cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
টপ অর্ডারের সৌজন্যে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে বড় লক্ষ্যই ছুঁড়ে দিল চেন্নাই সুপার কিংস। এরপর অবশ্য বোলারদের শুরুটা ছিল বিবর্ণ। তবে স্ট্রাটেজিক বিরতির পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে ভেঙে দেয় কলকাতার স্বপ্ন। বড় জয়েই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) শিরোপা পুনরুদ্ধার করে এমএস ধোনির দল। আইপিএলে এটা তাদের চতুর্থ শিরোপা।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ২৭ রানে হারিয়েছে চেন্নাই। প্রথম ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান তোলে তোলে তারা। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৫ রানের বেশি করতে পারেনি কলকাতা।
ব্যাটিং ও বোলিং দুই দিকেই ব্যর্থ হয়েছেন কলকাতার বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। আর বল হাতেও খেয়েছেন বেদল পিটুনি। ৩ ওভার বল করে উইকেটশূন্য থেকে ৩৩ রান খরচ করেছেন এ বাঁহাতি।
অথচ লক্ষ্য তাড়ায় এদিন কী দারুণ শুরুই না করেছিল কলকাতা। শুবমান গিল ও ভেংকাটেশ আইয়ারের ওপেনিং জুটিতেই আসে ৯১ রান। দুই ওপেনারই পান ফিফটি। কিন্তু এরপরই যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে দলটি। পরের ছয় ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন টেলিফোন নম্বর তৈরি করে। তবে নবম উইকেট জুটিতে লোকি ফার্গুসনকে নিয়ে চেষ্টা চালিয়েছিলেন শিভাম মাভি। কিন্তু ৩৯ রান জুটিতে কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছেন।
মূলত আইয়ারকে আউট করে কলকাতার দুঃস্বপ্নের শুরুটা করেন শার্দুল ঠাকুর। একই ওভারে খালি হাতে নিতিশ রানাকেও তুলে নেন তিনি। পরের ওভারে নারিনকে তুলে নেন জশ হ্যাজলউড। এক ওভার পর ফিরে এসে সেট ব্যাটসম্যান শুবমানকেও এ অজি পেসার ফিরিয়ে দিলে বড় চাপে পড়ে যায় কলকাতা।
এরপর ১৫তম ওভারে পরপর দুই বলে দিনেশ কার্তিক ও সাকিব আল হাসানকে তুলে সে চাপ আরও বাড়িয়ে দেন রবীন্দ্র জাদেজা। তখনই জয় দেখতে শুরু করে চেন্নাই। শেষ পর্যন্ত ফার্গুসন ও মাভির লড়াই থামিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় হলুদ জার্সিধারীরা।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫১ রানের ইনিংস খেলেন শুবমান। ৪৩ বলে ৬টি চারের সাহায্যে এ রান করেন এ ওপেনার। আরেক ওপেনার আইয়ারের ব্যাট থেকে আসে ৫০ রান। ৩২ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ২০ রান আসে মাভির ব্যাট থেকে। ১টি করে চার ও ছক্কায় ১১ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন ফার্গুসন।
চেন্নাইয়ের পক্ষে ৩৮ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পেয়েছেন শার্দুল। ২টি করে শিকার করেছেন হ্যাজলউড ও জাদেজা।
এদিন কলকাতার বোলিংয়ের শুরুটা করেছিলেন সাকিব। প্রথম ওভারে দেন ৬ রান। পরের ওভারে ফিরে মার খেলেন তিনি। দশম ওভারে আবার যখন তাকে বল দেওয়া হলো, তখনও অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি না। সুনীল নারিন ছাড়া সাকিবের মতোই বিবর্ণ থাকলেন কলকাতার বাকি বোলাররাও। তাতে বড় লক্ষ্যই পেল কলকাতা।
অথচ টস হেরে বোলিং বেছে নিয়েছিল কলকাতা। কিন্তু পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫০ রান আনেন চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার। গায়কোয়াড় ও দু প্লেসির উদ্বোধনী জুটি টিকে থাকে ৮.১ ওভার পর্যন্ত। ৬১ রানের এই জুটি ভাঙেন নারিন। শিভাম মাভিকে ক্যাচ দিয়ে ২৭ বলে ৩২ করে সাজঘরে ফেরেন গায়কোয়াড়।
তিনে নামা উথাপ্পা উইকেটে গিয়েই চড়াও হন। তরতর করে বাড়তে থাকে চেন্নাইয়ের রান। দ্বিতীয় উইকেটে দু প্লেসির সঙ্গে মাত্র ৩২ বলে ৬৩ রান যোগ করেন উথাপ্পা। ক্যারিবিয়ান তারকা নারিনকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে এলবিডাব্লিউ হন তিনি। ১৫ বলে ৩ ছক্কায় ৩১ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
৩৫ বলে হাফসেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফেলা দু প্লেসি এরপর সঙ্গী হিসেবে পান ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার মঈন আলীকে। তাদের জুটিও এগোতে থাকে আগ্রাসী তালে। ইনিংসের শেষ ডেলিভারিতে দু প্লেসি লং-অনে শিকার হন মাভির। ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৯ বলে ৮৩ রান করেন তিনি। তার সঙ্গে ৩৯ বলে ৬৮ রানের জুটিতে মঈনের অবদান ৩৭। ২০ বলের ইনিংসে ২ চার ও ৩ ছয় হাঁকিয়ে অপরাজিত থাকেন তিনি।
কলকাতার হয়ে নারিন ৪ ওভারে ২৬ রানে নেন ২ উইকেট। ১ উইকেট নিতে ৩২ রান দেন মাভি। সবচেয়ে খরুচে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের পেস অলরাউন্ডার লোকি ফার্গুসন। তার ৪ ওভারে চেন্নাই তোলে ৫৬ রান। স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী খরচ করেন ৩৮ রান।