cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
‘হে পথিক, আমাকে হ’ত্যার প্রস্তুতি চলছে! অক্সিজেন দিয়ে, ছায়া দিয়ে তোমাদের বাঁ’চাই। আমাকে বাঁ’চানোর বুঝি কেউ নেই!’ লাল কাপড়ে সাদা অক্ষরে এ কথা লেখা। গাছের গোড়ায় লাল কাপড়ের বেষ্টনী দিয়ে এ আহ্বান সাঁটানো হয়েছে সিলেট নগরীর চৌহাট্টার শতবর্ষী সেই গাছে।
আজ বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ পরিবেশ আ’ন্দোলন (বাপা) ও পরিবেশবাদী সংগঠন ‘ভূমিসন্তান বাংলাদেশের’ সদস্যরা স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে গাছ বাঁ’চাতে লাল কাপড়ে এ আহ্বান গাছের গায়ে লাগিয়েছেন।
সিলেট নগরীর কেন্দ্রস্থলের চৌহাট্টার প্রধান সড়ক লাগোয়া রেইনট্রিগাছটি শতবর্ষী। স্থানীয় বাসিন্দারা ‘চৌহাট্টার বড় গাছ’ বলে ডাকেন। তাঁরা বলেছেন, চৌহাট্টা-আম্বরখানা সড়ক বড় করার পর শতবর্ষী এ গাছসহ আরও কয়েকটি গাছ কে’টে ফেলে ফুল বাগান করার চেষ্টা করেন সিটি করপোরেশনের একদল কর্মী। গত ২০ অক্টোবর গাছের একটি বড় ডাল কে’টে ফেলার সময় স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে ‘ভূমিসন্তান বাংলাদেশ’ বাধা দেয়। এরপর গাছটি কা’টা থেকে বিরত থাকে সিটি করপোরেশন। এ নিয়ে ২০ অক্টোবর অনলাইনে ‘সিলেটে শতবর্ষী গাছ কা’টা ঠেকালেন পরিবেশকর্মীরা’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
গাছ রক্ষায় লাল কাপড়ের আচ্ছাদন দিয়ে গাছতলায় একটি প্রতিবাদ সভা হয়। গাছ রক্ষার আহ্বানে একাত্ম হয়ে প্রতিবাদসভায় বক্তব্য দেন সিলেটের ভাষাসৈনিক মতিন উদ্দীন জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোস্তফা শাহ’জামান চৌধুরী, বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম চৌধুরী, ভূমিসন্তান বাংলাদেশের সমন্বয়ক মোহাম্ম’দ আশরাফুল কবীর, চৌহাট্টার বাসিন্দা আলমগীর চৌধুরী ও কা’মাল আহম’দ চৌধুরী।
প্রতিবাদসভায় বক্তারা বলেন, নগরে সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নামে নির্বিচার বৃক্ষ হ’ত্যার আয়োজন চলছে। চৌহাট্টার বড় গাছটি কে’টে সেখানে ফুলবাগান করার কথা বলা হচ্ছে। অথচ গাছটি রেখেই কিন্তু ফুলবাগান করা সম্ভব। গাছ কে’টে জায়গা বের করে অন্য কোনো ‘ধান্দা’ আছে বলে গাছ হ’ত্যার আয়োজন চলছে।
চৌহাট্টার স্থায়ী বাসিন্দা আলমগীর চৌধুরী বলেন, ‘আমা’র বয়স ৬১ বছর। এই গাছ আমি ছোটবেলায় ঠিক এইভাবেই দেখেছি। গাছটি শতবর্ষী। এ রকম একটি গাছ যদি কে’টে সেখানে ফুলবাগান না শত গাছের বাগানও করা হয়, তবু এই গাছটির বিকল্প হবে না। গাছের গায়ে সাঁটানো লাল কাপড়ে যে আহ্বান, সেটার সঙ্গে আম’রা সম্পূর্ণ একমত। গাছটি রক্ষা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।’
এলাকাবাসীকে নিয়ে পরিবেশবাদীদের এ প্রতিবাদে একাত্ম হন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রতিনিধিরাও। বেলা সিলেটের সমন্বয়ক শাহ সাহেদা আখতার বলেন, ‘চৌহাট্টার এই গাছসহ নগরীর শাহ’জালাল উপশহর এলাকায় ৩০০ গাছ নির্বিচার কে’টে ফেলা হয়েছে। গাছ কা’টা থেকে বিরত থাকতে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে আম’রা একটি চিঠি দিয়েছি।’
জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, সড়কের পাশে বড় পরিসরের ফুটপাত ও বাগান নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে গাছটি কা’টা হচ্ছিল। তবে প্রতিবাদ হওয়ায় মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে আপাতত সেটি বন্ধ রাখা হয়েছে।
সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘গাছটি অ’পরিক’ল্পিতভাবে লাগানো হয়েছিল। বড় গাছ হওয়ায় ব্যস্ত রাস্তার জন্যও ঝুঁ’কিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আম’রা এই গাছ কে’টে সেখানে বাগান করার পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। যাঁরা প্রতিবাদ করছেন, তাঁদের নিয়ে গাছ কা’টার বিকল্প কী’ হতে পারে, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
গাছ রক্ষায় গণশুনানি ১৩ নভেম্বর
চৌহাট্টার শতবর্ষী গাছসহ নগরীর শাহ’জালাল উপশহর, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, মিরের ময়দান ও বেতার বাংলাদেশ কার্যালয় প্রাঙ্গণে গাছ কা’টাসহ গত এক দশকে নগরীতে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের নামে দুই হাজার গাছ কা’টা হয়েছে বলে পরিবেশবাদী সংগঠন দাবি করছে। গাছ বাঁচিয়ে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ও গাছ কা’টা প্রবণতা বন্ধে গণশুনানি করবে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। ১৩ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এ গণশুনানি হবে।
আজ দুপুরে চৌহাট্টার গাছের গায়ে লাল কাপড় টাঙানো কর্মসূচিতে বাপা ও ভূমিসন্তান বাংলাদেশ যৌথভাবে গণশুনানি করার ঘোষণা দেয়। গণশুনানির আয়োজক সংগঠন দুটোর পক্ষ থেকে আবদুল করিম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, গাছ রক্ষায় তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়েও প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। এ জন্য বড় পরিসরে গণশুনানি হবে। এতে গাছ কা’টায় নিয়োজিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, গাছের সুরক্ষার প্রতিষ্ঠান ও নগর পরিকল্পনাবিদসহ পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের উপস্থিত রাখার চেষ্টা করা হবে।