cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের আলীনগর চা বাগানে অস্বচ্ছল চা শ্রমিকদের ভাতায় স্বচ্ছল কর্মচারীদের নাম থাকার অ’ভিযোগে ২৭টি চেক জ’ব্দ করেছে উপজে’লা প্রশাসন।
জানা যায়, চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রম প্রকল্পের আওতায় সরকার চা শ্রমিকদের মধ্যে বছরে প্রতিজনকে ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করে। চা বাগানের দুঃস্থ ব্যক্তিরা এ সুবিধা পাওয়ার কথা। তবে কমলগঞ্জের আলীনগর চা বাগানে এ প্রকল্পের তালিকাভুক্ত হয়ে প্রকল্পের টাকার চেক পেয়েছিলেন চা বাগানের স্বচ্ছল কর্মচারীরা।
কমলগঞ্জ উপজে’লা সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে এই তালিকায় বাগানের টিলা ক্লার্ক (কর্মচারী) থেকে শুরু করে অফিস কর্মচারী আর্থিক সহায়তার চেক পেলেও অস্বচ্ছল চা শ্রমিকরা পরিবার এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত থেকে যায়।
চা শ্রমিকদের পক্ষ থেকে রোববার কমলগঞ্জ উপজে’লা নির্বাহী কর্মক’র্তার কাছে লিখিত অ’ভিযোগ করা হলে উপজে’লা সমাজসেবা অফিস থেকে খোঁজ নিয়ে অ’ভিযোগের সত্যতা পেয়ে ২৭টি চেক জ’ব্দ করা হয়। বাকি চেকের টাকাসমূহ সোমবার ১৫ নভেম্বর থেকে চা শ্রমিকরা উত্তোলন শুরু করে।
৭ নভেম্বর কমলগঞ্জ উপজে’লার আলীনগর চা বাগান ও এর ফাঁড়ি সুনছড়া, কা’মা’রছড়া চা বাগানের ১৩৫৬ জন শ্রমিকের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করা হয়।
বিতরণকৃত ওই তালিকায় চা বাগানের ২৭ জন স্বচ্ছল কর্মচারীর নাম ছিল। ২৭৯ ক্রমিকে আলীনগর চা বাগানের প্রধান টিলা ক্লার্ক নিয়ামুল হোসেন চকদার, ২৮০ ক্রমিকে গোদাম বাবু সিরাজুল ইস’লাম, ২৮১ টিলা ক্লার্ক বাবুরাম কৈরী, ২৮২ ক্রমিকে সুনছড়া চা বাগানের টিলাক্লার্ক গোপাল চক্রবর্তীসহ চা বাগানের কম্পিউটার ক্লার্ক, ও ফ্যাক্টরী কর্মচারীদের নাম ছিল। চা শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তার তালিকা যৌথভাবে করা হলেও এ বিষয়ে একে অন্যের উপর দায় চাপান।
আলীনগর চা বাগানের শ্রমিক সুবাশ কৈরী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমা’র পরিবারের তিনজন বাগানে কাজ করে। অস্বচ্ছল শ্রমিক কিন্তু একজনও এই টাকা পেল না। অথচ বাবুরা কেমনে টাকার চেক পাচ্ছেন? একই বাগানের সুমন বাউরী, বিমলা নায়েক বলেন, আম’রা চা বাগানের শ্রমিক। পরিবার খুবই অসচ্ছল। অথচ ওই তালিকায় আমাদের নাম নেই।
আলীনগর চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক চন্দন বলেন, এই তালিকা নিয়ে আম’রাও সমস্যায় আছি। আইনের বিষয়টি আম’রা জানতাম না। আলীনগর চা বাগানের ভা’রপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক এজিএম রফিউল আলম বলেন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও পঞ্চায়েতরা এই তালিকা তৈরি করেছেন।
এ ব্যাপারে আলীনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ফজলুল হক বলেন, মূলত তালিকা তৈরির বিষয়টি আমা’র নয়। বাগান পঞ্চায়েত নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু থেকে সম্পৃক্ত রয়েছেন। তাছাড়া যারা তালিকা তৈরি করেছেন তাদের মতে এরা সবাই চা বাগানের বাসিন্দা এবং এই সহায়তা পাওয়ার যোগ্য।
অ’ভিযোগ বিষয়ে উপজে’লা সমাজসেবা কর্মক’র্তা সুয়েব আহম’দ চৌধুরী বলেন, বাগান পঞ্চায়েত, ম্যানেজার ও জনপ্রতিনিধিরা মিলেই তালিকা তৈরি করে দিয়েছেন। সে অনুযায়ী তাদেরকে চেক দেয়া হয়েছিল। তবে সুনির্দিষ্ট অ’ভিযোগ পেয়ে ২৭টি চেক জ’ব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ত’দন্তক্রমে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কমলগঞ্জ উপজে’লা নির্বাহী কর্মক’র্তা আশেকুল হক বলেন, এ বিষয়ে অ’ভিযোগ পেয়ে সমাজসেবা কর্মক’র্তার মাধ্যমে ত’দন্ত করে প্রাথমিক ব্যবস্থা হিসেবে যারা এ সুবিধা পাওয়ার যোগ্য নয় তাদের চেক জব্ধ করা হয়েছে।