cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
রাহাতকে হ’ত্যার পর সাদি লম্বা চুল ছোট করে ফেলে, ক্লিন সেভ দেয়, ফেইসবুক ডিএক্টিভ করে ও মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়। তবুও শেষ রক্ষা পায়নি সাদি। সিআইডি তাকে কুষ্টিয়ার ফিলিপনগর থেকে গ্রে’প্তার করে। গতকাল আ’দালতে স্বীকারোক্তিতে এমন তথ্য জানায় সাদি।
সাদি জানায়, ‘বড় ভাই’ না মানায় রাহাতকে স্টেপিং করেছি। ঘটনার পর সে নিজ এলাকা দক্ষিণ সুরমা’র হাজীপুরে চলে যায়। সেখান থেকেই এলাকা ছেড়ে পালায়।’ এভাবেই সিলেটে আ’লোচিত ছাত্রলীগ কর্মী আরিফুল ইস’লাম রাহাত খু’নের ঘটনা স্বীকার করেছে সাদী।
গ্রে’প্তারের পর প্রথমে সিআইডি’র জিজ্ঞাসাবাদে এবং পরে সিলেটে আমলী আ’দালত-২ এর বিচারক সুমন ভূঁইয়ার আ’দালতে জবানব’ন্দিতে এসব তথ্য জানায়। এর আগে গতকাল সকালে সিআইডি’র কার্যালয়ে আ’লোচিত এ হ’ত্যাকা’ণ্ডের আ’সামি গ্রে’প্তারসহ সার্বিক বিষয়ে প্রেস বিফ্রিং করেন সিআইডি’র বিশেষ পু’লিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা।
এ সময় বিশেষ পু’লিশ সুপার জানান- ‘কলেজছাত্র রাহাত খু’নের ঘটনার পরপরই সিআইডি ঘটনার ছায়া ত’দন্ত শুরু করে। আর এই ত’দন্তের মা’রফতে কুষ্টিয়ার দুর্গম চরাঞ্চলে সাদীর সন্ধান মিলে। সেখান থেকেই তাকে গ্রে’প্তার করা হয়েছে। তিনি জানান- ‘সাদীর দেয়া তথ্য মতে খু’নে ব্যবহৃত ছোরা উ’দ্ধার করা হয়েছে। গত বুধবার হাজীপুর এলাকা থেকে সেই ছোরা উ’দ্ধার করা হয়। ফলে ঘটনার আলামতও মিলেছে। আর সাদীও ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা স্বীকার করেছে।’ তিনি বলেন- ‘যেহেতু এ ঘটনায় একটি মা’মলা হয়েছে সেটি সিআইডি’র কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সিআইডি দ্রুত ত’দন্ত করে মা’মলার চার্জশিট আ’দালতে দাখিল করবে।’
সিআইডি জানিয়েছে; ‘প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে সাদী বলে মূলত রাহাতকে হ’ত্যার উদ্দেশ্য ছিল না। উদ্দেশ্য ছিল রাহাতকে চাকু দেখিয়ে স্টেপিং করে ভ’য়ভীতি দেখানো। তাই আগে থেকে সাদী, তানভীর, অলিদ তাৎক্ষণিক পরিকল্পনা করে। ঘটনার পর তিনজন পালিয়ে যায় সিলাম ইউনিয়নের হাজীপুর-জালালপুর এলাকায় একটি দোকানে চা খাচ্ছিল। এ সময় এক সাংবাদিক সাদীকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করেন রাহাতকে না কি তুমি হ’ত্যা করেছো? তখন তারা জানতে পারে রাহাত মা’রা গেছে।
যখন জানতে পারে রাহাত মা’রা গেছে তখন সাদীর মোবাইলের বিকাশে ১ হাজার ২০ টাকা ছিল। সেখান থেকে ১ হাজার টাকা ক্যাশ আউট করে সিলাম হাজীপুর-জালালপুর হয়ে মোটরসাইকেল দিয়ে শেরপুর যায়। পরে শেরপুর থেকে আল-মোবারক পরিবহনের একটি বাস দিয়ে ঢাকায় যায়। সেখানে ঢাকাস্থ মিরপুরে তার এক আত্মীয়র বাসায় ওঠে। পরে সেখান থেকে ওই আত্মীয়র আরেক আত্মীয়র বাড়িতে যাওয়ার জন্য মূলত কুষ্টিয়ায় যায়। এ ঘটনায় তানভীর ও সানি আত্মগো’পনে রয়েছে।
এদিকে- ঘটনায় পলাতক থাকা অবস্থায় সাদী তার রূপ পরিবর্তন করে। আগে তার মা’থায় ছিলো লম্বা চুল। মুখে ছিলো হালকা দাড়ি। পলাতক অবস্থায় সে তার চেহারায় পরিবর্তন আনে। সে মুখের দাড়ি কে’টে ফেলে। চুলও ছোট করে ফেলে। ফলে সাদীকে চেনাই যাচ্ছিলো না। এ ছাড়া- রাহাত খু’নের খবর পাওয়া মাত্রই সে তার মোবাইল নম্বর বন্ধ করে ফেলে। একই সঙ্গে তার সহযোগীরাও মোবাইল ফোন বন্ধ করে দিয়েছিলো। নিজের ফেসবুক আইডিকেও ডিঅ্যাক্টিভ করে ফেলে।
ফলে সাদীকে খুঁজে পেতে সিআইডিকে বেগ পেতে হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ঘটনা ঘটালেও তাকে গ্রে’প্তার করা হয় বুধবার রাতে। এরপর কুষ্টিয়া থেকে তাকে সিলেটে আনা হয়। আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষ করার পর গতকাল বিকালে তাকে সিলেটে আ’দালতে প্রেরণ করা হলে সাদী স্বীকারোক্তিমূলক জবানব’ন্দি দিতে রাজি হয়। সিআইডি’র সাব- ইন্সপেক্টর ও মা’মলার ত’দন্ত কর্মক’র্তা রিপন কুমা’র দেব জানিয়েছেন; দোষ স্বীকার করে সাদী আ’দালতে জবানব’ন্দি দিয়েছে। আ’দালত জবানব’ন্দি গ্রহণের পর তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।