cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সিলেটে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রেখেছে শ্রমিকরা। চলছে না কোনো গণপরিবহন। আজ সোমবার (২২ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে পূর্বঘোষণা দিয়ে কর্মবিরতি পালন করছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট বিভাগীয় কমিটি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সিলেট কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনো বাস। কদমতলী কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল থেকেও কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে হাসপাতালে থাকা রোগী ও রোগীদের স্বজনদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এই অনির্দিষ্টকাল পরিবহন কর্মবিরতি শ্রমিকদের পূর্বঘোষিত জানিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জাকারিয়া আহমদ জানান, গেল ৯ নভেম্বর সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে পাঁচ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দিয়ে বাস্তবায়নের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে দাবি না মানায় অনির্দিষ্টকাল পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি আহ্বান করা হয়।
তবে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বহনকারী পরিবহন কর্মবিরতির বাইরে থাকবে বলে জানান জাকারিয়া আহমদ।
জানা যায়, সিলেটে সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ। সেই সময় শেষ হয় রোববার। কিন্তু তাদের ৫ দফা দাবি আদায় হয়নি বলে জানিয়েছেন পরিবহন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। ফলে কঠোর আন্দোলনে যাচ্ছেন তারা।
পরিবহন শ্রমিকদের দাবিগুলো হচ্ছে- সিলেট জেলা অটোটেম্পু, অটোরিকশা চালক শ্রমিক জোট (রেজি নং: ২০৯৭)-এর ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা, ‘প্রহসনের নির্বাচন’ ও ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়’ ঘোষিত কমিটি বাতিল করা ও মনোনয়ন ফি বাবত আদায়কৃত সকল টাকা ফেরত প্রদান, সিলেটের আঞ্চলিক শ্রম দফতরের উপপরিচালককে প্রত্যাহার, সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি নং: বি-১৪১৮) নেতৃবৃন্দের উপর দায়েরকৃত মামলাসমূহ প্রত্যাহার, ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের সকল প্রকার হয়রানি বন্ধ, মেয়াদ উত্তীর্ণ শেরপুর, শেওলা, লামাকাজী, শাহপরাণ ও ফেঞ্চুগঞ্জ সেতু থেকে টোল আদায় বন্ধ এবং চৌহাট্টাসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে কার, মাইক্রোবাস, লেগুনা, সিএনজি অটোরিকশসহ সকল প্রকার গাড়ির পার্কিং ব্যবস্থা করা।
সিলেটের সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা বলছেন, বার বার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়ে পরে প্রশাসনের সাথে বৈঠক করে সমাধানের আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন তারা। এ নিয়ে তারা বিভিন্ন সময়ে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে স্মারকলিপিও দিয়েছেন। কিন্তু কোনো আশ্বাস বাস্তবায়ন না হওয়ায় এবার তারা সকল পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ও জোটকে নিয়ে দেশের শীর্ষ পরিবহন সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশনের ব্যানারে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
এদিকে, চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি নগরীর চৌহাট্টায় অ’বৈধ মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড উচ্ছেদ নিয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও কর্মক’র্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে সং’ঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই সং’ঘর্ষে সিসিক ও পু’লিশের পক্ষ থেকে পৃথক ২টি মা’মলা দায়ের করা হয়। পরিববহন শ্রমিকদের ধ’র্মঘট ও কঠোর কর্মসূচির আল্টিমেটামের প্রেক্ষিতে পরিবহন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ও সিসিক মেয়রের মধ্যে একটি সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠকে পরিবহন শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে সিসিকের ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান ও মা’মলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়।
সেই অনুযায়ী সিসিকের পক্ষ থেকে পরিবহন শ্রমিক নেতাদেরকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়। কিন্তু সময়মতো আপসনামা প্রস্তুত না হওয়ায় ৮ জনের বি’রুদ্ধে সিসিকের মা’মলায় গ্রে’প্তারি পরোয়ানা জারি হয়ে যায়। ফলে ভেস্তে যায় আপসের উদ্যোগ। এ সময়ের মধ্য পরোয়ানাভুক্ত আ’সামিগণ আ’দালতে হাজির না হওয়ায় সম্প্রতি পরোয়ানাভুক্ত আ’সামিদের সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দেন আ’দালত। এর মধ্যে গত শুক্রবার সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর ওম’রাহ পালনে সৌদি আরব চলে যাওয়ায় সংকট আরো ঘনীভূত হয়। শেষ পর্যন্ত আইনি ব্যবস্থার পরিবর্তে আ’ন্দোলনের দিকে ঝুকঁছেন পরিবহন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।