cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
পাকিস্তানকে উড়িয়ে ‘আমরা করবো জয়’ গান গেয়ে উৎসব মেতেছিল বাংলার মেয়েরা। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এম জয় মূল পর্বে খেলার পথ আরও মসৃণ হয়েছে নিগার সুলতানার দলের।
হারারেতে নারী দলের যখন উৎসব চলছে ঢাকায় তখন পুরুষ দলের ভাবনা একই দলের বিপক্ষেই ধবলধোলাই এড়ানো। যেন মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। জাহানারা-রুমানারা পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিলেও খাবি খাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-তাসকিন আহমেদরা।
টানা দুই ম্যাচ জিতে ইতিমধ্যে সিরিজ নিশ্চিত করছে পাকিস্তান। সোমবার তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে খেলতে নামবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান। মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলাটি শুরু হবে দুপুর ২টায়। বাবর আজমের দল যেখানে সিরিজ নিশ্চিতের পর শেষ ম্যাচেও জিতে ষোলোকলা পূর্ণ করার মিশনে নামবে। অন্যদিকে বাংলাদেশ নামবে নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণের শেষ সুযোগটি কাজে লাগাতে।
বিব্রতকর ব্যাটিংয়ে টানা দুই হারের পর বাংলাদেশ টিম ম্যানেজম্যান্টের যেন বোধধয় হয়েছে। দলে ডাকা হয়েছে পারভেজ হোসেন ইমনকে। একাদশ থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছেন সাইফ হাসান। দুই ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১ রান। ইনজুরির কারণে একাদশে অনিশ্চিত মোস্তাফিজুর রহমান। তার পরিবর্তে দেখা যেতে পারে কামরুল ইসলাম রাব্বীকে। এ ছাড়া টেস্ট সিরিজের কথা বিবেচনায় এনে তাসকিন আহমেদকে দেওয়া হতে পারে বিশ্রাম। তার পরিবর্তে শহীদুল ইসলামের হতে পারে অভিষেক। এ ছাড়া দুই ম্যাচে জায়গা না পাওয়ার ইয়াসির আলী রাব্বিকে দেখা যেতে পারে একাদশে। সেক্ষেত্রে তারও অভিষেক হতে পারে। বাদ পড়তে পারেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।
এই সিরিজে বাংলাদেশ নেমেছিল প্রায় এক নতুন দল নিয়ে। কিন্তু খেলায় সেই পুরোনো চেহারা। বোলিংটা ভালো হলেও ব্যাটিংয়ে আসা যাওয়ার মিছিল, টপ অর্ডারে ধস আর ফিল্ডিংয়ে ক্যাচ মিসের মহড়া। সবকিছু মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের অস্তিত্ব নিয়ে যেন টানাটানি। সিরিজ শুরুর আগে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ জানিয়েছিলেন এটি হতে যাচ্ছে তাদের সামর্থ্য প্রমাণের লড়াই। সিরিজ শুরু হওয়ার পর দেখা মেলে অসহায়ত্ব।
ব্যাটসম্যানরা যেন ব্যাট ধরতে ভুলে গেছেন। প্রতিদিন সেই একই চিত্র। কেউ ফিরছেন শুরুতেই আবার কেউ থিতু হয়ে। কার্যত ব্যাটিংয়ের কারণেই বাংলাদেশ দলের এমন দুর্দশা। বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর বেশ কটি পরিবর্তন নিয়ে নামে দল। কোচিং স্টাফে যুক্ত হয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন-মিজানুর রহমান বাবুলরা। আদতে পারফরম্যান্সে কোনো পরিবর্তন আসেনি। শক্তিশালী পাকিস্তানের বিপক্ষে জিততে হলে ব্যাটিংয়ে ভালো করা চেয়ে কোনো বিকল্প নেই।
খেলা ছাপিয়ে এখন আরও একটি বিষয় বেশ আলোচনায়। গ্যালারিতে বাংলাদেশিদের পাকিস্তান প্রীতি। ঘরের মাঠে নিজ দল খেললেও পাকিস্তানের হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন কিছু সমর্থক। আর এসব কিছু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এখানেও দেখা যাচ্ছে মাঠের খেলা থেকেও মাঠের বাইরেই বেশি সরগরম। টাইগারদের মাঠের পারফরম্যান্সে যেন ভক্ত-সমর্থকরা আরও কোণঠাসা। যেটি নিয়ে মুখ খুলেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ‘বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার দিন অন্য দলকে সাপোর্ট করা শোভনীয় মনে হবে না। আপনারা বিষয়টি সরকারের দৃষ্টিগোচর করেছেন। আমরা আবশ্যই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবো এবং আইনগত ব্যবস্থা অবশ্যই নেবে।’
মাহমুদউল্লাহর দল কি আজ পারবে হারের বৃত্ত ভেঙে জয়ের ধারায় ফিরতে? নাকি আরও একবার মুখ থুবড়ে পড়বে বাবরদের কাছে?