cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
জিরো থেকে হিরো বনে যাওয়া দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিটি শাল্লা সাবরেজিস্ট্রার অফিসের মোহন মিয়া। পেশায় অফিস সহায়ক। বড় কর্তা থেকে শুরু করে অফিসের সবার প্রিয় ব্যাক্তি। প্রথমে ছিলেন চা ও পান বিক্রেতা। অফিস সহায়কের চাকরী পাওয়ার পর পেয়ে গেলেন আলাদীনের চেরাগ। এখন তিনি কোটিপতি। উনার হাত ছাড়া অফিসের কোনো ফাইলই নড়ে না। টাকা ছাড়া কোনো কাজও হয় না। যার ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় উপজেলার প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষের।
এছাড়াও অষ্টম শ্রেনীর সনদ জালিয়াতি করে চাকরীতে যোগদান করেছেন। তবে এলাকার কেউ জানেনা তিনি লেখাপড়া করেছেন। জালিয়াতির মাধ্যমেই কোটিপতি বনে যাওয়া এক অভূত কাহিনী। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে এমনি অভিযোগ করেছেন উপজেলার কান্দিগাঁও গ্রামের মালেক মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মোহন মিয়া নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। তার পিতা হানিফ মিয়া ছিলেন একজন দিনমজুর। সংসার চালাতে হিমশিম খাওয়ায় ছেলে মোহন মিয়াকে দিয়ে শাল্লা সাবরেজিস্ট্রার অফিসের সামনে চা ও পানের দোকান বসিয়ে দেন। এরপরই মোহন মিয়ার কপাল খুলে যায়। অফিসের বড় কর্তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে পেয়ে যান কাম অফিস সহায়কের চাকরী। শুধু তাই নয়, হাসিমিয়া ইসলামী দাখিল মাদ্রাসার সুপারের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে পেয়ে যান অষ্টম শ্রেনীর জাল সনদ। মাদ্রাসার বারান্দায় না গিয়েও তিনি অষ্টম শ্রেনীতে উত্তীর্ণ হয়ে নবম শ্রেনীতে ভর্তি হন। কিন্তু ভোটার আইডি কার্ডে শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেনী পাশ।
হাসিমিয়া মাদ্রাসার সুপার আব্দুল মন্নান জানান, মোহন নামে কোনো ছাত্র তাদের তালিকায় নেই।
অভিযোগে আরো উল্লেখ রয়েছে, দুর্নীতির মাধ্যমে রাতারাতি বড়লোক বনে যাওয়া সামান্য চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হয়ে মাত্র ৪ বছরে বাড়িতে একটি পাকা বিল্ডিং, শাল্লা উপজেলা সদরে কান্দি গাঁও মৌজার নাম জারী খতিয়ান নং ৪৪২, এসএ দাগ নং ২৫৭তে ১৫ শতক জায়গায় রয়েছে যার আনুমানিক মূল্য ত্রিশ লক্ষ টাকা।
নামজারী খতিয়ান নং ৪৯০, এসএ দাগ নং ২৬৭ তে ১২ শতক জায়গা- যার আনুমানিক মূল্য চব্বিশ লক্ষ টাকা।
ঘুঙ্গিয়ার গাঁও মৌজায় নামজারী খতিয়ান নং ৩১২, এসএ দাগ নং ২৬৭ তে ১০ শতক জায়গা- যার আনুমানিক মূল্য বিশ লক্ষ টাকা।
এছাড়াও উপজেলার ঘুঙ্গিয়ার গাঁও সদরে ০৬ শতক জায়গার উপরে তিনতলা ফাউন্ডেশনের দুতলা বিল্ডিং রয়েছে যার বাজার মূল্য প্রায় পয়ত্রিশ লক্ষ টাকা। এছাড়াও মোহন মিয়ার স্ত্রী মণি বিশ্বাস এর নামে ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলায় সোনালী ব্যাংক লিমিটেড মোহনগঞ্জ শাখায় একটি সঞ্চয়ী একাউন্ট খোলে তার নিজের একাউন্টে থাকা ত্রিশ লক্ষ টাকা স্থানান্তর করেন।
এছাড়াও স্ত্রী মণি বিশ্বাস এর নামে কৃষি ব্যাংক শাল্লা শাখায় ‘দশ লক্ষ” টাকার এফডিআর সঞ্চয়পত্র রয়েছে এমনকি তার বাবা-ভাইদের নামে কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে শুনা যাচ্ছে।
অফিস সহায়ক মোহন মিয়া বলেন, আমার কোন অবৈধ সম্পদের পাহাড় নেই। কষ্ট করে মাথা গোজার ঠাঁই করে ছোট একটি বাড়ি করেছি। একটি মহল পুর্বশত্রুতার জের ধরে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি এখনো অভিযোগ পাইনি। হয়তো অভিযোগ ডেস্কে জমা রয়েছে। তবে অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।