cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
বাড়ির সামনে পিয়াইন নদী। গ্রামের বিপরীত দিক দিয়ে ছুটে গেছে ব্যস্ততম সাচনা বাজার ও সুনামগঞ্জ সড়ক। এ সড়ক থেকে নেমেই বাঁশের চাটাই পার হয়ে জামালগঞ্জের সাচনা বাজার ইউনিয়নের ভরতপুর ও চাঁনপুরসহ অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষকে নিয়মিত যাতায়াত করতে হয়। বর্ষায় তাদের ভরসা খেয়া নৌকা।
পিয়াইন নদীর উপর সেতু নির্মিত না হওয়ায় ফসল ঘরে তোলাসহ যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, কৃষক ও সাধারণ মানুষকে। উন্নয়ন অগ্রগতিতে দেশ এগিয়ে গেলেও পিয়াইন নদীর উপর সেতু নির্মাণের দাবি আজও পূরণ হয়নি। দীর্ঘদিনের এ দাবি কবে পূরণ হবে তাও জানেন না এলাকাবাসী।
ভরতপুর গ্রামের বাসিন্দা বিমল চন্দ্র দাস অনেকটা আক্ষেপের সুরে জানিয়েছেন, গ্রামের পূর্ব পারে সুনামগঞ্জ থেকে সাচনা বাজার পর্যন্ত সংযোগ সড়ক রয়েছে। সেই সড়কে উঠতে হলে নদী পার হতে হয় তাদেরকে। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও নদী পারাপারের দুঃখ আজও মোচন হয়নি।
তিনি আরও জানান, বাড়ির সামন দিয়ে গাড়ি চলাচল করে ঠিকই, কিন্তু গ্রামের একেবারে কাছ দিয়ে জেলা শহরগামী সড়ক থাকা সত্বেও বাড়ি থেকে সরাসরি গাড়ি চড়ার সাধ আজও অধরা থেকে গেছে তাদের। এই নদীর উপর সেতু হবে-হচ্ছে, কিন্তু হচ্ছে না। কবে হবে তাও অজানা বলে জানিয়েছেন তিনি।
জানা যায়, ২০০০ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের প্রথম মেয়াদে রফিকুল হক সোহেল সাংসদ থাকাকালীন পিয়াইন নদীর ওপর সেতু নির্মাণের তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। তখন ভরতপুর গ্রামের দক্ষিণ মাথার বিপরীত পারে সেতু নির্মাণের মালামাল স্তুপ করে প্রাথমিক কাজেও হাত দিয়েছিল সংশ্লিষ্ট ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীতে বিএনপি জোট সরকার ক্ষমতায় আসলে তা বাতিল হয়ে যায়।
পরে বিএনপি সরকারের শেষ সময়ে এসে আমেরিকান একটি সাহায্য সংস্থার অর্থায়নে সাচনা চৌধুরী বাড়ি সেতু ও সাচনা মুসলিম হাঁটির সামনের পিয়াইন নদীতে সেতুসহ সাচনা বাজার ইউনিয়নের ভরতপুর গ্রাম সংলগ্ন একই নদীর উপর সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। তারই প্রেক্ষিতে সাচনা গ্রামের এপার-ওপারে দুইটি সেতু নির্মিত হলেও ভরতপুরের সেতুটি আর হয়নি। সর্বশেষ বছর তিনেক আগে ফের সেতু নির্মাণে মাপজোখ হয়েছে। তবে তা বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি।
সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে আছেন পিয়াইন নদীর দুই পারে বসবাসরত নজাতপুর, সেরমস্তপুর, কুকড়াপশি, ভরতপুর, হরিহরপুর, আক্তাপাড়া, চাঁনপুরসহ প্রায় দশ গ্রামের মানুষ। নদীর পশ্চিম অংশে একটি বড় হাওর রয়েছে। এই হাওরে সবারই কমবেশি জমি আছে। হেমন্ত মৌসুমে নদী পার হয়ে কৃষিকাজ করতে হয় পূর্ব পারের মানুষদের। বিশেষ করে বৈশাখ মাসে ধান উঠানোর সময় কৃষকেরা মারত্মক সমস্যার সম্মুখীন হন।
অপরদিকে, পশ্চিম পারে অবস্থানরত সাধারণ মানুষ কৃষিতে সুবিধা পেলেও জেলা শহর কিংবা উপজেলা সদরে যেতে হয় নদী পার হয়ে। আওয়ামী লীগের টানা তিন মেয়াদের ক্ষমতাকালে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন ঘটলেও এখনও পিছিয়ে আছে সুনামগঞ্জ-সাচনা বাজার সড়কের বিপরীত পারের কয়েকটি গ্রাম। এ নিয়ে চরম অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
সাচনা বাজার ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ও কুকড়াপশি গ্রামের বাসিন্দা মো. মানিক মিয়া বলেন, ‘নদীর পশ্চিম পারের ৪-৫টি গ্রাম আছে যারা প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। নদীতে সেতু না থাকায় অপর পারের গ্রামগুলো বোরো মৌসুমে রৌয়ার হাওর থেকে সরাসরি ধান আনতে পারে না। একটি সেতুর অভাবে উভয় পারের মানুষই চরম ভোগান্তিতে আছে। এখানে সেতু নির্মাণ হোক, এটা সবার দীর্ঘদিনের দাবি।’
বাঁশের চাটাই পার হওয়ার পথে কুকড়াপশি গ্রামের কৃষক নূরুল হক বলেন, ‘এখানে সেতু হওয়া জরুরি দরকার। কারণ ধান কাটা-মাড়াইয়ের সময় এলে ধান ঘরে তুলতে আমাদের মারাত্মক সমস্যা হয়। এছাড়া যাতায়াতের তো সমস্যা আছেই।’
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘এই ব্রিজের জন্য টেন্ডার সম্ভবত চলতি অর্থবছরে হতে পারে। আর টেন্ডার হলেই কাজও হয়ত শুরু হবে।’
এ বিষয়ে সাচনা বাজার ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম শামীম বলেন, ‘সেতু নির্মাণের প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু হয়েছে। ডিজাইন সম্পন্ন হওয়ার পরে এই অর্থবছরে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’