cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সিলেটে গ্যাসের অপচয়রোধে বিশেষ উদ্যোগ নিতেে যাচ্ছে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড। প্রতিটি সংযোগের বিপরীতে বসানো হবে প্রিপেইড মিটার। প্রিপেইড মিটার বসানো হলে আগে গ্রাহকদের বিল পরিশোধ করতে হবে, পরে জ্বালাতে হবে গ্যাস।
বকেয়া বিলের ঝামেলা থেকে মুক্তি ও অপচয়রোধের লক্ষ্যে প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আসছে আবাসিক সংযোগ। প্রি-পেইড মিটার চালু হলে গ্রাহক যে পরিমাণ গ্যাস জ¦ালাবেন, সে অনুযায়ীই বিল পরিশোধ করবেন। এতে গ্রাহকরা গ্যাস ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবেন। এছাড়া আগে মূল্য পরিশোধ করায় বকেয়া বিল নিয়ে কাটবে দুশ্চিন্তা- এমনটা মনে করছেন জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিশন সিস্টেম লিমিটেডের (জেজিটিডিএসএল) কর্মকর্তারা।
শুরুতে সিলেট নগরীর প্রায় ৫০ হাজার গ্রাহককে এই প্রকল্পের আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়েছে কোম্পানিটি। প্রিপেইড মিটার স্থাপন প্রকল্পের কাজের জন্য ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেজিটিডিএসএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. শোয়েব আহমেদ মতিন।
জালালাবাদ গ্যাস সূত্র জানায়, বর্তমানে কোম্পানির গ্রাহক সংখ্যা ২ লাখ ২১ হাজার ৪৫৯। এর মধ্যে আবাসিক বা গৃহস্থালির কাজে সংযোগ (গ্রাহক) রয়েছে ২ লাখ ১৯ হাজার ৭৭৫টি। বাকি ১ হাজার ৬৮৪টি গ্রাহক সংযোগ রয়েছে বিভিন্ন শিল্প, বিদ্যুৎকেন্দ্র, রেস্টুরেন্ট, চা বাগান ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে। আবাসিক গ্রাহকদের মধ্যে সিলেট নগরীতে রয়েছেন লক্ষাধিক। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৫০ হাজার গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে জেজিটিডিএসএল। এ লক্ষ্যে গত ১৮ অক্টোবর আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আগামী ২৯ নভেম্বর দরপত্র জমাদানের শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ের ৫০ হাজার গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনার প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১২০ কোটি টাকা।
সূত্র জানায়, এখন গ্যাস ব্যবহারে কোন বাধ্যবাধকতা না থাকায় অনেকে বিনা প্রয়োজনে সারাদিন গ্যাসের চুলা জ¦ালিয়ে রাখেন। এতে গ্যাসের অপচয়ের পাশাপাশি দুর্ঘটনাও ঘটে। এছাড়া বারবার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির কারণে অনেক সচেতন গ্রাহক গ্যাস ব্যবহারে সাশ্রয়ী হয়েও বাড়তি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। প্রি-পেইড মিটার চালু হলে এসব গ্রাহকের গ্যাস বিলও কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জালালাবাদ গ্যাস সূত্র আরও জানায়, গ্যাসের অপচয় রোধ ও গ্রাহকসেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৯ সালে একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) মন্ত্রণালয়ে জমা দেয় জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ। ওই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১১৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। যাচাই-বাছাই শেষে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রকল্পটি অনুমোদন দেয় মন্ত্রণালয়।
জেজিটিডিএসএল-এর কর্মকর্তারা জানান, এই প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এটি বাস্তবায়ন হলে গ্রাহকরা গ্যাস ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবেন। বিল কমাতে তারা আর গ্যাসের অপচয় করবেন না। প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের পর প্রতিটি আবাসিক গ্রাহকের মাসিক গড় গ্যাস ব্যবহার ৬৬ ঘনমিটার থেকে ৪০ ঘনমিটারে নেমে আসবে। ফলে গ্রাহকপ্রতি সাশ্রয় হবে গড়ে ২৬ ঘনমিটার- এমন প্রত্যাশা জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষের। তখন সাশ্রয় হওয়া গ্যাস নতুন শিল্পকারখানায় ব্যবহার করা সম্ভব হবে।
সম্প্রতি জালালাবাদ গ্যাসের পক্ষ থেকে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের লক্ষ্যে শিগগিরই মাঠ জরিপ শুরু হবে। জরিপ শেষে আগামী বছরের মার্চ থেকে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজ শুরু হবে। এজন্য জালালাবাদ গ্যাসের কর্মীরা গ্রাহকদের বাসা-বাড়িতে যাবেন। পরিচয়পত্রধারী কর্মীদের সহায়তার জন্য গ্রাহকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
জেজিটিডিএসএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. শোয়েব আহমেদ মতিন বলেন, ‘ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ হলে প্রকল্পের মাঠপর্যায়ের কাজ শুরু হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে গ্রাহকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়বে। ফলে রোধ হবে গ্যাসে অপচয়। সাশ্রয়ী গ্রাহকদের গ্যাস বিলও কমবে।’