cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সিলেটে পুলিশি হেফাজতে রায়হান আহমদ (৩৪) হত্যা মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি বরখাস্ত হওয়া কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জামিন শুনানি শেষে বিচারক মো. আবদুর রহিম এই নির্দেশ দেন।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নওশাদ আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘জামিন আবেদনের শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা টিটু চন্দ্র দাসকে হত্যায় সরাসরি জড়িত নন বলে জামিন প্রার্থনা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে আমি আদালতকে বলেছি যে টিটু একজন অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। প্রধান আসামি এসআই আকবরকে সহযোগিতা করায় হত্যা মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি হয়েছেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দিতে টিটু নিহত রায়হানকে লাঠিপেটা করে নির্যাতন করার বিষয়টি ওঠে এসেছে। মামলাটিতে শুধু পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ নয়, দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ রয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়ায় থাকা হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিকে জামিন দেওয়া হলে বিচার প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার শঙ্কা থাকবে। এসব যুক্তি উপস্থাপন করায় আদালত জামিন নামঞ্জুর করেছেন।’
একই আদালতে ২ জুন মামলার প্রধান আসামি বরখাস্ত হওয়া উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়ার জামিন আবেদন করা হলে রাষ্ট্রপক্ষের বিরোধিতায় জামিন নামঞ্জুর হয়। ১৩ জুন মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত ৩ নম্বর আসামি কনস্টেবল মো. হারুন অর রশিদ, ২৬ আগস্ট বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সেকেন্ড ইন কমান্ড (টুআইসি) পদে থাকা বরখাস্ত উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. হাসান উদ্দিন, ১৫ সেপ্টেম্বর বরখাস্ত হওয়া সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহীর জামিন নামঞ্জুর হয়। সর্বশেষ আজ টিটু চন্দ্র দাশের জামিন নামঞ্জুর হলো।
গত বছরের ১০ অক্টোবর মধ্যরাতে সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে রায়হান আহমদকে নির্যাতন করা হয়। ১১ অক্টোবর তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে রায়হানের স্ত্রীর করা মামলার পর মহানগর পুলিশের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে ফাঁড়িতে নিয়ে রায়হানকে নির্যাতনের সত্যতা পায়। ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে ১২ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। এরপর পুলিশি হেফাজত থেকে কনস্টেবল হারুনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তবে প্রধান অভিযুক্ত আকবর ১৩ অক্টোবর পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে ভারতে চলে যান। ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সরকারি কৌঁসুলির দপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৫ মে আলোচিত এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। অভিযোগপত্রে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই (সাময়িক বরখাস্ত) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে (৩২) প্রধান অভিযুক্ত করা হয়। অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহী (৪৩), কনস্টেবল মো. হারুন অর রশিদ (৩২), টিটু চন্দ্র দাস (৩৮), ফাঁড়ির টুআইসি পদে থাকা সাময়িক বরখাস্ত এসআই মো. হাসান উদ্দিন (৩২) ও এসআই আকবরের আত্মীয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান (৩২)।
অভিযোগপত্রভুক্ত ছয়জন আসামির মধ্যে পাঁচ পুলিশ সদস্য কারাবন্দী। অভিযোগপত্রভুক্ত ৬ নম্বর আসামি আবদুল্লাহ আল নোমান পলাতক। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার নথি পর্যালোচনা শেষে অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয় এবং একমাত্র পলাতক আসামি নোমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।