সিলেটের জকিগঞ্জের সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুটি দলীয় প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুই চাচাতো ভাই। বড় ভাই ইকবাল আহম’দ চৌধুরী একল নৌকা প্রতীকে ও ছোট ভাই রিমন আহম’দ চৌধুরী লাঙল প্রতীকে নির্বাচনী মাঠে থাকবেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জকিগঞ্জ উপজে’লা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল আহম’দ চৌধুরী একল দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের ভোটে প্রাথমিকভাবে নৌকার প্রতীকের চূড়ান্ত হয়েছেন।

তাঁর আপন চাচাতো ভাই সিলেট মহানগর জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির আহ্বায়ক রিমন আহম’দ চৌধুরী জাতীয় পার্টির তৃণমূলের মতামতে লাঙল প্রতীক পেয়েছেন। এরই মধ্যে কেন্দ্র থেকে তার হাতে প্রার্থিতার চিঠিও তুলে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সুলতানপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা হয়। তারা বলেন, দুই ভাইয়ের ভোটের ল’ড়াই ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলেছে। কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নয়। দুজনই দুই প্রতীকে ভোট চেয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকা’ণ্ড নিয়েও আলোচনা-সমালোচনাও হচ্ছে।

বাবুর বাজারের রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী আব্দুল আহাদ বলেন, হোটেলে আগত স্থানীয় বেশিরভাগ ব্যক্তি ওই দুই ভাইয়ের ল’ড়াই নিয়ে কথা বলছে। কেউ কেউ দুই ভাইয়ের রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকা’ণ্ড নিয়ে বিশ্লেষণও করছেন।

সুলতানপুর ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুস সাত্তার বলেন, নৌকার প্রার্থী ইকবাল আহম’দ চৌধুরী একল ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি জনপ্রিয়। আওয়ামী নেতাকর্মীরা তাকে বিজয়ী করতে মাঠে কাজ করবে। তার চাচাতো ভাই অন্যদলের প্রার্থী হয়েছেন, সেটা রাজনৈতিক ব্যাপার। পারিবারিকভাবে তারা ভাই ভাই হলেও রাজনৈতিকভাবে এখন দুই দলের প্রার্থী। বিষয়টিকে আম’রা রাজনৈতিকভাবেই এখন দেখছি।

সুলতানপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ওলিউর রহমান বলেন, পারিবারিকভাবে তারা যাই হোক না কেন দলীয় আদর্শগত দিক থেকে দুটি দলের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী রিমন চৌধুরীর একটি ক্লিন ইমেজ আছে। তার বড় ভাই নৌকার প্রার্থী হয়েছেন সেটা তার দলীয় সিদ্ধান্ত। জা’পার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে আম’রা কাজ করবো।

আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ইকবাল আহম’দ চৌধুরী একল বলেন, বিগত নির্বাচনেও আমি বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলাম। গ্রাম পর্যায়ে শেখ হাসিনার উন্নয়নের জোয়ার পেতে ভোটাররা নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করবেন। ছোট ভাই রিমন চৌধুরী জা’পা থেকে নির্বাচন করছেন সেটা তার দলীয় ব্যাপার। ছোট ভাইয়ের কারণে ভোটে কোনো প্রভাব পড়বে না।

দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের চাপে নির্বাচন করবেন জানিয়ে জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী রিমন চৌধুরী বলেন, ইকবাল আহম’দ চৌধুরী চাচাতো বড়ভাই হলেও তাকে এখন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে দেখছি। ভোটের মাঠে পারিবারিক স’ম্পর্ক মুখ্য নয়। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মানুষ এবার ভোট দেবেন না। জনগণ উন্নয়নের স্বার্থে লাঙল প্রতীকে ভোট দেবেন। ভোটের মাধ্যমে জনপ্রিয়তার প্রমাণ হবে।

এ দুই চাচাতো ভাই ছাড়াও এ ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন উপজে’লা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইস’লাম, গত নির্বাচনের জা’পার হেভিওয়েট প্রার্থী জালাল উদ্দিন, খেলাফত মজলিস নেতা বুরহান উদ্দিন, উপজে’লা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক হাসান আহম’দও।

সংবাদটি শেয়ার করুন:

• ফেইসবুক
• টুইটার
• গুগল প্লাস
• ইমেইল