cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সদ্যবিদায়ী অক্টোবর মাসে দেশে ১৬৫ কোটি ডলারেরও কম রেমিট্যান্স এসেছে, যা গত ১৭ মাসের মধ্যে সর্বনিন্ম। এটি আগের মাস সেপ্টেম্বরের তুলনায় সাড়ে ৪ শতাংশ এবং গত অর্থববছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় সাড়ে ২১ শতাংশ কম।
সবমিলে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) রেমিট্যান্স কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, করো’না পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় ফের হুন্ডি প্রবণতা বেড়েছে। এতে ব্যাংকিং চ্যানেলে কমে গেছে প্রবাসী আয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মক’র্তা যুগান্তরকে বলেন, করো’নার সময়ে দেওয়া লকডাউনে বিমান যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ ছিল। মানুষের যাতায়াতের সুযোগ না থাকায় ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক ভ্রমণও স্থগিত হয়ে যায়। ফলে হুন্ডিও বন্ধ থাকে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আকাশ পরিবহণ শুরু হওয়ায় হুন্ডি বেড়ে গেছে। আর হুন্ডি বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকিং বা বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমছে।
২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। চলতি অর্থবছরেও এই সুবিধা বহাল রাখা হয়েছে। রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়ার পর থেকে প্রতি মাসেই প্রবাসীরা পরিবার-পরিজনের কাছে বেশি অর্থ পাঠাতে শুরু করেন। এমনকি করো’নার সংক্রমণের মধ্যেও তাদের এই অর্থ প্রেরণ অনেক বেড়ে যায়।
কিন্তু এখন করো’না পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলেও রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের অক্টোবর মাসে প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন মাত্র ১৬৪ কোটি ৬৮ লাখ ডলার।
এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরের মে মাসে ১৫০ কোটি ৪৬ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স আসে। এরপর থেকে আর কোনো মাসে এর চেয়ে কম রেমিট্যান্স আসেনি।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, আগের মাস সেপ্টেম্বরে দেশে রেমিট্যান্স আসে ১৭২ কোটি ৬৭ লাখ ডলার। আর গত অর্থবছরের অক্টোবর মাসে এসেছিল ২১০ কোটি ২১ লাখ ডলার। সবমিলে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) রেমিট্যান্স এসেছে ৭০৫ কোটি ৫১ লাখ ডলার। এটি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ কম।
গত অর্থবছরের প্রথম চার মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ৮৮১ কোটি ৫৩ লাখ ডলার।
প্রতিবেদনে পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরের ১১তম মাস মে’তেও প্রবাসীরা রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠান। ওই মাসে দেশে রেমিট্যান্স আসে ২১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার। তবে এর পরই রেমিট্যান্স কমতে শুরু করে। যা চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে রেমিট্যান্স আসে ১৯৪ কোটি ডলার। এছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ ডলার ও আগস্টে ১৮১ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স আসে। করো’নার মধ্যেই সদ্যসমাপ্ত ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ে বড় রেকর্ড হয়।
গেল অর্থবছরে প্রায় পৌনে ২৫ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা কোনো এক অর্থবছরে বাংলাদেশের ইতিহাসে এযাবৎকালে সর্বোচ্চ। এটি ২০১৯-২০ অর্থবছরের চেয়ে প্রায় সাড়ে ৬ বিলিয়ন বা ৩৬ শতাংশ বেশি।
প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে রেকর্ড ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স আসে, যা একক মাস হিসাবে এযাবৎকালের সর্বোচ্চ।