকে, তৃণমূলের ভোটে বিজয়ী প্রার্থীকে বাদ দিয়ে হত্যা মামলার আসামিকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কবির আহমদ বলেন, ‘তৃণমূলের মতামতকে উপেক্ষা করে এমন সিদ্ধান্তে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ পারিবারের অধিকাংশ লোকই অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। অন্যদিকে, কোহিনূর একজন শিক্ষিত ও ভদ্র লোক। তৃণমূলে জনপ্রিয় এ লোককে বাদ দেওয়া ঠিক হয়নি।’
এ প্রসঙ্গে মনোনয়ন বঞ্চিত আলী আকবর চৌধুরী বলেন, ‘তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আমাকে তাদের প্রার্থী মনোনীত করেছিল। কিন্তু কেন্দ্র থেকে কোন জাদুবলে বিলালকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে তা আমার বোধগম্য নয়। প্রার্থী বদলের খবরে এলাকার মানুষ ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাছে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে। আশা করছি দলের হাইকমাণ্ড বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তৃণমূলের পছন্দের প্রার্থী হিসেবে আমাকেই দলীয় মনোনয়ন দেবেন।’
প্রার্থী পরিবর্তন প্রসঙ্গে জানতে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান বলেন, ‘আমরা তৃণমূলের মতামত নিয়ে কেন্দ্রে তালিকা প্রেরণ করেছি। নেত্রী হয়তো জ্যেষ্ঠতার বিচারে বা বর্তমান চেয়ারম্যানকে অগ্রাধিকার দিয়ে মনোনয়ন দিয়েছেন।
এছাড়া তৃণমূলের মতামত খুব একটা পরিবর্তন হয় না। তবে, এ ক্ষেত্রে আমরা শতভাগ স্বচ্ছতা দেখিয়ে থাকি।’ বিলাল আহমদ হত্যা মামলার আসামি কি না সে সম্পর্কে ধারণা নেই বলে জানান তিনি। বিষয়টি উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের জিজ্ঞেস করার পরামর্শ দেন তিনি। সৌজন্যে: বাংলাদেশ প্রতিদিন